নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যার নিজেরই কোন ধরনের বৈধতা নেই, সে কীভাবে অন্যের বৈধতা দেয় এমন মন্তব্য করেছেন তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ব্যাটারিচালিত যানবাহন উচ্ছেদ না করে যাত্রী ও শ্রমিকদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আধুনিকায়নের দাবিতে জাতীয় রাজনৈতিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব, পরিবহন শ্রমিক নেতৃত্ব, অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, মেকানিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার সকালে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা জানান, সারা দেশে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ রিকশা শ্রমিক দৈনিক তিন শ কোটি টাকা সঞ্চালনার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ৷ ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ না করে যুগোপযোগী আধুনিকায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আনু মুহাম্মদ জানান, করোনায় যখন মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে তখন সরকার পাটকল, চিনিকলসহ কারখানাগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে ৷ তিনি বলেন, ‘যারা নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরা করছে তাদেরও কীভাবে কর্মহীন করা যায় সেই পাঁয়তারা করছে ৷ প্রধানমন্ত্রী কাজ খুঁজে নিতে বলেছেন, কিন্তু মানুষ যখন নিজেরা কাজ খুঁজে নিচ্ছে তখন বৈধতা নেই বলে তাদের ওপর নানান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নিজেরই তো বৈধতা নেই। সে কীভাবে আরেকজনের বৈধতা দেয়?’
আনু মুহাম্মদ আরও জানান, বিদ্যুৎ বেশি খরচ হচ্ছে বিধায় সরকার ব্যাটারি রিকশা বন্ধের কথা বলছে। এতে আরও খুশি হওয়া উচিত। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত হয়ে আছে। প্রাইভেট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে টাকা দিয়ে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে ৷ তাহলে এখন বিদ্যুৎ ব্যবহার করে যদি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়, অর্থনীতির উন্নতি হয়, জিডিপি বাড়ে তাহলে ক্ষতি কোথায়? ক্ষতি হচ্ছে, অন্য জায়গায়। নতুন কেনাকাটা, টেন্ডার, আমদানি এসবে লাভ করা যাবে না।’
রিকশা নিয়ে বের হলেই জরিমানা করা হয় এমন অভিযোগ করে ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক রহমত উল্লাহ বলেন, ‘পুলিশ বলে এভাবে চালাইলে চালাও নয় বন্ধ কর। সরকার নতুন পাঁয়তারা শুরু করছে। নতুন রিকশা আনবে, সেগুলো বিক্রি করতে হবে৷’
আগে বাসের সামনে হ্যান্ডেল দিয়ে স্টার্ট দেওয়া হতো জানিয়ে রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম বলেন, ‘ঢাকায় প্রচুর ঘোড়ার গাড়ি ছিল, এখন নেই। উপযোগিতা হচ্ছে মূল বিষয়। পঞ্চাশ বছর আগে দৌড়ে চালানোর রিকশার চেয়ে পায়ে টানার রিকশা ভালো ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে এমন গরমের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশাই উপযোগী। পায়ে টানার রিকশা এখন অমানবিক।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক সৈয়দা সেলিনা আজিজ বলেন, ‘করোনাকালে পরিবহন খাতে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত অবিবেচনাপ্রসূত। সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত গবেষণা নির্ভর হওয়া উচিত।’
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘রিকশা আমাদের অর্থনীতি, সমাজ এবং জনজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর সঙ্গে প্রায় ৪১টি শিল্প জড়িত রয়েছে ৷ এখানে একটি বিশাল অর্থনৈতিক চক্র রয়েছে ৷ বাংলাদেশে ২৬টি ব্যাটারি কারখানা আছে ৷ তাই মানুষের জীবন-জীবিকা, অর্থনীতির ওপরে বুলডোজার চালানোর অধিকার কারও নেই।’
বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ জানান, সারা দেশে সরকারের অযৌক্তিক ও অন্যায় দাবির বিরুদ্ধে শ্রমিকেরা আন্দোলন করছে। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা সবখানেই ঘটে। তাই সব বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। একটা বাহনের সমস্যা থাকলে সেটা আধুনিকায়ন করা দরকার, নিরাপদ করা দরকার, পৃষ্ঠপোষকতা করা দরকার। মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়।’
বৈঠকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় উন্নত মানের ব্রেক, ইন্ডিকেটর লাইট, গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া, আরামদায়ক ও নিরাপদ সিটের ব্যবস্থা করে যুগোপযোগী আধুনিকায়নের দাবি জানান বক্তারা।
যার নিজেরই কোন ধরনের বৈধতা নেই, সে কীভাবে অন্যের বৈধতা দেয় এমন মন্তব্য করেছেন তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ব্যাটারিচালিত যানবাহন উচ্ছেদ না করে যাত্রী ও শ্রমিকদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আধুনিকায়নের দাবিতে জাতীয় রাজনৈতিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব, পরিবহন শ্রমিক নেতৃত্ব, অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, মেকানিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার সকালে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা জানান, সারা দেশে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ রিকশা শ্রমিক দৈনিক তিন শ কোটি টাকা সঞ্চালনার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ৷ ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ না করে যুগোপযোগী আধুনিকায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আনু মুহাম্মদ জানান, করোনায় যখন মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে তখন সরকার পাটকল, চিনিকলসহ কারখানাগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে ৷ তিনি বলেন, ‘যারা নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরা করছে তাদেরও কীভাবে কর্মহীন করা যায় সেই পাঁয়তারা করছে ৷ প্রধানমন্ত্রী কাজ খুঁজে নিতে বলেছেন, কিন্তু মানুষ যখন নিজেরা কাজ খুঁজে নিচ্ছে তখন বৈধতা নেই বলে তাদের ওপর নানান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নিজেরই তো বৈধতা নেই। সে কীভাবে আরেকজনের বৈধতা দেয়?’
আনু মুহাম্মদ আরও জানান, বিদ্যুৎ বেশি খরচ হচ্ছে বিধায় সরকার ব্যাটারি রিকশা বন্ধের কথা বলছে। এতে আরও খুশি হওয়া উচিত। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত হয়ে আছে। প্রাইভেট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে টাকা দিয়ে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে ৷ তাহলে এখন বিদ্যুৎ ব্যবহার করে যদি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়, অর্থনীতির উন্নতি হয়, জিডিপি বাড়ে তাহলে ক্ষতি কোথায়? ক্ষতি হচ্ছে, অন্য জায়গায়। নতুন কেনাকাটা, টেন্ডার, আমদানি এসবে লাভ করা যাবে না।’
রিকশা নিয়ে বের হলেই জরিমানা করা হয় এমন অভিযোগ করে ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক রহমত উল্লাহ বলেন, ‘পুলিশ বলে এভাবে চালাইলে চালাও নয় বন্ধ কর। সরকার নতুন পাঁয়তারা শুরু করছে। নতুন রিকশা আনবে, সেগুলো বিক্রি করতে হবে৷’
আগে বাসের সামনে হ্যান্ডেল দিয়ে স্টার্ট দেওয়া হতো জানিয়ে রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম বলেন, ‘ঢাকায় প্রচুর ঘোড়ার গাড়ি ছিল, এখন নেই। উপযোগিতা হচ্ছে মূল বিষয়। পঞ্চাশ বছর আগে দৌড়ে চালানোর রিকশার চেয়ে পায়ে টানার রিকশা ভালো ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে এমন গরমের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশাই উপযোগী। পায়ে টানার রিকশা এখন অমানবিক।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক সৈয়দা সেলিনা আজিজ বলেন, ‘করোনাকালে পরিবহন খাতে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত অবিবেচনাপ্রসূত। সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত গবেষণা নির্ভর হওয়া উচিত।’
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘রিকশা আমাদের অর্থনীতি, সমাজ এবং জনজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর সঙ্গে প্রায় ৪১টি শিল্প জড়িত রয়েছে ৷ এখানে একটি বিশাল অর্থনৈতিক চক্র রয়েছে ৷ বাংলাদেশে ২৬টি ব্যাটারি কারখানা আছে ৷ তাই মানুষের জীবন-জীবিকা, অর্থনীতির ওপরে বুলডোজার চালানোর অধিকার কারও নেই।’
বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ জানান, সারা দেশে সরকারের অযৌক্তিক ও অন্যায় দাবির বিরুদ্ধে শ্রমিকেরা আন্দোলন করছে। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা সবখানেই ঘটে। তাই সব বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। একটা বাহনের সমস্যা থাকলে সেটা আধুনিকায়ন করা দরকার, নিরাপদ করা দরকার, পৃষ্ঠপোষকতা করা দরকার। মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়।’
বৈঠকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় উন্নত মানের ব্রেক, ইন্ডিকেটর লাইট, গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া, আরামদায়ক ও নিরাপদ সিটের ব্যবস্থা করে যুগোপযোগী আধুনিকায়নের দাবি জানান বক্তারা।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫