কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া এবং ভারত প্রশান্ত মহাসাগরে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে জাপান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সহযোগিতা চায় টোকিও। জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১১ থেকে ১৫ এপ্রিল পালাওয়ে অনুষ্ঠিতব্য মহাসাগর বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে টোকিওতে যাত্রা বিরতি করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। আজ সোমবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই মন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ১০ ফেব্রুয়ারি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী উদ্যাপনের প্রেক্ষাপটে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ছিল তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক।
বৈঠকে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া এবং ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে। ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া বা লিবিয়া যেখানেই যুদ্ধ হয় সেখানে জানমালের ক্ষতি হয় যা আমরা ইউক্রেনে প্রত্যক্ষ করছি। বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বৈশ্বিক ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশে আঞ্চলিক অভিযোজন কেন্দ্রের জন্য জাপানের সহায়তা কামনা করেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন বহু পাক্ষিক ফোরামে ভবিষ্যৎ প্রার্থিতা নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং একে অপরের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এ ছাড়া দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা এবং ভাসানচরে স্বেচ্ছায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরসহ এ পর্যন্ত গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গায় দেওয়া সহায়তার পাশাপাশি সমস্যা নিরসনে জাপানের অবিচল প্রতিশ্রুতির জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য জাপানের আরও সম্পৃক্ততা চেয়েছেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি বলেন, জাপান বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে কারণ এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রত্যাবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দুই দেশের ৫০ তম বার্ষিকী অনুষ্ঠান উদ্যাপনের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জাপানের নাম বাংলাদেশের জনগণের কাছে অতি প্রিয় এবং জাপান বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতি, অটোমোবাইল, আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রকৌশল, ইলেকট্রনিকস ইত্যাদির মতো উদীয়মান খাতে আরও জাপানি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি তা বিবেচনা করতে সম্মত হন। উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকটি শেষ হয়। টোকিওতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, শাহাবুদ্দিন আহমদ, মিশন উপপ্রধান শাহ্ আসিফ রহমান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মো. এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া এবং ভারত প্রশান্ত মহাসাগরে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে জাপান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সহযোগিতা চায় টোকিও। জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১১ থেকে ১৫ এপ্রিল পালাওয়ে অনুষ্ঠিতব্য মহাসাগর বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে টোকিওতে যাত্রা বিরতি করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। আজ সোমবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই মন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ১০ ফেব্রুয়ারি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী উদ্যাপনের প্রেক্ষাপটে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ছিল তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক।
বৈঠকে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া এবং ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে। ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া বা লিবিয়া যেখানেই যুদ্ধ হয় সেখানে জানমালের ক্ষতি হয় যা আমরা ইউক্রেনে প্রত্যক্ষ করছি। বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বৈশ্বিক ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশে আঞ্চলিক অভিযোজন কেন্দ্রের জন্য জাপানের সহায়তা কামনা করেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন বহু পাক্ষিক ফোরামে ভবিষ্যৎ প্রার্থিতা নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং একে অপরের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এ ছাড়া দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা এবং ভাসানচরে স্বেচ্ছায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরসহ এ পর্যন্ত গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গায় দেওয়া সহায়তার পাশাপাশি সমস্যা নিরসনে জাপানের অবিচল প্রতিশ্রুতির জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য জাপানের আরও সম্পৃক্ততা চেয়েছেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি বলেন, জাপান বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে কারণ এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রত্যাবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দুই দেশের ৫০ তম বার্ষিকী অনুষ্ঠান উদ্যাপনের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জাপানের নাম বাংলাদেশের জনগণের কাছে অতি প্রিয় এবং জাপান বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতি, অটোমোবাইল, আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রকৌশল, ইলেকট্রনিকস ইত্যাদির মতো উদীয়মান খাতে আরও জাপানি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি তা বিবেচনা করতে সম্মত হন। উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকটি শেষ হয়। টোকিওতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, শাহাবুদ্দিন আহমদ, মিশন উপপ্রধান শাহ্ আসিফ রহমান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মো. এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫