কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর এক কর্মী জানিয়েছেন, জাহাজটিকে সোমালিয়ান দস্যুরা তাদের আস্তানায় নিয়ে যাচ্ছে।
কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিন শরীফের ছেলে জাহাজের নূর উদ্দিনের (জিএস) পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘কারও সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। পাইরেটসরা আমাদের মোবাইলসহ সব যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে যাচ্ছে। এখানে টাকা না দিলে, আমাদেরকে একজন-একজন করে সবাইকে মেরে ফেলবে বলতেছে। এদেরকে যত তাড়াতাড়ি টাকা দিবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়ি দিবে বলতেছে। সবাই দয়া করে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুরা দখলে নিয়েছে বলে ধারণা জাহাজটির মালিক কর্তৃপক্ষের। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সমুদ্র উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটির অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
জিম্মিদের মধ্যে রয়েছেন—কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিন শরীফের ছেলে নূর উদ্দিন (জিএস), আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মোহাম্মদ সামসুদ্দিন শিমুল (ওয়েলার), একই এলাকার গাজু মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (এবি), বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর মেরিন একাডেমি এলাকার মোহাম্মদ আখতার হোসেনের ছেলে আসিফুর রহমান (এবি)। তিনি ৫ মাস আগে চাকরিতে যোগদান করেছেন।
জাহাজের ওয়েলার আনোয়ারার মোহাম্মদ সামসুদ্দিন শিমুলের মা সাগেরা বেগম বলেন, ‘সন্ধ্যার সময় ফোন করে বলে আমাদের ডাকাত দলে জিম্মি করে রেখেছে। একটুপর মোবাইল ফোনও নিয়ে নিবে, আমাদের জন্য দোয়া করিও। এটাই কলিজার আমার কলিজার টুকরার সঙ্গে শেষ কথা। জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, আমার কলিজার টুকরাকে ফিরায়ে আনতে।’
শিমুলের স্ত্রী ফারজানা আকতার বলেন, ‘জাহাজ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে তাদের অফিসে ডেকেছেন। জিম্মি সকল নাবিককে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
আসিফুর রহমানের (এবি) বাবা মোহাম্মদ আখতার হোসেন বলেন, ‘ছেলেটা নিয়ে অনেক স্বপ্ন। ৫ মাস হলো নতুন চাকরিতে ঢুকেছে, এর মধ্যে এই দুঃসংবাদ। আমাদের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। ডাকাতরা কাউকে কোনো ধরনের ক্ষতি করেনি বলে জানিয়েছে। তাদের দাবি দাওয়া দিয়ে দিলে নাকি ছেড়ে দিবে। না দিলে নাকি একজন-একজন করে মেরে ফেলবে। আমি আমার সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় চাই।’
জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি নৌপথে পণ্য পরিবহন করে। জাহাজের ক্যাপ্টেনের নাম আবদুর রশিদ। জাহাজটির চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান এবং সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। জাহাজের ক্রুদের থেকে পাওয়া মেসেজ ও ই-মেইলের মাধ্যমে জাহাজটি জলদস্যু কবলিত হওয়ার সংবাদ পান কেএসআরএম কর্মকর্তারা।
১৪ বছর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ ‘জাহান মণি’। নিকেল ভর্তি ওই জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়েছিল।
দীর্ঘ চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তাঁরা। পরে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। মুক্তিপণ বাবদ জলদস্যুদের অনেক টাকা দিতে হয়েছিলে বলে জানায় কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর এক কর্মী জানিয়েছেন, জাহাজটিকে সোমালিয়ান দস্যুরা তাদের আস্তানায় নিয়ে যাচ্ছে।
কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিন শরীফের ছেলে জাহাজের নূর উদ্দিনের (জিএস) পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘কারও সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। পাইরেটসরা আমাদের মোবাইলসহ সব যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে যাচ্ছে। এখানে টাকা না দিলে, আমাদেরকে একজন-একজন করে সবাইকে মেরে ফেলবে বলতেছে। এদেরকে যত তাড়াতাড়ি টাকা দিবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়ি দিবে বলতেছে। সবাই দয়া করে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুরা দখলে নিয়েছে বলে ধারণা জাহাজটির মালিক কর্তৃপক্ষের। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সমুদ্র উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটির অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
জিম্মিদের মধ্যে রয়েছেন—কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিন শরীফের ছেলে নূর উদ্দিন (জিএস), আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মোহাম্মদ সামসুদ্দিন শিমুল (ওয়েলার), একই এলাকার গাজু মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (এবি), বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর মেরিন একাডেমি এলাকার মোহাম্মদ আখতার হোসেনের ছেলে আসিফুর রহমান (এবি)। তিনি ৫ মাস আগে চাকরিতে যোগদান করেছেন।
জাহাজের ওয়েলার আনোয়ারার মোহাম্মদ সামসুদ্দিন শিমুলের মা সাগেরা বেগম বলেন, ‘সন্ধ্যার সময় ফোন করে বলে আমাদের ডাকাত দলে জিম্মি করে রেখেছে। একটুপর মোবাইল ফোনও নিয়ে নিবে, আমাদের জন্য দোয়া করিও। এটাই কলিজার আমার কলিজার টুকরার সঙ্গে শেষ কথা। জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, আমার কলিজার টুকরাকে ফিরায়ে আনতে।’
শিমুলের স্ত্রী ফারজানা আকতার বলেন, ‘জাহাজ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে তাদের অফিসে ডেকেছেন। জিম্মি সকল নাবিককে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
আসিফুর রহমানের (এবি) বাবা মোহাম্মদ আখতার হোসেন বলেন, ‘ছেলেটা নিয়ে অনেক স্বপ্ন। ৫ মাস হলো নতুন চাকরিতে ঢুকেছে, এর মধ্যে এই দুঃসংবাদ। আমাদের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। ডাকাতরা কাউকে কোনো ধরনের ক্ষতি করেনি বলে জানিয়েছে। তাদের দাবি দাওয়া দিয়ে দিলে নাকি ছেড়ে দিবে। না দিলে নাকি একজন-একজন করে মেরে ফেলবে। আমি আমার সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় চাই।’
জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি নৌপথে পণ্য পরিবহন করে। জাহাজের ক্যাপ্টেনের নাম আবদুর রশিদ। জাহাজটির চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান এবং সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। জাহাজের ক্রুদের থেকে পাওয়া মেসেজ ও ই-মেইলের মাধ্যমে জাহাজটি জলদস্যু কবলিত হওয়ার সংবাদ পান কেএসআরএম কর্মকর্তারা।
১৪ বছর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ ‘জাহান মণি’। নিকেল ভর্তি ওই জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়েছিল।
দীর্ঘ চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তাঁরা। পরে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। মুক্তিপণ বাবদ জলদস্যুদের অনেক টাকা দিতে হয়েছিলে বলে জানায় কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২০ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২০ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২০ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২০ দিন আগে