সম্পাদকীয়
সাধারণভাবে অনেকের মধ্যে এমন একটি ধারণা চালু আছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা নিঃশর্ত সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়ে ড. ইউনূস ‘বিশ্বজয়’ করে এসেছেন বলেও প্রচার করা হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ায় এবং একজন ভালো বক্তা হওয়ায় তাঁর পরিচিতি ও সুনাম অবশ্যই বিশ্বজোড়া। কিন্তু সরকার পরিচালনায় সাফল্য না দেখাতে পারলে প্রচলিত খ্যাতিটাই বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে না, তা নয়।
দেশের অভ্যন্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সব পদক্ষেপ বাইরের দুনিয়া বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নেবে—এমনটা না-ও হতে পারে। ধারণা ও বাস্তবতা সব সময় এক রকম হয় না। বিশ্বরাজনীতি আবেগনির্ভর নয়, স্বার্থনির্ভর। পৃথিবীর কোনো কিছুই স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়, স্বার্থের বাইরে নয়। নানা রকম হিসাবনিকাশ করেই নির্ধারিত হয় দেশে দেশে সরকারে সরকারে পারস্পরিক সম্পর্ক। আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তি শুধু নীতিনৈতিকতানির্ভর নয়।
এটা ঠিক যে ছাত্র-জনতার একটি সফল আন্দোলনের ফসল ড. ইউনূসের সরকার। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও এই সরকারকে কোনোভাবেই জনসমর্থনহীন বলা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ বারবার ক্ষমতাসীনদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। এবার তাই অরাজনৈতিক শাসক ড. ইউনূসের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। ড. ইউনূস ও তাঁর সহযোগীদের সাফল্য কামনা করছে দেশবাসী।
এই প্রেক্ষাপটেই জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের প্রধান ফলকার তুর্ক দুই দিনের সফরে ২৯ অক্টোবর ঢাকা এসেছিলেন। এই সফরে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, সরকারের ছয় উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ৩০ অক্টোবর তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। সংবাদ সম্মেলনে ফলকার তুর্কের বক্তব্যে কিন্তু সরকারের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার যখন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তাঁর দলের জন্য কোনো জায়গা রাখছে না, তখন শুধু রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সদস্যসহ ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা না করার তাগিদ দিয়েছেন ফলকার তুর্ক। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকসহ অনেকের বিরুদ্ধে খুনসহ এমন অনেক অভিযোগ আনা হয়েছে, তদন্তে যার সত্যতা মেলেনি।
ফলকার তুর্ক বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থান থেকে এ পর্যন্ত যা অর্জন হলো, তাতে মানবাধিকারকে কেন্দ্রে রেখে সুশাসন, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক নীতিমালাগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হলে রাষ্ট্রে বিভক্তি, বৈষম্য ও বিচারহীনতার অবসানের জন্য মজবুত ভিত্তি তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। প্রতিশোধপরায়ণতা, দুর্নীতি ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না, এমন পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে বিরুদ্ধ মত দমনে অভ্যস্ত হয়ে পড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোয় এবং দমনমূলক আইনের সংস্কারের তাগিদ দিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকারপ্রধান বলেন, শুধু পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনার মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা যেতে পারে।
সাধারণভাবে অনেকের মধ্যে এমন একটি ধারণা চালু আছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা নিঃশর্ত সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়ে ড. ইউনূস ‘বিশ্বজয়’ করে এসেছেন বলেও প্রচার করা হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ায় এবং একজন ভালো বক্তা হওয়ায় তাঁর পরিচিতি ও সুনাম অবশ্যই বিশ্বজোড়া। কিন্তু সরকার পরিচালনায় সাফল্য না দেখাতে পারলে প্রচলিত খ্যাতিটাই বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে না, তা নয়।
দেশের অভ্যন্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সব পদক্ষেপ বাইরের দুনিয়া বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নেবে—এমনটা না-ও হতে পারে। ধারণা ও বাস্তবতা সব সময় এক রকম হয় না। বিশ্বরাজনীতি আবেগনির্ভর নয়, স্বার্থনির্ভর। পৃথিবীর কোনো কিছুই স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়, স্বার্থের বাইরে নয়। নানা রকম হিসাবনিকাশ করেই নির্ধারিত হয় দেশে দেশে সরকারে সরকারে পারস্পরিক সম্পর্ক। আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তি শুধু নীতিনৈতিকতানির্ভর নয়।
এটা ঠিক যে ছাত্র-জনতার একটি সফল আন্দোলনের ফসল ড. ইউনূসের সরকার। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও এই সরকারকে কোনোভাবেই জনসমর্থনহীন বলা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ বারবার ক্ষমতাসীনদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। এবার তাই অরাজনৈতিক শাসক ড. ইউনূসের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। ড. ইউনূস ও তাঁর সহযোগীদের সাফল্য কামনা করছে দেশবাসী।
এই প্রেক্ষাপটেই জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের প্রধান ফলকার তুর্ক দুই দিনের সফরে ২৯ অক্টোবর ঢাকা এসেছিলেন। এই সফরে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, সরকারের ছয় উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ৩০ অক্টোবর তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। সংবাদ সম্মেলনে ফলকার তুর্কের বক্তব্যে কিন্তু সরকারের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার যখন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তাঁর দলের জন্য কোনো জায়গা রাখছে না, তখন শুধু রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সদস্যসহ ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা না করার তাগিদ দিয়েছেন ফলকার তুর্ক। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকসহ অনেকের বিরুদ্ধে খুনসহ এমন অনেক অভিযোগ আনা হয়েছে, তদন্তে যার সত্যতা মেলেনি।
ফলকার তুর্ক বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থান থেকে এ পর্যন্ত যা অর্জন হলো, তাতে মানবাধিকারকে কেন্দ্রে রেখে সুশাসন, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক নীতিমালাগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হলে রাষ্ট্রে বিভক্তি, বৈষম্য ও বিচারহীনতার অবসানের জন্য মজবুত ভিত্তি তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। প্রতিশোধপরায়ণতা, দুর্নীতি ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না, এমন পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে বিরুদ্ধ মত দমনে অভ্যস্ত হয়ে পড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোয় এবং দমনমূলক আইনের সংস্কারের তাগিদ দিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকারপ্রধান বলেন, শুধু পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনার মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা যেতে পারে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫