সম্পাদকীয়
গণ-অভ্যুত্থান যখন আগস্ট থেকে জানুয়ারিতে এসে পা রেখেছে, তখন বিভিন্ন সংগঠনের সৃষ্ট অনেক ঘটনাতেই রাজনৈতিক জটিলতা বেড়ে ওঠার আলামত দেখা যাচ্ছে। যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল মানুষ, আন্দোলন শেষে তা এখন কিছুটা শীতল। আন্দোলনের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে জমে উঠেছে বিতর্ক। যে যার মতো করে নিজেদেরই আন্দোলনের মূল কারিগর বলে দাবি করছে।
এ রকম একটি অবস্থায় বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধটি চোখে পড়ছে সবচেয়ে বেশি। সমন্বয়কদের অনেকের করা মন্তব্য বিএনপি ভালোভাবে নেয়নি। বিএনপির মনে হয়েছে, একদা মাইনাস টু ফর্মুলা দিয়ে হাসিনা-খালেদাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার যে পাঁয়তারা করেছিল ওয়ান-ইলেভেনের সরকার, তারই ধারাবাহিকতায় এখন আওয়ামী লীগের পরে বিএনপিকেও রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে বিএনপি সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে। সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের কারও কারও বিতর্কিত মন্তব্যেও আহত হয়েছে বিএনপি। ফলে ছাত্রনেতাদের কোন বক্তব্যের কী অর্থ, সেটা বুঝে তারা জবাব দিচ্ছে। তাতে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।
গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মকাণ্ডকে সন্দেহের চোখেই দেখছে রাজনৈতিক দলটি।
রাজনীতিতে পরিপক্বতার জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কোনো নেতার আচরণে সেই অভিজ্ঞতার অভাব লক্ষ করা গেছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তারা অনেক সময়ই ফল পেয়েছে বলে সব ক্ষেত্রেই এই ছাড় পাবে, সেটা মনে করে থাকতে পারে। তবে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সোচ্চার হলেও বিএনপির বিরোধিতার কারণে সরকারেরও সমর্থন পায়নি। এরপর আরও কিছু ব্যাপারে সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এখন বলাই যায়, রাজনৈতিক পালাবদলের পর সংস্কার কর্মকাণ্ড যতটা দ্রুত করে ফেলা যাবে বলে মনে করা হয়েছিল, সে ধারণা পূর্ণতা পায়নি। এই অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ কত দিন হবে, তা নিয়েও স্পষ্ট করে কিছুই বলা হয়নি, যদিও এই বছরের ডিসেম্বরে কিংবা আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু সংশয়ীদের অনেকেই মনে করছেন, অনির্বাচিত সরকার অতি সহজে ক্ষমতা ত্যাগ করবে না।
বিএনপির মধ্যেও এই সংশয় রয়েছে। তাই তারা বারবার নির্বাচনের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেও নয়া রাজনৈতিক সংগঠন তৈরি হচ্ছে। তারাও নির্বাচনে অংশ নেবে। অতীতে সামরিক সরকারগুলো নিজেদের সরকারকে জায়েজ করার জন্য কিংস পার্টি গঠন করেছিল। শিক্ষার্থীদের দলটি কিংস পার্টি হতে যাচ্ছে কি না, তা নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা।
রাজনীতির পথটি সুস্থ ও স্বচ্ছ না হলে কেবল ‘ব্লেইম গেম’-এর ওপর নির্ভর করে বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া যায় না, এ কথা বুঝতে হবে বিবদমান পক্ষগুলোকে। নইলে যে হযবরল-এর সৃষ্টি হবে, তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
গণ-অভ্যুত্থান যখন আগস্ট থেকে জানুয়ারিতে এসে পা রেখেছে, তখন বিভিন্ন সংগঠনের সৃষ্ট অনেক ঘটনাতেই রাজনৈতিক জটিলতা বেড়ে ওঠার আলামত দেখা যাচ্ছে। যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল মানুষ, আন্দোলন শেষে তা এখন কিছুটা শীতল। আন্দোলনের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে জমে উঠেছে বিতর্ক। যে যার মতো করে নিজেদেরই আন্দোলনের মূল কারিগর বলে দাবি করছে।
এ রকম একটি অবস্থায় বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধটি চোখে পড়ছে সবচেয়ে বেশি। সমন্বয়কদের অনেকের করা মন্তব্য বিএনপি ভালোভাবে নেয়নি। বিএনপির মনে হয়েছে, একদা মাইনাস টু ফর্মুলা দিয়ে হাসিনা-খালেদাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার যে পাঁয়তারা করেছিল ওয়ান-ইলেভেনের সরকার, তারই ধারাবাহিকতায় এখন আওয়ামী লীগের পরে বিএনপিকেও রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে বিএনপি সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে। সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের কারও কারও বিতর্কিত মন্তব্যেও আহত হয়েছে বিএনপি। ফলে ছাত্রনেতাদের কোন বক্তব্যের কী অর্থ, সেটা বুঝে তারা জবাব দিচ্ছে। তাতে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।
গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মকাণ্ডকে সন্দেহের চোখেই দেখছে রাজনৈতিক দলটি।
রাজনীতিতে পরিপক্বতার জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কোনো নেতার আচরণে সেই অভিজ্ঞতার অভাব লক্ষ করা গেছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তারা অনেক সময়ই ফল পেয়েছে বলে সব ক্ষেত্রেই এই ছাড় পাবে, সেটা মনে করে থাকতে পারে। তবে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সোচ্চার হলেও বিএনপির বিরোধিতার কারণে সরকারেরও সমর্থন পায়নি। এরপর আরও কিছু ব্যাপারে সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এখন বলাই যায়, রাজনৈতিক পালাবদলের পর সংস্কার কর্মকাণ্ড যতটা দ্রুত করে ফেলা যাবে বলে মনে করা হয়েছিল, সে ধারণা পূর্ণতা পায়নি। এই অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ কত দিন হবে, তা নিয়েও স্পষ্ট করে কিছুই বলা হয়নি, যদিও এই বছরের ডিসেম্বরে কিংবা আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু সংশয়ীদের অনেকেই মনে করছেন, অনির্বাচিত সরকার অতি সহজে ক্ষমতা ত্যাগ করবে না।
বিএনপির মধ্যেও এই সংশয় রয়েছে। তাই তারা বারবার নির্বাচনের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেও নয়া রাজনৈতিক সংগঠন তৈরি হচ্ছে। তারাও নির্বাচনে অংশ নেবে। অতীতে সামরিক সরকারগুলো নিজেদের সরকারকে জায়েজ করার জন্য কিংস পার্টি গঠন করেছিল। শিক্ষার্থীদের দলটি কিংস পার্টি হতে যাচ্ছে কি না, তা নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা।
রাজনীতির পথটি সুস্থ ও স্বচ্ছ না হলে কেবল ‘ব্লেইম গেম’-এর ওপর নির্ভর করে বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া যায় না, এ কথা বুঝতে হবে বিবদমান পক্ষগুলোকে। নইলে যে হযবরল-এর সৃষ্টি হবে, তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫