কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আট দিনের সফরে আফ্রিকা যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। আগামী ১৮ আগস্ট দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ১৮ আগস্ট আট দিনের সফরে আফ্রিকা যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি আফ্রিকা মহাদেশের দুটি দেশ সফর করবেন। প্রথমেই যাবেন দক্ষিণ সুদানে। সেখানে দেশটির সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের পরিসর বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি জাতিসংঘের বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মিশনে অবস্থানরত বাংলাদেশি বাহিনীর সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি। এর পর ২২ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন এ কে আবদুল মোমেন। সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিরাপত্তা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। আগামী ২৫ আগস্ট সফর শেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি হত্যার শিকার হয় দক্ষিণ আফ্রিকাতে।
এ কে আবদুল মোমেনের আফ্রিকা সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী দু–এক দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সফরটি শুরুতে আগস্টে হওয়ার কথা ছিল। তবে দেশগুলোর সাক্ষাৎ–সূচি না পাওয়ায় সফরটি অক্টোবরে নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সাক্ষাৎ–সূচি পাওয়া গেছে। দেশগুলোতে সম্পর্ক উন্নয়নই হবে প্রধান লক্ষ্য।
দীর্ঘ দিন ধরে আফ্রিকায় বাংলাদেশের মনোযোগ ছিল না। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি একাধিক শান্তিরক্ষী মিশন, বাংলাদেশি অভিবাসী এবং রাজনৈতিক কারণে মহাদেশটি ঢাকার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এত দিন শুধু দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রক্ষার উদ্দেশ্যে দূতাবাস বা মিশন খোলা ছিল মহাদেশটিতে। তবে এবার আফ্রিকায় ক্রমান্বয়ে সম্পর্ক বাড়াবে বাংলাদেশ। চীন, ভারতসহ অন্য পরাশক্তিগুলো এক দশকের বেশি সময় ধরে আফ্রিকাতে নজর দিয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি মহাদেশটিতে রাজনৈতিক বলয় বৃদ্ধিতে এক ধরনের প্রতিযোগিতা চলছে চীন এবং পশ্চিমা দেশগুলো ও তাদের মিত্রদের মধ্যে। এর মধ্যেই বাংলাদেশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছে ঢাকা।
অবশ্য এই আফ্রিকা সফরের বিষয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সে সময় আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা নতুন ক্ষেত্রে চেষ্টা করছি। কারণ, আমাদের মন্ত্রণালয়ে আফ্রিকা খুব একটা গুরুত্ব পায় না। ফলে সেখানে আমাদের ব্যবসা ও বাণিজ্য খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সেখানে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সে জন্যই আফ্রিকা যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে যখন ভোটের বিষয় আসে, সেখানে বাংলাদেশ বেশির ভাগ সময়ে পিছিয়ে থাকে। কারণ, এক আফ্রিকার মধ্যে জাতিসংঘের ৫৩টি ভোট রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের সম্পর্ক দুর্বল হওয়ায় এ পুরো ভোট বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শিবিরে গিয়ে পৌঁছায়। উদাহরণ হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) উপ–মহাপরিচালক পদে ভোট করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে হেরে যায় বাংলাদেশ। কারণ, আফ্রিকার দেশগুলোর ভোট বাংলাদেশ পায়নি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যবসা–বাণিজ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেখা যায় বাণিজ্য খাতে দুই দেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা দ্বিপক্ষীয় অন্য বিষয়গুলোতেও সম্প্রসারিত হচ্ছে। আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রেও এই কৌশলই নিচ্ছে বাংলাদেশ।
আট দিনের সফরে আফ্রিকা যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। আগামী ১৮ আগস্ট দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ১৮ আগস্ট আট দিনের সফরে আফ্রিকা যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি আফ্রিকা মহাদেশের দুটি দেশ সফর করবেন। প্রথমেই যাবেন দক্ষিণ সুদানে। সেখানে দেশটির সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের পরিসর বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি জাতিসংঘের বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মিশনে অবস্থানরত বাংলাদেশি বাহিনীর সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি। এর পর ২২ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন এ কে আবদুল মোমেন। সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিরাপত্তা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। আগামী ২৫ আগস্ট সফর শেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি হত্যার শিকার হয় দক্ষিণ আফ্রিকাতে।
এ কে আবদুল মোমেনের আফ্রিকা সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী দু–এক দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সফরটি শুরুতে আগস্টে হওয়ার কথা ছিল। তবে দেশগুলোর সাক্ষাৎ–সূচি না পাওয়ায় সফরটি অক্টোবরে নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সাক্ষাৎ–সূচি পাওয়া গেছে। দেশগুলোতে সম্পর্ক উন্নয়নই হবে প্রধান লক্ষ্য।
দীর্ঘ দিন ধরে আফ্রিকায় বাংলাদেশের মনোযোগ ছিল না। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি একাধিক শান্তিরক্ষী মিশন, বাংলাদেশি অভিবাসী এবং রাজনৈতিক কারণে মহাদেশটি ঢাকার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এত দিন শুধু দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রক্ষার উদ্দেশ্যে দূতাবাস বা মিশন খোলা ছিল মহাদেশটিতে। তবে এবার আফ্রিকায় ক্রমান্বয়ে সম্পর্ক বাড়াবে বাংলাদেশ। চীন, ভারতসহ অন্য পরাশক্তিগুলো এক দশকের বেশি সময় ধরে আফ্রিকাতে নজর দিয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি মহাদেশটিতে রাজনৈতিক বলয় বৃদ্ধিতে এক ধরনের প্রতিযোগিতা চলছে চীন এবং পশ্চিমা দেশগুলো ও তাদের মিত্রদের মধ্যে। এর মধ্যেই বাংলাদেশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছে ঢাকা।
অবশ্য এই আফ্রিকা সফরের বিষয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সে সময় আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা নতুন ক্ষেত্রে চেষ্টা করছি। কারণ, আমাদের মন্ত্রণালয়ে আফ্রিকা খুব একটা গুরুত্ব পায় না। ফলে সেখানে আমাদের ব্যবসা ও বাণিজ্য খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সেখানে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সে জন্যই আফ্রিকা যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে যখন ভোটের বিষয় আসে, সেখানে বাংলাদেশ বেশির ভাগ সময়ে পিছিয়ে থাকে। কারণ, এক আফ্রিকার মধ্যে জাতিসংঘের ৫৩টি ভোট রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের সম্পর্ক দুর্বল হওয়ায় এ পুরো ভোট বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শিবিরে গিয়ে পৌঁছায়। উদাহরণ হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) উপ–মহাপরিচালক পদে ভোট করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে হেরে যায় বাংলাদেশ। কারণ, আফ্রিকার দেশগুলোর ভোট বাংলাদেশ পায়নি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যবসা–বাণিজ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেখা যায় বাণিজ্য খাতে দুই দেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা দ্বিপক্ষীয় অন্য বিষয়গুলোতেও সম্প্রসারিত হচ্ছে। আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রেও এই কৌশলই নিচ্ছে বাংলাদেশ।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫