মাসুদ রানা
ঈদ—এই শব্দটির সঙ্গে অগণিত মানুষের হৃদয়ে যে অনুভব জাগে, তা আনন্দ, উৎসব আর মিলনের। ঘরে ঘরে নতুন জামা, সুস্বাদু খাবার, কোলাকুলি আর রঙিন খুশির চিত্র যেন ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে সেই পরিচিত দৃশ্যের বাইরে যে একটা বড় প্রশ্ন থেকে যায়, তা হলো—ঈদ কি সবার জন্য একরকম? ঈদের দিন কি সকলের মুখেই সমান হাসি? ঈদের আনন্দ কি সত্যিই সমবণ্টিত?
শহরের চকচকে ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে গ্রামের মাটির ঘর, গুলশান-বনানীর গরুর হাট থেকে শুরু করে কামারপাড়ার খোলা মাঠ—সবখানেই ঈদ আসে, তবে তার প্রকাশ, অনুভব আর গ্রহণ একরকম থাকে না।
ঈদুল আজহা কেবল আনন্দ নয়, এটি আত্মত্যাগের এক প্রতীক। হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন মহান আল্লাহর আদেশে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করতে প্রস্তুত হন, তখন তা ছিল সম্পূর্ণ আত্মসর্ম্পণ ও আনুগত্যের নিদর্শন। কিন্তু সময় বদলেছে। কোরবানি এখন আর শুধু আত্মত্যাগ নয়, অনেক ক্ষেত্রেই তা হয়ে উঠেছে একধরনের প্রতিযোগিতা।
বিশেষ করে শহরাঞ্চলে এখন কোরবানির পশু যেন সামাজিক মর্যাদার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম লাইভে বড় গরুর দাম ঘোষিত হয়, ভিডিওতে’ দেখুন আমাদের গরু’ বলে মানুষ শেয়ার করে। গরুর গায়ে ঝিলমিল রঙের ফিতা, গলায় মালা—এসব কোনো ধর্মীয় আবশ্যিকতা নয়, বরং এটি একরকম সাংস্কৃতিক প্রদর্শন, যা অর্থনৈতিক বৈষম্যকেই সামনে আনে।
এই বিপরীতে, গ্রামে অনেকেই ঈদের আগে প্রার্থনা করে, ‘আল্লাহ, এবার একটা ছাগল হলেও যেন কোরবানি দিতে পারি।’ অনেকে মিলেমিশে শেয়ার করে একটি ছোট গরু কেনেন। কেউ কেউ কোরবানি দিতে না পেরে ঈদের দিনই চোখ এড়িয়ে থাকে, যেন কোনো লজ্জা না পেয়ে যায়।
কেন যেন আমাদের ঈদের ছবি সব সময়ই মধ্যবিত্ত-ধনীদের ঘিরে। কিন্তু যারা গার্মেন্টস শ্রমিক, যারা রিকশাওয়ালা, যারা ঈদের দিনেও রাস্তায় থাকে তাদের কথা খুব কমই উঠে আসে। মাসজুড়ে ওভারটাইম করে গার্মেন্টস শ্রমিকেরা বেতন-বোনাসের আশায় থাকে। কিন্তু সময়মতো বেতন না পেয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারে না। ঈদের দিন কাজের জায়গায়ই কেটে যায়।
ছিন্নমূল শিশুদের ঈদ কি আদৌ হয়? ঈদের সকালে যখন একটি মধ্যবিত্ত শিশুকে নতুন জামায় ঈদগাহে দেখা যায়, তখনই দূরে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি শিশু হয়তো তাকিয়ে থাকে সেই পোশাকের ঝলকে। তার ঈদ মানে হয়তো গতকালের তুলনায় একটু ভালো খাবার, যদি কোনো এনজিও বা ভ্রাম্যমাণ রান্নাঘর কিছু বিতরণ করে।
অন্যদিকে, বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাবা-মায়ের ঈদ কাটে হয়তো সন্তানদের অপেক্ষায়। একসময় যারা সন্তানদের জন্য ঘরভর্তি কোরবানির আয়োজন করত, তারা আজ নিজেরাই অপ্রাসঙ্গিক। যারা প্রবাসে আছেন, তাদের ঈদ মানে স্মার্টফোনে ভিডিও কল, কিংবা নীরব একাকীত্ব।
ঈদ একটি ধর্মীয় উৎসব হলেও এর সামাজিক পরিধি বহুমাত্রিক। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই পরিধি একেক শ্রেণীর কাছে একেকভাবে ধরা দেয়। বিত্তশালীদের কাছে ঈদ মানে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন, বিলাসিতা আর স্ট্যাটাস প্রতিফলন। মধ্যবিত্তের ঈদ মানে সীমিত সাধ্যে ‘ভদ্রোচিত আনন্দ’। তারা পাঞ্জাবি কিনেই সন্তুষ্ট, কিন্তু দামি গরুর দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
আর নিম্নবিত্তের ঈদ? সেটা নেহাতই একটা দিন, যেখানে একটু ভালো খাওয়ার স্বপ্ন থাকে। তাদের ঈদের খুশি অন্যের দয়ার ওপর নির্ভরশীল। কোথাও কোরবানির মাংস দিলে পায়, না দিলে শুধু গন্ধেই ঈদ কাটে।
কোরবানি মূলত আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও আনুগত্যের প্রতীক। কিন্তু এই বোধটা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। ঈদের দিনগুলো এখন অনেকের জন্য ‘শো অফ’ বা প্রদর্শনের উপলক্ষ। অপ্রয়োজনীয় হারে পশু কেনা, ফেসবুকে লাইভে কোরবানি দেখানো, মাংসের ছবি আপলোড—সব কিছুতেই ঈদের আধ্যাত্মিকতার চেয়ে বাহ্যিকতা বেশি।
মাংস কাদের কাছে যাচ্ছে, সেটা কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়; কে কত কেজি পেল, সেই হিসাবই বড় হয়ে দাঁড়ায়। অথচ হাদীস মতে, কোরবানির মাংস তিনভাগ করে—এক ভাগ নিজের, এক ভাগ আত্মীয়দের, আর এক ভাগ গরিবদের মাঝে বিতরণের কথা বলা হয়েছে। এই আদর্শ কোথায় আজ?
তবে এই বৈষম্যের ভিড়েও কিছু আশাবাদের ছবি আছে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিবছর নির্দিষ্ট করে কোরবানির মাংস বঞ্চিতদের মাঝে পৌঁছে দেয়। কেউ কেউ ঈদের জামা কিনে দেয় ছিন্নমূল শিশুদের। কেউ বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে ঈদের দিন সময় কাটায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে। এই মানুষগুলোই আসলে ঈদের প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করেছে—যেখানে একা কেউ থাকবে না, কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না।
আমরা কি এমন সমাজ গড়তে পারি না, যেখানে ঈদের আনন্দ সবার অন্তত সামান্য ভাগ হয়? যেখানে একজন শিশু শুধু তার শ্রেণির কারণে ঈদের দিনে কান্না করবে না, একজন বৃদ্ধ সন্তানদের জন্য পথ চেয়ে বসে থাকবে না?
ঈদের দিনে ১০০ কোটি টাকার গরু বিক্রি হয়, অথচ শহরের কোনো এক গলির পাশে একজন শিশু দাঁড়িয়ে থাকে ‘এক টুকরো মাংস’ আশায়—এই যে বৈপরীত্য, সেটা কি ধর্মীয় আদর্শকে ব্যঙ্গ করে না?
ঈদ মানে আনন্দ—এই বাক্যটি সত্য। কিন্তু এই আনন্দকে যদি আমরা অন্তর্মুখী না করে বাইরের দিকে দিতে পারি, তাহলে সেটিই হবে প্রকৃত ঈদ। ঈদ মানে শুধু নিজের পরিবারের খুশি নয়, পাশের দরজার শিশুটির মুখেও হাসি ফোটানো। ঈদ মানে আত্মত্যাগ—শুধু পশুর নয়, নিজের অহংকারের, নিজের স্বার্থপরতার। ঈদ মানে মানুষ হওয়া।
চাই, ঈদ হোক এমন এক উৎসব—যেখানে কোরবানির রক্তের সঙ্গে হৃদয়ের পবিত্রতাও মিশে থাকে। যেখানে কোনো শিশু ঈদের দিন আর চোখের পানি লুকিয়ে না রাখে।
ঈদ—এই শব্দটির সঙ্গে অগণিত মানুষের হৃদয়ে যে অনুভব জাগে, তা আনন্দ, উৎসব আর মিলনের। ঘরে ঘরে নতুন জামা, সুস্বাদু খাবার, কোলাকুলি আর রঙিন খুশির চিত্র যেন ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে সেই পরিচিত দৃশ্যের বাইরে যে একটা বড় প্রশ্ন থেকে যায়, তা হলো—ঈদ কি সবার জন্য একরকম? ঈদের দিন কি সকলের মুখেই সমান হাসি? ঈদের আনন্দ কি সত্যিই সমবণ্টিত?
শহরের চকচকে ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে গ্রামের মাটির ঘর, গুলশান-বনানীর গরুর হাট থেকে শুরু করে কামারপাড়ার খোলা মাঠ—সবখানেই ঈদ আসে, তবে তার প্রকাশ, অনুভব আর গ্রহণ একরকম থাকে না।
ঈদুল আজহা কেবল আনন্দ নয়, এটি আত্মত্যাগের এক প্রতীক। হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন মহান আল্লাহর আদেশে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করতে প্রস্তুত হন, তখন তা ছিল সম্পূর্ণ আত্মসর্ম্পণ ও আনুগত্যের নিদর্শন। কিন্তু সময় বদলেছে। কোরবানি এখন আর শুধু আত্মত্যাগ নয়, অনেক ক্ষেত্রেই তা হয়ে উঠেছে একধরনের প্রতিযোগিতা।
বিশেষ করে শহরাঞ্চলে এখন কোরবানির পশু যেন সামাজিক মর্যাদার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম লাইভে বড় গরুর দাম ঘোষিত হয়, ভিডিওতে’ দেখুন আমাদের গরু’ বলে মানুষ শেয়ার করে। গরুর গায়ে ঝিলমিল রঙের ফিতা, গলায় মালা—এসব কোনো ধর্মীয় আবশ্যিকতা নয়, বরং এটি একরকম সাংস্কৃতিক প্রদর্শন, যা অর্থনৈতিক বৈষম্যকেই সামনে আনে।
এই বিপরীতে, গ্রামে অনেকেই ঈদের আগে প্রার্থনা করে, ‘আল্লাহ, এবার একটা ছাগল হলেও যেন কোরবানি দিতে পারি।’ অনেকে মিলেমিশে শেয়ার করে একটি ছোট গরু কেনেন। কেউ কেউ কোরবানি দিতে না পেরে ঈদের দিনই চোখ এড়িয়ে থাকে, যেন কোনো লজ্জা না পেয়ে যায়।
কেন যেন আমাদের ঈদের ছবি সব সময়ই মধ্যবিত্ত-ধনীদের ঘিরে। কিন্তু যারা গার্মেন্টস শ্রমিক, যারা রিকশাওয়ালা, যারা ঈদের দিনেও রাস্তায় থাকে তাদের কথা খুব কমই উঠে আসে। মাসজুড়ে ওভারটাইম করে গার্মেন্টস শ্রমিকেরা বেতন-বোনাসের আশায় থাকে। কিন্তু সময়মতো বেতন না পেয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারে না। ঈদের দিন কাজের জায়গায়ই কেটে যায়।
ছিন্নমূল শিশুদের ঈদ কি আদৌ হয়? ঈদের সকালে যখন একটি মধ্যবিত্ত শিশুকে নতুন জামায় ঈদগাহে দেখা যায়, তখনই দূরে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি শিশু হয়তো তাকিয়ে থাকে সেই পোশাকের ঝলকে। তার ঈদ মানে হয়তো গতকালের তুলনায় একটু ভালো খাবার, যদি কোনো এনজিও বা ভ্রাম্যমাণ রান্নাঘর কিছু বিতরণ করে।
অন্যদিকে, বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাবা-মায়ের ঈদ কাটে হয়তো সন্তানদের অপেক্ষায়। একসময় যারা সন্তানদের জন্য ঘরভর্তি কোরবানির আয়োজন করত, তারা আজ নিজেরাই অপ্রাসঙ্গিক। যারা প্রবাসে আছেন, তাদের ঈদ মানে স্মার্টফোনে ভিডিও কল, কিংবা নীরব একাকীত্ব।
ঈদ একটি ধর্মীয় উৎসব হলেও এর সামাজিক পরিধি বহুমাত্রিক। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই পরিধি একেক শ্রেণীর কাছে একেকভাবে ধরা দেয়। বিত্তশালীদের কাছে ঈদ মানে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন, বিলাসিতা আর স্ট্যাটাস প্রতিফলন। মধ্যবিত্তের ঈদ মানে সীমিত সাধ্যে ‘ভদ্রোচিত আনন্দ’। তারা পাঞ্জাবি কিনেই সন্তুষ্ট, কিন্তু দামি গরুর দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
আর নিম্নবিত্তের ঈদ? সেটা নেহাতই একটা দিন, যেখানে একটু ভালো খাওয়ার স্বপ্ন থাকে। তাদের ঈদের খুশি অন্যের দয়ার ওপর নির্ভরশীল। কোথাও কোরবানির মাংস দিলে পায়, না দিলে শুধু গন্ধেই ঈদ কাটে।
কোরবানি মূলত আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও আনুগত্যের প্রতীক। কিন্তু এই বোধটা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। ঈদের দিনগুলো এখন অনেকের জন্য ‘শো অফ’ বা প্রদর্শনের উপলক্ষ। অপ্রয়োজনীয় হারে পশু কেনা, ফেসবুকে লাইভে কোরবানি দেখানো, মাংসের ছবি আপলোড—সব কিছুতেই ঈদের আধ্যাত্মিকতার চেয়ে বাহ্যিকতা বেশি।
মাংস কাদের কাছে যাচ্ছে, সেটা কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়; কে কত কেজি পেল, সেই হিসাবই বড় হয়ে দাঁড়ায়। অথচ হাদীস মতে, কোরবানির মাংস তিনভাগ করে—এক ভাগ নিজের, এক ভাগ আত্মীয়দের, আর এক ভাগ গরিবদের মাঝে বিতরণের কথা বলা হয়েছে। এই আদর্শ কোথায় আজ?
তবে এই বৈষম্যের ভিড়েও কিছু আশাবাদের ছবি আছে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিবছর নির্দিষ্ট করে কোরবানির মাংস বঞ্চিতদের মাঝে পৌঁছে দেয়। কেউ কেউ ঈদের জামা কিনে দেয় ছিন্নমূল শিশুদের। কেউ বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে ঈদের দিন সময় কাটায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে। এই মানুষগুলোই আসলে ঈদের প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করেছে—যেখানে একা কেউ থাকবে না, কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না।
আমরা কি এমন সমাজ গড়তে পারি না, যেখানে ঈদের আনন্দ সবার অন্তত সামান্য ভাগ হয়? যেখানে একজন শিশু শুধু তার শ্রেণির কারণে ঈদের দিনে কান্না করবে না, একজন বৃদ্ধ সন্তানদের জন্য পথ চেয়ে বসে থাকবে না?
ঈদের দিনে ১০০ কোটি টাকার গরু বিক্রি হয়, অথচ শহরের কোনো এক গলির পাশে একজন শিশু দাঁড়িয়ে থাকে ‘এক টুকরো মাংস’ আশায়—এই যে বৈপরীত্য, সেটা কি ধর্মীয় আদর্শকে ব্যঙ্গ করে না?
ঈদ মানে আনন্দ—এই বাক্যটি সত্য। কিন্তু এই আনন্দকে যদি আমরা অন্তর্মুখী না করে বাইরের দিকে দিতে পারি, তাহলে সেটিই হবে প্রকৃত ঈদ। ঈদ মানে শুধু নিজের পরিবারের খুশি নয়, পাশের দরজার শিশুটির মুখেও হাসি ফোটানো। ঈদ মানে আত্মত্যাগ—শুধু পশুর নয়, নিজের অহংকারের, নিজের স্বার্থপরতার। ঈদ মানে মানুষ হওয়া।
চাই, ঈদ হোক এমন এক উৎসব—যেখানে কোরবানির রক্তের সঙ্গে হৃদয়ের পবিত্রতাও মিশে থাকে। যেখানে কোনো শিশু ঈদের দিন আর চোখের পানি লুকিয়ে না রাখে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫