অনলাইন ডেস্ক
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে ‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।
গত ১৬ বছরে সরকারি-বেসরকারি দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, ‘দুদক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, উচ্চ আদালত ছিল, কিন্তু বিচার হয়নি। বিচার হয়েছে বিরোধী মত দমনে, তাদের কণ্ঠরোধ করার কাজে।’
দেশে দুর্নীতির বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি চালু হয়েছিল জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি ১০০ টাকার বালিশ নাকি চার হাজার, পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা দেখলাম ৬টা ব্যাংক লুটপাট হয়েছে। বাংলাদেশের একজন সাধারণ ব্যবসায়ী সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে বড় লোক হয়ে গেছে। আমরা দেখলাম একটা বেহায়া প্রধানমন্ত্রী; তার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এটা হাসতে হাসতে সে জাতির সামনে বলছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ৩ কোটি টাকা এক জায়গায় রেখেছে প্রক্রিয়াগত ভুলের কারণে। এক টাকাও সেখান থেকে আত্মসাৎ করেনি। ৩ কোটি টাকা ৬ কোটি টাকা হয়েছে। ওই টাকা কেউ স্পর্শ করেনি। সে জন্য তিন বারের প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের জেল দিয়েছে এই দেশের দুদক, বিচার বিভাগ মিলে। আর সেই চোর প্রধানমন্ত্রী, যার পুরো পরিবার ছিল চোর, সে সারা দেশে বলে বেড়াতো এতিমের টাকা নাকি খালেদা জিয়া আত্মসাৎ করেছেন।’
দুদকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ রকম পরিস্থিতিতে আপনারা কাজ করতে পারেন নাই, এমন এক্সকিউজ দিতে পারেন। তার মধ্যেও কেউ কেউ কাজ করার চেষ্টা করেছেন। এখন সেই পরিবেশ নাই। এখন কোনো উপদেষ্টা থেকে কেউ ফোন করেছে কোনো দিন? কেউ আপনাদের কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না। আপনারা প্রমাণ করেন যে, ভালো পরিবেশ পেলে আপনারা ভালো কাজ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের অবশ্যই আমরা দোষ দেবো, সবাইকে দোষ দেবো। কিন্তু এই দোষ দিয়ে নিজের অন্যায় থেকে নিজেকে যেন পার পাওয়ার চেষ্টা না করি। নিজেকে জিজ্ঞেস করেন- আমরা কী সৎ আছি। সব সময় কী বলপ্রয়োগের কারণে আমরা অসৎ হই? সব সময় কী আদেশ, নির্দেশের কারণে আমরা সৎ লোকের বিরুদ্ধে লাগি, অসৎ লোককে ছাড় দেই? প্রশ্নটা নিজেকে করি।’
বিচার না হওয়ায় দুর্নীতি সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলেও জানান এই উপদেষ্টা। বিগত কমিশন প্রায় শতাধিক মন্ত্রী, এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দিয়ে গেছে। সেই অনুসন্ধানের বর্তমান অবস্থা কী সেটি জানানোর জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে সমস্ত কাজ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সাহায্যে করা সম্ভব, সেগুলো আমরা করে ফেলব। আমরা দেরি করব না, আমাদের খুব বেশি সময় নাই। বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন কোনো প্রতিবেদন দেয় নাই। আমি তাদের বললাম- উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের জন্য আমরা একটা আইন করব, আপনারা কী আইন করে দিতে পারবেন কী না। পরে ওই কমিশনের রিপোর্ট ছাড়াই আমাদের আইনটা (আইনের খসড়া) করে দিল।’
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন ও প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে দুটি আলাদা আইনের খসড়া পাওয়া গেছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘এই দুটি আইন অবলম্বনে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত আইনটি যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করা হবে।’
দুদক কমিশন নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুদকের ব্যাপারটা আমি দেখছি না। যারা দেখছেন বা যিনি দেখছেন, তারা এ বিষয়ে সচেতন আছেন। দুদককে অচল রাখা যাবে না। এত বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে, দুদককে অবশ্যই সচল করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, ‘শুধু দমন নয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণের দায়িত্ব দুদকের।’
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘সৎ প্রজন্ম তৈরি করতে পারলে দুর্নীতি বিরোধী সমাজ গঠন করা সহজ হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেবল প্রতিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা নয়, সবার মনে দুর্নীতি বিরোধী চেতনা জাগ্রত করতে হবে।’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে ‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।
গত ১৬ বছরে সরকারি-বেসরকারি দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, ‘দুদক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, উচ্চ আদালত ছিল, কিন্তু বিচার হয়নি। বিচার হয়েছে বিরোধী মত দমনে, তাদের কণ্ঠরোধ করার কাজে।’
দেশে দুর্নীতির বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি চালু হয়েছিল জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি ১০০ টাকার বালিশ নাকি চার হাজার, পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা দেখলাম ৬টা ব্যাংক লুটপাট হয়েছে। বাংলাদেশের একজন সাধারণ ব্যবসায়ী সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে বড় লোক হয়ে গেছে। আমরা দেখলাম একটা বেহায়া প্রধানমন্ত্রী; তার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এটা হাসতে হাসতে সে জাতির সামনে বলছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ৩ কোটি টাকা এক জায়গায় রেখেছে প্রক্রিয়াগত ভুলের কারণে। এক টাকাও সেখান থেকে আত্মসাৎ করেনি। ৩ কোটি টাকা ৬ কোটি টাকা হয়েছে। ওই টাকা কেউ স্পর্শ করেনি। সে জন্য তিন বারের প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের জেল দিয়েছে এই দেশের দুদক, বিচার বিভাগ মিলে। আর সেই চোর প্রধানমন্ত্রী, যার পুরো পরিবার ছিল চোর, সে সারা দেশে বলে বেড়াতো এতিমের টাকা নাকি খালেদা জিয়া আত্মসাৎ করেছেন।’
দুদকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ রকম পরিস্থিতিতে আপনারা কাজ করতে পারেন নাই, এমন এক্সকিউজ দিতে পারেন। তার মধ্যেও কেউ কেউ কাজ করার চেষ্টা করেছেন। এখন সেই পরিবেশ নাই। এখন কোনো উপদেষ্টা থেকে কেউ ফোন করেছে কোনো দিন? কেউ আপনাদের কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না। আপনারা প্রমাণ করেন যে, ভালো পরিবেশ পেলে আপনারা ভালো কাজ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের অবশ্যই আমরা দোষ দেবো, সবাইকে দোষ দেবো। কিন্তু এই দোষ দিয়ে নিজের অন্যায় থেকে নিজেকে যেন পার পাওয়ার চেষ্টা না করি। নিজেকে জিজ্ঞেস করেন- আমরা কী সৎ আছি। সব সময় কী বলপ্রয়োগের কারণে আমরা অসৎ হই? সব সময় কী আদেশ, নির্দেশের কারণে আমরা সৎ লোকের বিরুদ্ধে লাগি, অসৎ লোককে ছাড় দেই? প্রশ্নটা নিজেকে করি।’
বিচার না হওয়ায় দুর্নীতি সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলেও জানান এই উপদেষ্টা। বিগত কমিশন প্রায় শতাধিক মন্ত্রী, এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দিয়ে গেছে। সেই অনুসন্ধানের বর্তমান অবস্থা কী সেটি জানানোর জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে সমস্ত কাজ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সাহায্যে করা সম্ভব, সেগুলো আমরা করে ফেলব। আমরা দেরি করব না, আমাদের খুব বেশি সময় নাই। বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন কোনো প্রতিবেদন দেয় নাই। আমি তাদের বললাম- উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের জন্য আমরা একটা আইন করব, আপনারা কী আইন করে দিতে পারবেন কী না। পরে ওই কমিশনের রিপোর্ট ছাড়াই আমাদের আইনটা (আইনের খসড়া) করে দিল।’
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন ও প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে দুটি আলাদা আইনের খসড়া পাওয়া গেছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘এই দুটি আইন অবলম্বনে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত আইনটি যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করা হবে।’
দুদক কমিশন নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুদকের ব্যাপারটা আমি দেখছি না। যারা দেখছেন বা যিনি দেখছেন, তারা এ বিষয়ে সচেতন আছেন। দুদককে অচল রাখা যাবে না। এত বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে, দুদককে অবশ্যই সচল করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, ‘শুধু দমন নয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণের দায়িত্ব দুদকের।’
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘সৎ প্রজন্ম তৈরি করতে পারলে দুর্নীতি বিরোধী সমাজ গঠন করা সহজ হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেবল প্রতিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা নয়, সবার মনে দুর্নীতি বিরোধী চেতনা জাগ্রত করতে হবে।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫