উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ বেনামি হলেও তার সত্যতা খতিয়ে দেখতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, শুধু নিজেরা সৎ থাকলেই হবে না; মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থাগুলোতে কী হচ্ছে, তার দায়িত্বও নিতে হবে। কঠোর নজরদারি করতে হবে। কারও অনিয়ম ও দুর্নীতি পাওয়া গেলে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, যেন মানুষ মনে করে সরকার দুর্নীতি নির্মূল করতে চায়।
সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সচিব সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের এমন সব নির্দেশনাই দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সভায় বলা হয়, আর্থিক সাশ্রয়ের জন্য প্রকল্পের প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) ও ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপট্যান্স টেস্টের (এফএটি) জন্য বিদেশযাত্রা বন্ধ করতে হবে। জনবান্ধব ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ছাড়া অন্য প্রকল্পের বিষয়ে ধীরে চলো নীতিতে চলতে হবে। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট ও সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অত্যন্ত দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সচিবের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সচিব সভা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে। অন্তত ৭০ জন সচিব বৈঠকে অংশ নেন। এতে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীসহ ৮ থেকে ১০ জন সচিব। বৈঠকে দুর্নীতি প্রতিরোধে সচিবেরা নানা ধরনের মতামত তুলে ধরেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অঢেল সম্পদ অর্জনের খবরে বিব্রত প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। অনেকের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির খবর আসছে গণমাধ্যমে। যাঁদের নামে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে বেনামে আগেও অভিযোগ এসেছিল, কিন্তু পাত্তা দেওয়া হয়নি। সভায় স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ বেনামে হলেও তার সত্যতা খতিয়ে দেখতে হবে। প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী নাম প্রকাশ করবে না, এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং, বেনামি বলে তা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নামে-বেনামে হলেও তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
অপর একজন সচিব জানান, মূলত দেশের রিজার্ভ ঠিক রাখতে অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতেই সচিবদের ডেকেছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। দিনে দিনে রিজার্ভ কমছে। সরকারি টাকায় বিদেশভ্রমণ পরিপত্রের মাধ্যমে বন্ধ করা হলেও তা এখন মানছেন না কর্মকর্তারা। প্রকল্পের যন্ত্রপাতি কেনা, অভিজ্ঞতা নেওয়াসহ নানা অসিলায় কর্মকর্তারা বিদেশে যাচ্ছেন। এভাবে বিদেশযাত্রা বন্ধ করতে প্রকল্পের পিএসআই সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। আর্থিক সাশ্রয়ে গত বছরের পরিপত্র যথাযথভাবে পালন করা এবং এর কঠোর মনিটর করতে বলেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ব্রিফ্রিং
সভা শেষে আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকের অবহিত করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, দ্রুত ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা যুগোপযোগী করে নতুন বিধিমালা এবং ২০১২ সালের শুদ্ধাচার নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা শুদ্ধাচার বিষয়ে কিছু আলোচনা করেছি, বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি এবং নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আলোচনা করেছি। কিছু দাপ্তরিক কাজে প্রধানমন্ত্রী সময়ে সময়ে যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছিলেন, সেগুলো যাতে যত্নসহকারে গুরুত্ব দিয়ে অনুসরণ করা হয়, সে ব্যাপারে তাদের (সচিব) পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ বেনামি হলেও তার সত্যতা খতিয়ে দেখতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, শুধু নিজেরা সৎ থাকলেই হবে না; মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থাগুলোতে কী হচ্ছে, তার দায়িত্বও নিতে হবে। কঠোর নজরদারি করতে হবে। কারও অনিয়ম ও দুর্নীতি পাওয়া গেলে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, যেন মানুষ মনে করে সরকার দুর্নীতি নির্মূল করতে চায়।
সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সচিব সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের এমন সব নির্দেশনাই দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সভায় বলা হয়, আর্থিক সাশ্রয়ের জন্য প্রকল্পের প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) ও ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপট্যান্স টেস্টের (এফএটি) জন্য বিদেশযাত্রা বন্ধ করতে হবে। জনবান্ধব ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ছাড়া অন্য প্রকল্পের বিষয়ে ধীরে চলো নীতিতে চলতে হবে। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট ও সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অত্যন্ত দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সচিবের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সচিব সভা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে। অন্তত ৭০ জন সচিব বৈঠকে অংশ নেন। এতে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীসহ ৮ থেকে ১০ জন সচিব। বৈঠকে দুর্নীতি প্রতিরোধে সচিবেরা নানা ধরনের মতামত তুলে ধরেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অঢেল সম্পদ অর্জনের খবরে বিব্রত প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। অনেকের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির খবর আসছে গণমাধ্যমে। যাঁদের নামে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে বেনামে আগেও অভিযোগ এসেছিল, কিন্তু পাত্তা দেওয়া হয়নি। সভায় স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ বেনামে হলেও তার সত্যতা খতিয়ে দেখতে হবে। প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী নাম প্রকাশ করবে না, এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং, বেনামি বলে তা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নামে-বেনামে হলেও তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
অপর একজন সচিব জানান, মূলত দেশের রিজার্ভ ঠিক রাখতে অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতেই সচিবদের ডেকেছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। দিনে দিনে রিজার্ভ কমছে। সরকারি টাকায় বিদেশভ্রমণ পরিপত্রের মাধ্যমে বন্ধ করা হলেও তা এখন মানছেন না কর্মকর্তারা। প্রকল্পের যন্ত্রপাতি কেনা, অভিজ্ঞতা নেওয়াসহ নানা অসিলায় কর্মকর্তারা বিদেশে যাচ্ছেন। এভাবে বিদেশযাত্রা বন্ধ করতে প্রকল্পের পিএসআই সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। আর্থিক সাশ্রয়ে গত বছরের পরিপত্র যথাযথভাবে পালন করা এবং এর কঠোর মনিটর করতে বলেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ব্রিফ্রিং
সভা শেষে আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকের অবহিত করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, দ্রুত ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা যুগোপযোগী করে নতুন বিধিমালা এবং ২০১২ সালের শুদ্ধাচার নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা শুদ্ধাচার বিষয়ে কিছু আলোচনা করেছি, বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি এবং নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আলোচনা করেছি। কিছু দাপ্তরিক কাজে প্রধানমন্ত্রী সময়ে সময়ে যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছিলেন, সেগুলো যাতে যত্নসহকারে গুরুত্ব দিয়ে অনুসরণ করা হয়, সে ব্যাপারে তাদের (সচিব) পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫