Ajker Patrika

কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশের প্রতীক্ষায় পরিবার, নিবিড় ভালোর দিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশের প্রতীক্ষায় পরিবার, নিবিড় ভালোর দিকে

কানাডার টরন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তবে কবে নাগাদ তাঁদের মরদেহ দেশে আনা হবে সেটা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনায় নিহত অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ শ্রেয়া, আরিয়ান আলম দীপ্ত ও শাহরিয়ার খানের পরিবার এখন অপেক্ষায় আছে কবে তাঁদের প্রিয়জনের মরদেহ দেশে আনা হবে। 

একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে কুমার নিবিড় টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা এখন কিছুটা ভালোর দিকে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। 

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কথা হয় নিহত আরিয়ান আলম দীপ্তর বোন সানজিদা আলম মাইশার সঙ্গে। তাঁর পরিবার জানে না কবে নাগাদ মরদেহ দেশে আনা যাবে। তবে তাঁর বড় বোন বর্তমানে কানাডায় আছেন। তিনিই আরিয়ানের মরদেহ দেশের আনার ব্যাপারে সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ করছেন। 

মাইশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ভাইয়ের মরদেহ দেশে নিয়ে আসার ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না। সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ চলছে।’ 

নিহত আরেক শিক্ষার্থী অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ শ্রেয়ার বাবা জেমস বাড়ৈ কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা ছিল। তবে মরদেহ কবে দেশে আনতে পারবেন সেই ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পরিবার। শ্রেয়ার মাসহ তাঁর পরিবার মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ফুপাতো ভাই জুয়েল ডি কস্তা। 

জুয়েল বলেন, ‘শ্রেয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান হবে আগামী রোববার। তারপর মরদেহ দেশে নিয়ে আসা হবে। এ জন্য সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছুদিন সময় লাগবে।’ 

শাহরিয়ার খানের বাবা শরীফ খান গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র প্রস্তুতের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। বিমানের একটি ফ্লাইটে আগামী রোববার তাঁদের মরদেহ দেশে আনার সম্ভাবনা আছে।’ 

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে কুমার নিবিড়ের শরীরে দুইবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন তাঁর অবস্থা কিছুটা ভালো বলে জানিয়েছেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সংগীতশিল্পী কিশোর দাশ। ছেলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পরে কানাডায় গেছেন কুমার বিশ্বজিৎ ও তাঁর স্ত্রী। কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে কথা হয় কিশোরের। তিনি বলেন, ‘নিবিড়ের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য তাঁর মুখে যে নল লাগানো হয়েছে সেটা আগামীকাল খুলে দেওয়া যাবে বলে চিকিৎসকেরা আশা প্রকাশ করেছেন।’ 

কানাডার টরন্টোতে গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্ঘটনার শিকার হয় বাংলাদেশি চার শিক্ষার্থীর গাড়ি। দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরেকজন। আর কুমার বিশ্বজিতের ছেলে কুমার নিবিড় গুরুতর আহত হন। তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত