সম্পাদকীয়

হবিগঞ্জে এক ফিজিওথেরাপিস্ট নিজের নামের সঙ্গে প্রফেসর পদবি যোগ করে দিব্যি প্রেসক্রিপশন লিখে চলেছিলেন। অসহায় রোগীরা এই ডাকসাঁইটে ‘অধ্যাপক’-এর কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বিশ্বাস করেই ওষুধ কিনছিলেন। একসময় স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়লে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে অভিযান চালায় এবং প্রমাণ পেয়ে ফিজিওথেরাপিস্ট আব্দুর রহমানকে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
কতটা বুকের পাটা থাকলে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট চিকিৎসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন? ব্যবস্থাপত্র লিখে রোগীদের প্রতারিত করতে পারেন? হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী হাসপাতালে আটক হওয়া এই ব্যক্তি বহুদিন ধরেই এই প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান কি তাঁর যোগ্যতা সম্পর্কে জানত না? তিনি যে চিকিৎসক নন, অথচ চিকিৎসা দিয়ে চলেছেন, এটা কি এলাকার মানুষের চোখে আগে পড়েনি? এত দিন ধরে তিনি যে অসুস্থ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে গেলেন, তাতে তাঁর নৈতিকতা কোন পর্যায়ের, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। প্রশ্ন হলো, এ ধরনের প্রতারক কি তিনি একজনই? নানা প্রতিষ্ঠানে নানাভাবে কতজন এ ধরনের প্রতারক ঘাপটি মেরে বসে আছেন, তার কোনো হদিস কি আছে। সম্প্রতি পত্রিকায় রাজশাহীর এক ভুয়া শিক্ষকের খবরও বেরিয়েছে। রফিকুল ইসলাম নামের এই লোক রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাটখুজিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বহু বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া এই ভদ্রলোক জাল সনদে শিক্ষক হয়ে টানা ২০ বছর চাকরি করে গেছেন। অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে এসেছে অভিযোগ। এখনো তদন্ত শুরু হয়নি। তবে তিনি যে জাল সনদ জমা দিয়েছিলেন, এ কথা অনেকেই বলছেন। তদন্তের আগে তাঁর সম্পর্কে কিছু না বলে বরং অপেক্ষা করা যাক।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা—দুটোই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুটোর সঙ্গেই সাধারণ নাগরিকের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। একটি জাতি মানসিক ও শারীরিকভাবে বলিষ্ঠ না হলে জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ে। যাঁরা এই মেরুদণ্ড রক্ষার কাজ করবেন, তাঁদের মধ্যেই এ রকম প্রতারণার দেখা পাওয়া গেলে সামগ্রিকভাবে জনজীবনে তার প্রতিফলন পড়তে বাধ্য। আরও শঙ্কার ব্যাপার হলো, এই ধরনের প্রতারণা চলতে থাকলে আরও বেশি প্রতারকেরা এভাবে চিকিৎসক, শিক্ষকের লেবাস শরীরে জড়িয়ে জাতীয় জীবনে অনিষ্ট ঘটিয়ে যেতে থাকবেন।
‘প্রফেসর আব্দুর রহমানের’ কাছে সরলভাবেই জানতে চাওয়া দরকার, কেন হঠাৎ তাঁর প্রফেসর সাজতে ইচ্ছে হলো? ভাবনার প্যাটার্নটা এই কারণে জানা জরুরি যে, একইভাবে আরও কত মানুষ একই ধরনের ভাবনা নিয়ে বেঁচে আছে, তা অনুমান করার জন্য। পরিশ্রম ও চর্চার পরিবর্তে প্রতারণার মাধ্যমে যদি টিকে থাকা যায়, তাহলে অনেকেই এই সহজ পথ অবলম্বন করতে পারে।
মেধা, পরিশ্রমের যোগেই গড়ে ওঠে কর্মনিষ্ঠ মানুষ। সেই মানুষেরাই গড়ে তোলে শান্তিপূর্ণ বুদ্ধিদীপ্ত সমাজ। তার অভাবেই গড়ে ওঠে এক অগভীর, অদক্ষ মানবসমাজ। আব্দুর রহমানের মতো প্রতারকদের প্রতিহত করতে না পারলে ভুগতে হবে পুরো জাতিকে।

হবিগঞ্জে এক ফিজিওথেরাপিস্ট নিজের নামের সঙ্গে প্রফেসর পদবি যোগ করে দিব্যি প্রেসক্রিপশন লিখে চলেছিলেন। অসহায় রোগীরা এই ডাকসাঁইটে ‘অধ্যাপক’-এর কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বিশ্বাস করেই ওষুধ কিনছিলেন। একসময় স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়লে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে অভিযান চালায় এবং প্রমাণ পেয়ে ফিজিওথেরাপিস্ট আব্দুর রহমানকে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
কতটা বুকের পাটা থাকলে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট চিকিৎসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন? ব্যবস্থাপত্র লিখে রোগীদের প্রতারিত করতে পারেন? হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী হাসপাতালে আটক হওয়া এই ব্যক্তি বহুদিন ধরেই এই প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান কি তাঁর যোগ্যতা সম্পর্কে জানত না? তিনি যে চিকিৎসক নন, অথচ চিকিৎসা দিয়ে চলেছেন, এটা কি এলাকার মানুষের চোখে আগে পড়েনি? এত দিন ধরে তিনি যে অসুস্থ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে গেলেন, তাতে তাঁর নৈতিকতা কোন পর্যায়ের, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। প্রশ্ন হলো, এ ধরনের প্রতারক কি তিনি একজনই? নানা প্রতিষ্ঠানে নানাভাবে কতজন এ ধরনের প্রতারক ঘাপটি মেরে বসে আছেন, তার কোনো হদিস কি আছে। সম্প্রতি পত্রিকায় রাজশাহীর এক ভুয়া শিক্ষকের খবরও বেরিয়েছে। রফিকুল ইসলাম নামের এই লোক রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাটখুজিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বহু বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া এই ভদ্রলোক জাল সনদে শিক্ষক হয়ে টানা ২০ বছর চাকরি করে গেছেন। অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে এসেছে অভিযোগ। এখনো তদন্ত শুরু হয়নি। তবে তিনি যে জাল সনদ জমা দিয়েছিলেন, এ কথা অনেকেই বলছেন। তদন্তের আগে তাঁর সম্পর্কে কিছু না বলে বরং অপেক্ষা করা যাক।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা—দুটোই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুটোর সঙ্গেই সাধারণ নাগরিকের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। একটি জাতি মানসিক ও শারীরিকভাবে বলিষ্ঠ না হলে জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ে। যাঁরা এই মেরুদণ্ড রক্ষার কাজ করবেন, তাঁদের মধ্যেই এ রকম প্রতারণার দেখা পাওয়া গেলে সামগ্রিকভাবে জনজীবনে তার প্রতিফলন পড়তে বাধ্য। আরও শঙ্কার ব্যাপার হলো, এই ধরনের প্রতারণা চলতে থাকলে আরও বেশি প্রতারকেরা এভাবে চিকিৎসক, শিক্ষকের লেবাস শরীরে জড়িয়ে জাতীয় জীবনে অনিষ্ট ঘটিয়ে যেতে থাকবেন।
‘প্রফেসর আব্দুর রহমানের’ কাছে সরলভাবেই জানতে চাওয়া দরকার, কেন হঠাৎ তাঁর প্রফেসর সাজতে ইচ্ছে হলো? ভাবনার প্যাটার্নটা এই কারণে জানা জরুরি যে, একইভাবে আরও কত মানুষ একই ধরনের ভাবনা নিয়ে বেঁচে আছে, তা অনুমান করার জন্য। পরিশ্রম ও চর্চার পরিবর্তে প্রতারণার মাধ্যমে যদি টিকে থাকা যায়, তাহলে অনেকেই এই সহজ পথ অবলম্বন করতে পারে।
মেধা, পরিশ্রমের যোগেই গড়ে ওঠে কর্মনিষ্ঠ মানুষ। সেই মানুষেরাই গড়ে তোলে শান্তিপূর্ণ বুদ্ধিদীপ্ত সমাজ। তার অভাবেই গড়ে ওঠে এক অগভীর, অদক্ষ মানবসমাজ। আব্দুর রহমানের মতো প্রতারকদের প্রতিহত করতে না পারলে ভুগতে হবে পুরো জাতিকে।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১৯ দিন আগে
গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১৯ দিন আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১৯ দিন আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
২০ দিন আগে