সম্পাদকীয়
এমন একসময় এসে হাজির হয়েছে, যখন ছুটি নামের এক আনন্দ অনুভূতিও পরিণত হয়েছে বিষাদে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দিনের পর দিন বন্ধ। স্বাভাবিক সময়ে ছুটি পাওয়ার অর্থই হলো অবকাশে ভরে উঠবে মন। কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার ইচ্ছে জাগবে কিংবা কোনো চলচ্চিত্র, কোনো বই কিংবা নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে অন্য রকম একটা সময় কাটানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে। কিন্তু এই ছুটি এখন শিক্ষার্থীদের জীবনযাপনে নিয়ে এসেছে নির্জীবতা। শিক্ষাঙ্গনে মানুষ তো শুধু পড়াশোনাই করে না, সেখানকার একধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক-বলয় তাদের সৃজনশীল করে তোলে। সেই আবহটাই সরে গেছে জীবন থেকে।
এর ঠিক বিপরীত একটা ধরন দেখা গেল পুলিশের চাকরিতে। দিনের পর দিন ছুটির সুযোগ না থাকায় সেখানেও এসেছে একধরনের বিমর্ষতা। বহুদিন পরিবার-বিচ্ছিন্ন থাকায় বেড়েছে মানসিক অস্থিরতা। আরও যা ভয়াবহ তা হলো, ছুটির দরখাস্ত পাস করাতে হলে কখনো কখনো ঘুষ দিতে হয় বলেও জানিয়েছেন কোনো কোনো পুলিশ সদস্য!
বিষয় একটাই ছুটি। এক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, অতিরিক্ত ছুটির কারণে ব্যাহত হচ্ছে জীবনযাত্রা, অন্য জায়গায় ছুটি না পাওয়ায় থমকে যাচ্ছে জীবন। ছুটি নামক আনন্দ উদ্রেককারী একটি ঘটনার এ রকম পরিণতি যে হবে, করোনাকালের আগে সেটা এ রকম স্পষ্ট হয়নি।
ছুটি না পেলে কিংবা অতিরিক্ত ছুটি পেলে জীবনে আসে স্থবিরতা। স্থবিরতার অর্থই হচ্ছে তাতে কোনো স্রোত থাকে না এবং এ জন্যই কবি বিষ্ণু দের কবিতায় পাওয়া যায়, ‘হৃদয় শুকানো দিঘি, বুদ্ধি মজা খাল।’ অতিরিক্ত ছুটি ও ছুটিহীনতা দুটোই যে স্রোতহীন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, সেটা নতুন করে বলে দেওয়ার কিছু নেই। করোনার মধ্যে আমরা ছুটিসংক্রান্ত এক মহা সংকটে আছি। দিনের পর দিন কাজ করতে করতে ছুটির প্রত্যাশা এবং তা না পেলে মানসিক সংকটের জন্ম হয়। আবার দিনের পর দিন ছুটি কাটাতে কাটাতে মন যখন স্থবির হয়ে যায়, তখনো একই রকম মানসিক সংকটের মধ্যে পড়ে মন।
রও আছে। যাঁরা করোনাকালে চাকরি অথবা ব্যবসা হারিয়েছেন কিংবা নানাভাবে অর্থনৈতিক জীবনযাপন থেকে দূরে সরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের যে ছুটি, সেটার চাপ বহন করা খুবই কষ্টকর। অতিমারির এই ভয়াবহতায় ভুগছে সারা পৃথিবী। কিন্তু ধনবলে সমৃদ্ধ দেশে বিনা কারণে ছুটি কাটানো মানুষদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারে সরকার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আমাদের দেশে সে সুযোগ খুবই কম। তাই অনিচ্ছাকৃত ছুটি অনেকের জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। পুলিশ বিভাগের ছুটি নিয়ে আমাদের আজকের পত্রিকায় যে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে একজন পুলিশ সদস্য আত্মহত্যাও করেছেন। এ রকম আরও কিছু তথ্য আছে প্রতিবেদনে। ছুটি নিয়ে একটু রসিকতা করার ইচ্ছে ছিল আজকের সম্পাদকীয়তে, কিন্তু ছুটিসংক্রান্ত জটিলতা মোটেই কৌতুককর কোনো ব্যাপার নয়। সবখানেই তা বিষাদ, অস্থিরতা এবং ভয়াবহতা দিয়ে জড়ানো। করোনাকালের নানা ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে ছুটিসংক্রান্ত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এবং এ সংকট কাটানোর জন্য অগ্রাধিকার দিয়েই করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।
এমন একসময় এসে হাজির হয়েছে, যখন ছুটি নামের এক আনন্দ অনুভূতিও পরিণত হয়েছে বিষাদে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দিনের পর দিন বন্ধ। স্বাভাবিক সময়ে ছুটি পাওয়ার অর্থই হলো অবকাশে ভরে উঠবে মন। কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার ইচ্ছে জাগবে কিংবা কোনো চলচ্চিত্র, কোনো বই কিংবা নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে অন্য রকম একটা সময় কাটানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে। কিন্তু এই ছুটি এখন শিক্ষার্থীদের জীবনযাপনে নিয়ে এসেছে নির্জীবতা। শিক্ষাঙ্গনে মানুষ তো শুধু পড়াশোনাই করে না, সেখানকার একধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক-বলয় তাদের সৃজনশীল করে তোলে। সেই আবহটাই সরে গেছে জীবন থেকে।
এর ঠিক বিপরীত একটা ধরন দেখা গেল পুলিশের চাকরিতে। দিনের পর দিন ছুটির সুযোগ না থাকায় সেখানেও এসেছে একধরনের বিমর্ষতা। বহুদিন পরিবার-বিচ্ছিন্ন থাকায় বেড়েছে মানসিক অস্থিরতা। আরও যা ভয়াবহ তা হলো, ছুটির দরখাস্ত পাস করাতে হলে কখনো কখনো ঘুষ দিতে হয় বলেও জানিয়েছেন কোনো কোনো পুলিশ সদস্য!
বিষয় একটাই ছুটি। এক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, অতিরিক্ত ছুটির কারণে ব্যাহত হচ্ছে জীবনযাত্রা, অন্য জায়গায় ছুটি না পাওয়ায় থমকে যাচ্ছে জীবন। ছুটি নামক আনন্দ উদ্রেককারী একটি ঘটনার এ রকম পরিণতি যে হবে, করোনাকালের আগে সেটা এ রকম স্পষ্ট হয়নি।
ছুটি না পেলে কিংবা অতিরিক্ত ছুটি পেলে জীবনে আসে স্থবিরতা। স্থবিরতার অর্থই হচ্ছে তাতে কোনো স্রোত থাকে না এবং এ জন্যই কবি বিষ্ণু দের কবিতায় পাওয়া যায়, ‘হৃদয় শুকানো দিঘি, বুদ্ধি মজা খাল।’ অতিরিক্ত ছুটি ও ছুটিহীনতা দুটোই যে স্রোতহীন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, সেটা নতুন করে বলে দেওয়ার কিছু নেই। করোনার মধ্যে আমরা ছুটিসংক্রান্ত এক মহা সংকটে আছি। দিনের পর দিন কাজ করতে করতে ছুটির প্রত্যাশা এবং তা না পেলে মানসিক সংকটের জন্ম হয়। আবার দিনের পর দিন ছুটি কাটাতে কাটাতে মন যখন স্থবির হয়ে যায়, তখনো একই রকম মানসিক সংকটের মধ্যে পড়ে মন।
রও আছে। যাঁরা করোনাকালে চাকরি অথবা ব্যবসা হারিয়েছেন কিংবা নানাভাবে অর্থনৈতিক জীবনযাপন থেকে দূরে সরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের যে ছুটি, সেটার চাপ বহন করা খুবই কষ্টকর। অতিমারির এই ভয়াবহতায় ভুগছে সারা পৃথিবী। কিন্তু ধনবলে সমৃদ্ধ দেশে বিনা কারণে ছুটি কাটানো মানুষদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারে সরকার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আমাদের দেশে সে সুযোগ খুবই কম। তাই অনিচ্ছাকৃত ছুটি অনেকের জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। পুলিশ বিভাগের ছুটি নিয়ে আমাদের আজকের পত্রিকায় যে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে একজন পুলিশ সদস্য আত্মহত্যাও করেছেন। এ রকম আরও কিছু তথ্য আছে প্রতিবেদনে। ছুটি নিয়ে একটু রসিকতা করার ইচ্ছে ছিল আজকের সম্পাদকীয়তে, কিন্তু ছুটিসংক্রান্ত জটিলতা মোটেই কৌতুককর কোনো ব্যাপার নয়। সবখানেই তা বিষাদ, অস্থিরতা এবং ভয়াবহতা দিয়ে জড়ানো। করোনাকালের নানা ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে ছুটিসংক্রান্ত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এবং এ সংকট কাটানোর জন্য অগ্রাধিকার দিয়েই করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫