সম্পাদকীয়
দেশজুড়ে এখন সবচেয়ে মুখরোচক আলোচনা হচ্ছে নির্বাচন ঘিরে। কেউ চাইছে নির্বাচন হোক সংস্কারের পর, কেউ চাইছে এ বছরের মাঝামাঝি। কেউ বলছে আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ নির্বাচন হবে। অভিজ্ঞ মহল বলছে, সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন হওয়ার পরও তা চলতে থাকবে। সুতরাং সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন আটকে রাখা ঠিক নয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যে প্রত্যাশা ছিল সাধারণ মানুষের, তা ফিকে হতে শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং দ্রব্যমূল্যের হাল নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে জনগণ। এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে করের হার বাড়ানোয় তা যে সাধারণ মানুষের জীবনেই ত্রাহি মধুসূদন অবস্থার সৃষ্টি করবে, সে কথা নতুন করে বলতে হবে না। মূলত এক গভীর সংকটের সম্মুখীন হয়েছে দেশ।
নির্বাচনবিষয়ক যে সংস্কার কমিটি গঠিত হয়েছিল, তাদের কার্যকালেই নতুন নির্বাচন কমিশন কেন গঠন করা হলো, তা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। অনেকেই বলেছেন, কমিটির সুপারিশ আসার আগেই পুরোনো রীতিতে একটি কমিশন গঠন করা হলে সংস্কার কমিটির সুপারিশগুলোর কী হবে? তড়িঘড়ি করে কমিশন গঠন করা হলো কেন, এ প্রশ্নটি ঘুরছে অনেকের মনে।
দ্রুত নির্বাচনের প্রশ্নে বেশি সোচ্চার এ সময়ের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাপ্ত খবরে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী দখলদার ও চাঁদাবাজদের শূন্যস্থান পূরণ করার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার বিএনপির চাঁদাবাজদের সতর্ক করে দিলেও এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের বহিষ্কার করলেও চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এ রকম অবস্থায় সাধারণ মানুষের মনে সংশয় জাগছে, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যদি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে, তাহলে কি চাঁদাবাজি আর দখলদারির অবসান ঘটবে?
গত আগস্ট মাসে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তা এখন ভঙ্গুর। বিভিন্ন মতবাদে বিভক্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলো এখন পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। সমন্বয়কদের কাউকে কাউকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, যার সবকিছু পত্র-পত্রিকায় আসছে না। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের ঘটনা ঘটছে। মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
ক্ষমতার রদবদলে জনজীবনে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, তার প্রতিফলন খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। দখলদার আর চাঁদাবাজ বদল হওয়া, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকার ঘটনাগুলোকে নির্বিকার চোখে দেখলে হবে না। ছাত্রদের মধ্যে যে কোন্দলের জন্ম হয়েছে, তা-ও কারও জন্য শুভ লক্ষণ নয়। জনগণের জন্য একটি সুস্থ ও সুস্থির রাজনৈতিক বাস্তবতা এনে দিতে না পারলে সামনে আরও কঠিন সময় আসবে। দেয়াললিখনের একটা বড় অংশজুড়ে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধের অঙ্গীকার ছিল। সেগুলো কমার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কি শুধু ক্ষমতার রদবদল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে জনগণের?
জনগণ একটা ইতিবাচক পরিবর্তন চেয়েছিল, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জনগণ সেই প্রতিশ্রুতিই চাইবে আবারও।
দেশজুড়ে এখন সবচেয়ে মুখরোচক আলোচনা হচ্ছে নির্বাচন ঘিরে। কেউ চাইছে নির্বাচন হোক সংস্কারের পর, কেউ চাইছে এ বছরের মাঝামাঝি। কেউ বলছে আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ নির্বাচন হবে। অভিজ্ঞ মহল বলছে, সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন হওয়ার পরও তা চলতে থাকবে। সুতরাং সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন আটকে রাখা ঠিক নয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যে প্রত্যাশা ছিল সাধারণ মানুষের, তা ফিকে হতে শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং দ্রব্যমূল্যের হাল নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে জনগণ। এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে করের হার বাড়ানোয় তা যে সাধারণ মানুষের জীবনেই ত্রাহি মধুসূদন অবস্থার সৃষ্টি করবে, সে কথা নতুন করে বলতে হবে না। মূলত এক গভীর সংকটের সম্মুখীন হয়েছে দেশ।
নির্বাচনবিষয়ক যে সংস্কার কমিটি গঠিত হয়েছিল, তাদের কার্যকালেই নতুন নির্বাচন কমিশন কেন গঠন করা হলো, তা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। অনেকেই বলেছেন, কমিটির সুপারিশ আসার আগেই পুরোনো রীতিতে একটি কমিশন গঠন করা হলে সংস্কার কমিটির সুপারিশগুলোর কী হবে? তড়িঘড়ি করে কমিশন গঠন করা হলো কেন, এ প্রশ্নটি ঘুরছে অনেকের মনে।
দ্রুত নির্বাচনের প্রশ্নে বেশি সোচ্চার এ সময়ের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাপ্ত খবরে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী দখলদার ও চাঁদাবাজদের শূন্যস্থান পূরণ করার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার বিএনপির চাঁদাবাজদের সতর্ক করে দিলেও এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের বহিষ্কার করলেও চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এ রকম অবস্থায় সাধারণ মানুষের মনে সংশয় জাগছে, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যদি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে, তাহলে কি চাঁদাবাজি আর দখলদারির অবসান ঘটবে?
গত আগস্ট মাসে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তা এখন ভঙ্গুর। বিভিন্ন মতবাদে বিভক্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলো এখন পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। সমন্বয়কদের কাউকে কাউকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, যার সবকিছু পত্র-পত্রিকায় আসছে না। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের ঘটনা ঘটছে। মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
ক্ষমতার রদবদলে জনজীবনে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, তার প্রতিফলন খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। দখলদার আর চাঁদাবাজ বদল হওয়া, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকার ঘটনাগুলোকে নির্বিকার চোখে দেখলে হবে না। ছাত্রদের মধ্যে যে কোন্দলের জন্ম হয়েছে, তা-ও কারও জন্য শুভ লক্ষণ নয়। জনগণের জন্য একটি সুস্থ ও সুস্থির রাজনৈতিক বাস্তবতা এনে দিতে না পারলে সামনে আরও কঠিন সময় আসবে। দেয়াললিখনের একটা বড় অংশজুড়ে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধের অঙ্গীকার ছিল। সেগুলো কমার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কি শুধু ক্ষমতার রদবদল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে জনগণের?
জনগণ একটা ইতিবাচক পরিবর্তন চেয়েছিল, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জনগণ সেই প্রতিশ্রুতিই চাইবে আবারও।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫