আয়নাল হোসেন, ঢাকা
বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুই মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ঢাকার দোহার উপজেলার পুষ্পখালি গ্রামের দিনমজুর মোশারফ হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কণিকা আক্তার । চিকিৎসকেরা তাঁকে কিছু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেন এবং অন্য ওষুধগুলো বাইরে থেকে কিনতে বলেন। শুধু কণিকা আক্তারই নন, তাঁর মতো অসংখ্য দরিদ্র রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। তাঁরা সেখানে পথ্য পেলেও পান না প্রয়োজনীয় ওষুধ। হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা ওষুধ বলতেই কিছু ভিটামিন, আয়রন, প্যারাসিটামলসহ হাতে গোনা ওষুধের সঙ্গে পরিচিত রোগীরা। বাকি ওষুধ চড়া দামে বাইরে থেকেই কিনতে হয় তাঁদের। অথচ উপজেলা পর্যায়ে সরকারের স্বাস্থ্যব্যয়ের ৭০ শতাংশই খরচ হয় ওষুধ কেনার পেছনে।
স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়হার পুনর্নির্ধারণ করে সম্প্রতি একটি পরিপত্র জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই পরিপত্রে দেশে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ওষুধপথ্যের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া জেলা হাসপাতালে এ ব্যয় ধরা হয় ৬৫ শতাংশ এবং উপজেলা হাসপাতালে ৭০ শতাংশ।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ আহমেদ বলেন, দেশের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ভারী যন্ত্রপাতি কেনা হয় না। এ জন্য সেখানে ওষুধে ব্যয় বেশি। আর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ভারী যন্ত্রপাতি ও এমএসআর খাতে বেশি কেনা হয়। এ কারণে ওষুধে কম ব্যয় ধরা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে।
দেশের সরকারি হাসপাতালে ওষুধপথ্যে বিপুল পরিমাণ ব্যয় দেখানো হলেও তা থেকে জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা বলছেন, রোগীরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরকারি হাসপাতাল থেকে পেয়ে থাকলে ব্যক্তি চিকিৎসাব্যয় বাড়ত না। ওষুধপথ্যে বেশি ব্যয় হওয়ায় মানুষের পকেট থেকে খরচ বেড়েই চলেছে। ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে মোট স্বাস্থ্যব্যয়ের ৬৩ শতাংশই যেত ব্যক্তির পকেট থেকে। আর বর্তমানে সেটি বেড়ে ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাস্থ্যব্যয়ের অধিকাংশ ওষুধপথ্যে ধরা হলেও জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে; বিশেষ করে যেসব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা কতটুকু সুবিধা পাচ্ছে, তা বিবেচনায় নেওয়ার সময় এসেছে।
সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যব্যয়ের মধ্যে ওষুধে ব্যয় ধরা হয় ৩৫-৪০ শতাংশ। বাংলাদেশে বেশি হওয়ার কারণ হয়তো হাসপাতালগুলো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, প্রতি দুই বছর পর ওষুধ রিভিউ করা প্রয়োজন। তাহলে কোনটি দরকার আর কোনটি দরকার না, সেটি চিহ্নিত করা যাবে। তাঁর ভাষ্য, ওষুধ কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী বাণিজ্যের কারণেও ওষুধে ব্যয় বেশি। এ জন্য চিকিৎসকেরাও ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখছেন। এতে ব্যক্তির স্বাস্থ্যব্যয় বাড়ছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ওষুধে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. এনামুল হক বলেন, হাসপাতালের বাজেট থেকে যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো একটি প্রস্তাব। ২০১৭ সালে পাঠানো ওই প্রস্তাবটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আর বর্তমানে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অক্সিজেন বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সেখানে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। তবে তা কোভিড-১৯ যত দিন চলমান থাকবে, তত দিন সে বাজেট বহাল থাকবে।
বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুই মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ঢাকার দোহার উপজেলার পুষ্পখালি গ্রামের দিনমজুর মোশারফ হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কণিকা আক্তার । চিকিৎসকেরা তাঁকে কিছু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেন এবং অন্য ওষুধগুলো বাইরে থেকে কিনতে বলেন। শুধু কণিকা আক্তারই নন, তাঁর মতো অসংখ্য দরিদ্র রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। তাঁরা সেখানে পথ্য পেলেও পান না প্রয়োজনীয় ওষুধ। হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা ওষুধ বলতেই কিছু ভিটামিন, আয়রন, প্যারাসিটামলসহ হাতে গোনা ওষুধের সঙ্গে পরিচিত রোগীরা। বাকি ওষুধ চড়া দামে বাইরে থেকেই কিনতে হয় তাঁদের। অথচ উপজেলা পর্যায়ে সরকারের স্বাস্থ্যব্যয়ের ৭০ শতাংশই খরচ হয় ওষুধ কেনার পেছনে।
স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়হার পুনর্নির্ধারণ করে সম্প্রতি একটি পরিপত্র জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই পরিপত্রে দেশে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ওষুধপথ্যের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া জেলা হাসপাতালে এ ব্যয় ধরা হয় ৬৫ শতাংশ এবং উপজেলা হাসপাতালে ৭০ শতাংশ।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ আহমেদ বলেন, দেশের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ভারী যন্ত্রপাতি কেনা হয় না। এ জন্য সেখানে ওষুধে ব্যয় বেশি। আর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ভারী যন্ত্রপাতি ও এমএসআর খাতে বেশি কেনা হয়। এ কারণে ওষুধে কম ব্যয় ধরা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে।
দেশের সরকারি হাসপাতালে ওষুধপথ্যে বিপুল পরিমাণ ব্যয় দেখানো হলেও তা থেকে জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা বলছেন, রোগীরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরকারি হাসপাতাল থেকে পেয়ে থাকলে ব্যক্তি চিকিৎসাব্যয় বাড়ত না। ওষুধপথ্যে বেশি ব্যয় হওয়ায় মানুষের পকেট থেকে খরচ বেড়েই চলেছে। ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে মোট স্বাস্থ্যব্যয়ের ৬৩ শতাংশই যেত ব্যক্তির পকেট থেকে। আর বর্তমানে সেটি বেড়ে ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাস্থ্যব্যয়ের অধিকাংশ ওষুধপথ্যে ধরা হলেও জনগণ কতটুকু পাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে; বিশেষ করে যেসব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা কতটুকু সুবিধা পাচ্ছে, তা বিবেচনায় নেওয়ার সময় এসেছে।
সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যব্যয়ের মধ্যে ওষুধে ব্যয় ধরা হয় ৩৫-৪০ শতাংশ। বাংলাদেশে বেশি হওয়ার কারণ হয়তো হাসপাতালগুলো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, প্রতি দুই বছর পর ওষুধ রিভিউ করা প্রয়োজন। তাহলে কোনটি দরকার আর কোনটি দরকার না, সেটি চিহ্নিত করা যাবে। তাঁর ভাষ্য, ওষুধ কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী বাণিজ্যের কারণেও ওষুধে ব্যয় বেশি। এ জন্য চিকিৎসকেরাও ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখছেন। এতে ব্যক্তির স্বাস্থ্যব্যয় বাড়ছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ওষুধে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. এনামুল হক বলেন, হাসপাতালের বাজেট থেকে যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো একটি প্রস্তাব। ২০১৭ সালে পাঠানো ওই প্রস্তাবটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আর বর্তমানে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অক্সিজেন বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সেখানে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। তবে তা কোভিড-১৯ যত দিন চলমান থাকবে, তত দিন সে বাজেট বহাল থাকবে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫