সম্পাদকীয়
বেশ কয়েক দিন ধরে নানা কারণে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে, তা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়। যেকোনো একটি বিষয়কে ইস্যু বানিয়ে রাস্তায় নেমে যাচ্ছে মানুষ। কলেজ-শিক্ষার্থীরা একে অন্যের প্রতি হিংস্র হয়ে উঠছেন। গণমাধ্যমের প্রতি চড়াও হচ্ছেন কেউ কেউ। ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে কি চলবে না, তা নিয়েও অবরোধ হয়েছে। এ রকম আরও অনেক কারণেই অস্থির হয়ে থাকছে রাজধানী, কখনো কখনো রাজধানীর বাইরের কোনো কোনো শহরও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে যে অরাজকতার সৃষ্টি হয়, তা সামাল দেওয়া মুশকিল।
অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন, দীর্ঘদিন নিজেদের বঞ্চনার কথা বলার সুযোগ ছিল না বলে এখন অনেকেই তাঁদের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। কোনো কোনো ব্যাপারে কথাটা ঠিক হলেও সব ক্ষেত্রে তা ঠিক নয়। বিবদমান কলেজগুলোয় ভাঙচুর করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুণ্ঠন করার সঙ্গে বঞ্চনার কোনো সম্পর্ক নেই। উত্তেজিত হলেই ভাঙচুর চালাতে হবে, এ রকম একটা মানসিকতা তৈরি হলে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে বাধ্য। তাতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বাড়তেই থাকবে। সে ক্ষেত্রে আইন-আদালতের কোনো প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করবে না।
দেশ আজ একটি বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিদ্বেষ, হানাহানি, প্রতিশোধপরায়ণতা কোনো সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে পারে না, এ কথা অনুভব করতে হবে। দেশ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করার পাশাপাশি এই সময়টিতে মানুষ যেন আইনের প্রতি আস্থা রেখে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন করতে পারে, তার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের শাস্তি দেওয়ার জন্যই সব মনোযোগ নিবিষ্ট করলে তা একসময় শুধু ‘উইচ হান্টিং’-এ পরিণত হতে পারে। যে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গণজাগরণ হয়েছিল, সে আকাঙ্ক্ষার বাস্তব রূপ দেখতে হলে প্রাথমিকভাবে সমাজে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। নইলে অরাজক পরিবেশে সংস্কারের পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে।
দেখতে দেখতে ক্ষমতায় থাকার তিন মাস পার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অনেক বিশ্লেষকের ভাষায়, এই সরকার এখনো দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তনের অবয়ব দেখাতে পারেনি। কোনো রূপরেখা না দেওয়ায় আসলেই এই সরকারের স্থায়িত্ব কত দিন, সে প্রশ্নেরও উত্তর পাওয়া যায়নি। ধীরে ধীরে সব পক্ষই অস্থির হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছে। সংস্কার শেষে নির্বাচন, সংস্কারকাজ পরিচালনার পাশাপাশি নির্বাচন নাকি নির্বাচিত সরকারের হাতে সংস্কার—এই প্রশ্নগুলোর
উত্তর পাওয়ার জন্য জনগণও উদ্গ্রীব হয়ে আছে। মনে রাখতে হবে, গণমাধ্যমে যাঁদের চেহারা বারবার দেখা যায় কিংবা যাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়, শুধু তাঁরাই এ দেশের জনগণ নয়। ফসল ফলান যে কৃষক, কারখানার চাকা সচল রাখেন যে শ্রমিক, অন্য কথায়
দেশের খেটে খাওয়া মানুষই মূলত দেশের চালিকাশক্তি। তাঁদের জীবনযাপনে নিরাপত্তা না এলে মুক্তির প্রশ্নটি উত্তরহীন হয়ে থাকবে। তাই সব পক্ষের প্রতি অনুরোধ—শান্ত হোন। ভালোভাবে বাঁচবার উপায় খুঁজুন।
বেশ কয়েক দিন ধরে নানা কারণে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে, তা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়। যেকোনো একটি বিষয়কে ইস্যু বানিয়ে রাস্তায় নেমে যাচ্ছে মানুষ। কলেজ-শিক্ষার্থীরা একে অন্যের প্রতি হিংস্র হয়ে উঠছেন। গণমাধ্যমের প্রতি চড়াও হচ্ছেন কেউ কেউ। ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে কি চলবে না, তা নিয়েও অবরোধ হয়েছে। এ রকম আরও অনেক কারণেই অস্থির হয়ে থাকছে রাজধানী, কখনো কখনো রাজধানীর বাইরের কোনো কোনো শহরও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে যে অরাজকতার সৃষ্টি হয়, তা সামাল দেওয়া মুশকিল।
অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন, দীর্ঘদিন নিজেদের বঞ্চনার কথা বলার সুযোগ ছিল না বলে এখন অনেকেই তাঁদের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। কোনো কোনো ব্যাপারে কথাটা ঠিক হলেও সব ক্ষেত্রে তা ঠিক নয়। বিবদমান কলেজগুলোয় ভাঙচুর করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুণ্ঠন করার সঙ্গে বঞ্চনার কোনো সম্পর্ক নেই। উত্তেজিত হলেই ভাঙচুর চালাতে হবে, এ রকম একটা মানসিকতা তৈরি হলে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে বাধ্য। তাতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বাড়তেই থাকবে। সে ক্ষেত্রে আইন-আদালতের কোনো প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করবে না।
দেশ আজ একটি বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিদ্বেষ, হানাহানি, প্রতিশোধপরায়ণতা কোনো সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে পারে না, এ কথা অনুভব করতে হবে। দেশ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করার পাশাপাশি এই সময়টিতে মানুষ যেন আইনের প্রতি আস্থা রেখে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন করতে পারে, তার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের শাস্তি দেওয়ার জন্যই সব মনোযোগ নিবিষ্ট করলে তা একসময় শুধু ‘উইচ হান্টিং’-এ পরিণত হতে পারে। যে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গণজাগরণ হয়েছিল, সে আকাঙ্ক্ষার বাস্তব রূপ দেখতে হলে প্রাথমিকভাবে সমাজে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। নইলে অরাজক পরিবেশে সংস্কারের পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে।
দেখতে দেখতে ক্ষমতায় থাকার তিন মাস পার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অনেক বিশ্লেষকের ভাষায়, এই সরকার এখনো দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তনের অবয়ব দেখাতে পারেনি। কোনো রূপরেখা না দেওয়ায় আসলেই এই সরকারের স্থায়িত্ব কত দিন, সে প্রশ্নেরও উত্তর পাওয়া যায়নি। ধীরে ধীরে সব পক্ষই অস্থির হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছে। সংস্কার শেষে নির্বাচন, সংস্কারকাজ পরিচালনার পাশাপাশি নির্বাচন নাকি নির্বাচিত সরকারের হাতে সংস্কার—এই প্রশ্নগুলোর
উত্তর পাওয়ার জন্য জনগণও উদ্গ্রীব হয়ে আছে। মনে রাখতে হবে, গণমাধ্যমে যাঁদের চেহারা বারবার দেখা যায় কিংবা যাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়, শুধু তাঁরাই এ দেশের জনগণ নয়। ফসল ফলান যে কৃষক, কারখানার চাকা সচল রাখেন যে শ্রমিক, অন্য কথায়
দেশের খেটে খাওয়া মানুষই মূলত দেশের চালিকাশক্তি। তাঁদের জীবনযাপনে নিরাপত্তা না এলে মুক্তির প্রশ্নটি উত্তরহীন হয়ে থাকবে। তাই সব পক্ষের প্রতি অনুরোধ—শান্ত হোন। ভালোভাবে বাঁচবার উপায় খুঁজুন।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
২৩ দিন আগেগত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
২৩ দিন আগেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
২৩ দিন আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
২৪ দিন আগে