সেলিম জাহান
‘বিন্দু থেকে বৃত্ত’ ছিল বাংলাদেশের প্রথম নারী চিত্রপরিচালক রেবেকার চলচ্চিত্রের নাম। বর্তমান সময়ে করোনা সঙ্কটকালে চারপাশে মৃত্যুর যে মিছিল চলছে, সেটা দেখে রেবেকার ছবির শিরোনাম উল্টো করে দিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে, ‘বৃত্ত থেকে বিন্দু’। একটা সময় গেছে তখন সংবাদ পেতাম, আমাদের অপরিচিত কোনো একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত হয়েছেন; তারপর আমাদের পরিচিতের কোনো এক পরিচিত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রয়াত হয়েছেন। যাঁরা চলে গিয়েছেন, তাঁরা আমাদের অপরিচিত ছিলেন, দূরের কোনো মানুষ - আমাদের বহিঃবৃত্তের কোনো একজন।
তারপর বৃত্ত ক্রমে ক্রমে ছোট হয়ে আসতে শুরু করলো। পরিচিত মানুষেরা আক্রান্ত হতে শুরু করলেন এবং চলে যেতে শুরু করলেন। মনের ওপরে চাপ বাড়লো। তারপর সংবাদ আসতে থাকল বন্ধুবান্ধব আর নিকটজনদের চলে যাওয়ার। বৃত্ত তার পরিসীমা আরও ছোট করে নিয়ে এল। মনে হলো বৃত্ত ক্রমেই বিন্দুর দিকে এগোচ্ছে। আর এখন? অতিমারী হানা দিয়েছে বৃহত্তর পারিবারিক বলয়ে। বৃত্ত হয়ে গেছে বিন্দু।
এবং স্বাভাবিকভাবেই এই বিন্দু হয়ে উঠেছে ভয়ের আকর। যাঁরা অতিমারিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, ভয় তাঁদেরকে টাল-মাটাল করে দিচ্ছে। অনুজসম একজন লিখেছেন, ‘ভয় পাচ্ছি। ভীষণ ভয় পাচ্ছি’। স্নেহভাজন পুত্রসম একজন বলেছেন, ‘আমাকে ক্ষমা করে দেবেন’। এসব কথা যখন পড়েছি ও শুনেছি, তখন এক শীতল অনুভূতি আমার শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেছে। কেন এমন কথা? কেন? কেন? কি ভাবনা স্রোতের মতো বয়ে চলেছে তাঁদের মনে? কি কথা জলের মতো ঘুরে ঘুরে কথা কইছে তাঁদের চেতনায়?
সে আমি জানি না, কিন্তু বুঝতে পারি। সেই সঙ্গে যখন দেখি অতিমারি বেড়ে চলছে বাংলাদেশে, তখন চিন্তিত হই। পড়েছি, সরকারি ভাষ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেম এবং ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুনতে পাচ্ছি, হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না, একটি হাসপাতাল শয্যার জন্যে মানুষ এখানে সেখানে দৌঁড়ুচ্ছেন। নিবিড় পরিচর্যা শয্যা লভ্য নয়। তখন শঙ্কিত হই।
আসলে আমার শুধু শঙ্কা নয়, আমার শঙ্কা এক ক্রোধ-মিশ্রিত শঙ্কা। গত কয়েক মাসে আমরা সক্কলে মিলে বনভোজনে গিয়েছি, দলবেঁধে চড়ুইভাতি করেছি, ঘটা করে বিয়েবাড়িতে গেছি। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মের কি তুলনা হয়? আর তা’ছাড়া যখন পুরো দেশ অতিমারিতে আক্রান্ত, মানুষের মৃত্যু হচ্ছে প্রতিদিন, তখন এ জাতীয় কার্যকলাপ তো শোভনও নয়। এবারের যে ভাবে বইমেলা বসানো হয়েছে, অন্য কোনো উপায়ে তা কি করা যেত না? বিকল্প কি ছিল না তার?
অতিমারির ক্ষেত্রে আমাদের ও রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কিন্তু অনেকটা এক রকমে - সে প্রতিক্রিয়ার নাম ‘আরেকটু দেখি’। আমাদের যখন অল্প অল্প জ্বর, একটু কাশি, সামান্য গায়ে-ব্যথা, আমরা বলি, ‘এটা সামান্য ফ্লু। আরেকটু দেখি’। বহু ক্ষেত্রে তখন অনেক দেরি হয়ে যায় - নানান জটিলতার সৃষ্টি হয়। সুতরাং শুরুতেই পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সময়কে ‘হন্তা’ হতে দেবেন না।
অতিমারি যখন খারাপের পথে যায়, তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্র বিলম্ব করে। এই যেমন, এবার সবাই বলছেন যে, মাস খানেক আগেই যদি অবরোধ ব্যবস্থা নেয়া হতো, তাহলে বহু প্রকোপ এড়ানো যেত। এখানেও হয়তো ‘আরেকটু দেখি’ মানসিকতা কাজ করেছে। মনে আছে, গত বছর বৃটেনে মার্চ মাসে শক্ত ব্যবস্হা নিতে প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসনের গড়িমসিতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। সময়কে বিলম্বিত হতে দেয়া যাবে না।
সবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতে ক’টি কথা বলি। প্রথমত দায়িত্বশীল ব্যবহার আমাদের প্রত্যেকের জন্য দরকার।সবাই বলেন, ‘অন্যের কথা বিবেচনা করে দায়িত্ববান হন’। আমি বলি, ‘নিজের কথা ভেবেই দায়িত্ববান হোন’। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভালো হয়ে যেতে পারেন, কিন্তু বহুলাংশেই দেখা গেছে যে পরবর্তী সময়ে হৃদরোগসহ নানান জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং প্রত্যেকের লক্ষ্য হওয়া উচিত, সব প্রতিরোধক ব্যবস্হা আমরা নেব, যাতে আমরা আক্রান্ত হওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি।
দ্বিতীয়ত কোভিড প্রতিরোধে টিকা আবশ্যকীয় শর্ত, কিন্তু পর্যাপ্ত শর্ত নয়। সুতরাং একটি টিকা তো নয়ই, দু’টো টিকা নেয়া মানে এই নয় যে, আমরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। সুতরাং প্রতিরোধের সব বিধি-নিষেধ আমাদের পরিপূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে। মুখাবরণী (মাস্ক) পরতে হবে, নিয়মিত হাত ধুতে হবে, নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলতে হবে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। এর কোনোটিতেই ছাড় দেয়া চলবে না।
তৃতীয়ত সব বিধিনিষেধ আমরা মেনে চলব - নিজেরা মানব, অন্যদেরও মানতে বাধ্য করব। এই অতিমারকে একার চেষ্টায় জয় করা যাবে না, তার জন্যে যৌথ প্রয়াস লাগবে। এই সঙ্কটকে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে রোখা যাবে না, তার জন্যে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্হা লাগবে। দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড এটাকে ছড়িয়ে দেবে, কিন্তু দায়িত্বশীল ব্যবস্হা এটাকে সীমিত করে দেবে।
শেষের কথা বলি, আমরা ভয় পাব না। আমরা আশা ছাড়ব না। আমরা নিজেরা মনে জোর রাখব ও অন্যদের মনেও আশার প্রদীপ জ্বালব। যূথবদ্ধভাবে আমরা বহু সঙ্কটকে উৎরেছি, এ সঙ্কটেরও নিরসন আমরা করব। আমরা নিরাশ হবো না, কারণ নৈরাশ্যের কোনো ইতিবাচক দিক নেই। আমি সদা বলি, ‘আমরা কর জয়, আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন’।
‘বিন্দু থেকে বৃত্ত’ ছিল বাংলাদেশের প্রথম নারী চিত্রপরিচালক রেবেকার চলচ্চিত্রের নাম। বর্তমান সময়ে করোনা সঙ্কটকালে চারপাশে মৃত্যুর যে মিছিল চলছে, সেটা দেখে রেবেকার ছবির শিরোনাম উল্টো করে দিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে, ‘বৃত্ত থেকে বিন্দু’। একটা সময় গেছে তখন সংবাদ পেতাম, আমাদের অপরিচিত কোনো একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত হয়েছেন; তারপর আমাদের পরিচিতের কোনো এক পরিচিত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রয়াত হয়েছেন। যাঁরা চলে গিয়েছেন, তাঁরা আমাদের অপরিচিত ছিলেন, দূরের কোনো মানুষ - আমাদের বহিঃবৃত্তের কোনো একজন।
তারপর বৃত্ত ক্রমে ক্রমে ছোট হয়ে আসতে শুরু করলো। পরিচিত মানুষেরা আক্রান্ত হতে শুরু করলেন এবং চলে যেতে শুরু করলেন। মনের ওপরে চাপ বাড়লো। তারপর সংবাদ আসতে থাকল বন্ধুবান্ধব আর নিকটজনদের চলে যাওয়ার। বৃত্ত তার পরিসীমা আরও ছোট করে নিয়ে এল। মনে হলো বৃত্ত ক্রমেই বিন্দুর দিকে এগোচ্ছে। আর এখন? অতিমারী হানা দিয়েছে বৃহত্তর পারিবারিক বলয়ে। বৃত্ত হয়ে গেছে বিন্দু।
এবং স্বাভাবিকভাবেই এই বিন্দু হয়ে উঠেছে ভয়ের আকর। যাঁরা অতিমারিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, ভয় তাঁদেরকে টাল-মাটাল করে দিচ্ছে। অনুজসম একজন লিখেছেন, ‘ভয় পাচ্ছি। ভীষণ ভয় পাচ্ছি’। স্নেহভাজন পুত্রসম একজন বলেছেন, ‘আমাকে ক্ষমা করে দেবেন’। এসব কথা যখন পড়েছি ও শুনেছি, তখন এক শীতল অনুভূতি আমার শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেছে। কেন এমন কথা? কেন? কেন? কি ভাবনা স্রোতের মতো বয়ে চলেছে তাঁদের মনে? কি কথা জলের মতো ঘুরে ঘুরে কথা কইছে তাঁদের চেতনায়?
সে আমি জানি না, কিন্তু বুঝতে পারি। সেই সঙ্গে যখন দেখি অতিমারি বেড়ে চলছে বাংলাদেশে, তখন চিন্তিত হই। পড়েছি, সরকারি ভাষ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেম এবং ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুনতে পাচ্ছি, হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না, একটি হাসপাতাল শয্যার জন্যে মানুষ এখানে সেখানে দৌঁড়ুচ্ছেন। নিবিড় পরিচর্যা শয্যা লভ্য নয়। তখন শঙ্কিত হই।
আসলে আমার শুধু শঙ্কা নয়, আমার শঙ্কা এক ক্রোধ-মিশ্রিত শঙ্কা। গত কয়েক মাসে আমরা সক্কলে মিলে বনভোজনে গিয়েছি, দলবেঁধে চড়ুইভাতি করেছি, ঘটা করে বিয়েবাড়িতে গেছি। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মের কি তুলনা হয়? আর তা’ছাড়া যখন পুরো দেশ অতিমারিতে আক্রান্ত, মানুষের মৃত্যু হচ্ছে প্রতিদিন, তখন এ জাতীয় কার্যকলাপ তো শোভনও নয়। এবারের যে ভাবে বইমেলা বসানো হয়েছে, অন্য কোনো উপায়ে তা কি করা যেত না? বিকল্প কি ছিল না তার?
অতিমারির ক্ষেত্রে আমাদের ও রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কিন্তু অনেকটা এক রকমে - সে প্রতিক্রিয়ার নাম ‘আরেকটু দেখি’। আমাদের যখন অল্প অল্প জ্বর, একটু কাশি, সামান্য গায়ে-ব্যথা, আমরা বলি, ‘এটা সামান্য ফ্লু। আরেকটু দেখি’। বহু ক্ষেত্রে তখন অনেক দেরি হয়ে যায় - নানান জটিলতার সৃষ্টি হয়। সুতরাং শুরুতেই পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সময়কে ‘হন্তা’ হতে দেবেন না।
অতিমারি যখন খারাপের পথে যায়, তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্র বিলম্ব করে। এই যেমন, এবার সবাই বলছেন যে, মাস খানেক আগেই যদি অবরোধ ব্যবস্থা নেয়া হতো, তাহলে বহু প্রকোপ এড়ানো যেত। এখানেও হয়তো ‘আরেকটু দেখি’ মানসিকতা কাজ করেছে। মনে আছে, গত বছর বৃটেনে মার্চ মাসে শক্ত ব্যবস্হা নিতে প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসনের গড়িমসিতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। সময়কে বিলম্বিত হতে দেয়া যাবে না।
সবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতে ক’টি কথা বলি। প্রথমত দায়িত্বশীল ব্যবহার আমাদের প্রত্যেকের জন্য দরকার।সবাই বলেন, ‘অন্যের কথা বিবেচনা করে দায়িত্ববান হন’। আমি বলি, ‘নিজের কথা ভেবেই দায়িত্ববান হোন’। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভালো হয়ে যেতে পারেন, কিন্তু বহুলাংশেই দেখা গেছে যে পরবর্তী সময়ে হৃদরোগসহ নানান জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং প্রত্যেকের লক্ষ্য হওয়া উচিত, সব প্রতিরোধক ব্যবস্হা আমরা নেব, যাতে আমরা আক্রান্ত হওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি।
দ্বিতীয়ত কোভিড প্রতিরোধে টিকা আবশ্যকীয় শর্ত, কিন্তু পর্যাপ্ত শর্ত নয়। সুতরাং একটি টিকা তো নয়ই, দু’টো টিকা নেয়া মানে এই নয় যে, আমরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। সুতরাং প্রতিরোধের সব বিধি-নিষেধ আমাদের পরিপূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে। মুখাবরণী (মাস্ক) পরতে হবে, নিয়মিত হাত ধুতে হবে, নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলতে হবে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। এর কোনোটিতেই ছাড় দেয়া চলবে না।
তৃতীয়ত সব বিধিনিষেধ আমরা মেনে চলব - নিজেরা মানব, অন্যদেরও মানতে বাধ্য করব। এই অতিমারকে একার চেষ্টায় জয় করা যাবে না, তার জন্যে যৌথ প্রয়াস লাগবে। এই সঙ্কটকে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে রোখা যাবে না, তার জন্যে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্হা লাগবে। দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড এটাকে ছড়িয়ে দেবে, কিন্তু দায়িত্বশীল ব্যবস্হা এটাকে সীমিত করে দেবে।
শেষের কথা বলি, আমরা ভয় পাব না। আমরা আশা ছাড়ব না। আমরা নিজেরা মনে জোর রাখব ও অন্যদের মনেও আশার প্রদীপ জ্বালব। যূথবদ্ধভাবে আমরা বহু সঙ্কটকে উৎরেছি, এ সঙ্কটেরও নিরসন আমরা করব। আমরা নিরাশ হবো না, কারণ নৈরাশ্যের কোনো ইতিবাচক দিক নেই। আমি সদা বলি, ‘আমরা কর জয়, আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন’।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫