নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনার পরিমাণ আট হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মূল বকেয়া ৯৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২১৭ টাকা। এতে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি সারচার্জ রয়েছে।
সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পুঞ্জীভূত বকেয়া ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা মওকুফ করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিমানের দেনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. যাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে শুনেছি, তবে অফিশিয়ালি কোন চিঠি পাইনি।’ সারচার্জ মওকুফের জন্য বেশ কয়েকবার আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি।
যাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘বেবিচকের মূল বকেয়া দিতে আমরা সব সময় আগ্রহী ছিলাম। এখন সারচার্জ মওকুফের চিঠি হাতে পেলে, আমরা বিমানের বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে মূল বকেয়া পরিশোধ করব।’
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর বিমানের এমডি যাহিদ হোসেন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে লেখেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দাখিল করা সব ধরনের ল্যান্ডিং, পার্কিং, নেভিগেশন বিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত পরিশোধ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রী টিকিটের সঙ্গে সংগৃহীত আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ এম্বারকেশন ফি, বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি ও যাত্রী নিরাপত্তা ফি নিয়মিত বেবিচককে পরিশোধ করে আসছে।’
বিমানের এমডি লিখেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বিমান দেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে ব্যবসা পরিচালনা করে। এ অবস্থায় বেবিচক কর্তৃক দাবিকৃত পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করে করোনাজনিত ক্ষতি কাটিয়ে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানকে আর্থিক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আনয়নের বিষয়ে সহযোগিতা প্রয়োজন।’
বিমানের এমডির এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০ অক্টোবর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিমান অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের এক নির্দেশে বেবিচককে সারচার্জ মওকুফের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিমানের কাছে আরোপিত সারচার্জ ৩ হাজার ৪৪৯ দশমিক ১৪ কোটি টাকাসহ পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে সারচার্জ মওকুফ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা বিমান সব সময় বকেয়া ভারই বহন করে চলেছে। বেবিচকের তথ্যমতে, ২০০৭ সালে মূল বকেয়া ৫৭৩ কোটি টাকা সরকারের অন্য সেক্টরের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। আর সারচার্জ ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা মওকুফ করে দেওয়া হয়। বর্তমান বকেয়া শুরু হয় ২০০৭ সালের পর থেকে।
রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনার পরিমাণ আট হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মূল বকেয়া ৯৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২১৭ টাকা। এতে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি সারচার্জ রয়েছে।
সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পুঞ্জীভূত বকেয়া ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা মওকুফ করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিমানের দেনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. যাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে শুনেছি, তবে অফিশিয়ালি কোন চিঠি পাইনি।’ সারচার্জ মওকুফের জন্য বেশ কয়েকবার আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি।
যাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘বেবিচকের মূল বকেয়া দিতে আমরা সব সময় আগ্রহী ছিলাম। এখন সারচার্জ মওকুফের চিঠি হাতে পেলে, আমরা বিমানের বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে মূল বকেয়া পরিশোধ করব।’
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর বিমানের এমডি যাহিদ হোসেন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে লেখেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দাখিল করা সব ধরনের ল্যান্ডিং, পার্কিং, নেভিগেশন বিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত পরিশোধ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রী টিকিটের সঙ্গে সংগৃহীত আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ এম্বারকেশন ফি, বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি ও যাত্রী নিরাপত্তা ফি নিয়মিত বেবিচককে পরিশোধ করে আসছে।’
বিমানের এমডি লিখেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বিমান দেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে ব্যবসা পরিচালনা করে। এ অবস্থায় বেবিচক কর্তৃক দাবিকৃত পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করে করোনাজনিত ক্ষতি কাটিয়ে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানকে আর্থিক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আনয়নের বিষয়ে সহযোগিতা প্রয়োজন।’
বিমানের এমডির এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০ অক্টোবর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিমান অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের এক নির্দেশে বেবিচককে সারচার্জ মওকুফের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিমানের কাছে আরোপিত সারচার্জ ৩ হাজার ৪৪৯ দশমিক ১৪ কোটি টাকাসহ পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে সারচার্জ মওকুফ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা বিমান সব সময় বকেয়া ভারই বহন করে চলেছে। বেবিচকের তথ্যমতে, ২০০৭ সালে মূল বকেয়া ৫৭৩ কোটি টাকা সরকারের অন্য সেক্টরের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। আর সারচার্জ ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা মওকুফ করে দেওয়া হয়। বর্তমান বকেয়া শুরু হয় ২০০৭ সালের পর থেকে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২৪ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২৪ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২৪ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২৫ দিন আগে