নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখতে সরকারের কাছে জোরালো অবস্থান তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এনআইডি, জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবা এক জায়গায় থেকে দিতে সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশের খসড়া করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিষয়টি জানার পর গতকাল বুধবার সভা করেছে ইসির কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সিইসির কাছে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। এর আগে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে বহাল রাখার দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিইসির কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। সেখান থেকে অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির কক্ষে গিয়ে তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। পরে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে নেওয়া সরকারি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে আমি শুনিনি। আলাপ-আলোচনা হয়েছে, কীভাবে হতে পারে সে আলোচনা হয়েছে। আমরা লিখিতভাবে সরকারকে জানাব যে- এটা ইসির অধীনে থাকা উচিত। সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে জানাব।’
এ বিষয়ে কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না, আমি জানি না। সরকার হয়তো মনে করছে একটা জায়গা থেকে সার্ভিসটা দেবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সেটা হবে, এমনটা শুনেছিলাম আমি।’
এনআইডি চলে গেলে ভোটার তালিকায় সমস্যা হবে কি না? জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘হবে। এনআইডিটা ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট। ১৭ বছর ধরে শ্রম, ঘাম দিয়েছে এখানকার লোকজন। এরাই তো এই পর্যন্ত এনেছে। সার্বিক বিষয়গুলো নিশ্চয় সরকার বিবেচনায় নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। হয়তো কমিউনিকেশনের একটা গ্যাপ থাকতে পারে। আমাদের লিখিত মতামত পাওয়ার পর নিশ্চয় গ্যাপ থাকবে না আশা করি। সরকার তো অনেক ওপরের ব্যাপার। আমরা সাংবিধানিক বডি। আইন যদি সরকার পরিবর্তন করে ফেলে, আমাদের আইন মানতে হয়। কিন্তু আইন বানানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা আমাদের মতামত জোরালোভাবে তুলে ধরব। যেখানে যেখানে মতামত দেওয়া দরকার, দেবো। আমাদের পুরো কমিশন এটা চায়।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নই, এটা বুঝতে হবে। আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করি। আমি ইসির পক্ষে কথা বলতে পারি, ইসির পক্ষে সরকারের কাছে অবস্থান তৈরি করতে পারি। এইটুকু আমি জোরালোভাবেই করব।’
এ সময় নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এনআইডি কার্যক্রম যাতে ইসি থেকে না যায়, সে বিষয়ে কমিশন সব উদ্যোগ নেবে। এনআইডি যদি ইসি থেকে অন্যত্র চলে যায়, তাহলে নির্বাচন হুমকির মুখে পড়বে। আমরা উদ্বেগ জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। আগের কমিশন আমাদের সঙ্গে ছিল না। বর্তমান কমিশন আমাদের সঙ্গে থাকবে। স্যারেরাও চান এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকুক।’
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘এনআইডি নিয়ে বারবার একেক সময় একেক রকম সুবিধাভোগী শ্রেণি তৈরি হয়। তারা এনআইডি নিয়ে টানা-হেঁচড়া করে। এর আগে একাধিকবার চেষ্টা হয়েছিল, মাঝে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এখন আবার নতুন কমিশন তৈরি করে তাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, কোনো না কোনো উদ্দেশ্যে এগুলো করা হচ্ছে। আমরা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’
বিগত ১৭-১৮ বছর ধরে কোনো সমস্যা হয়নি উল্লেখ করে ইসির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আজকে এমন কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি যার কারণে এনআইডি ইসি থেকে অন্য কোথাও যাবে। আমরা কমিশনকে জানিয়েছি, সময় দিয়েছি- আগামী বুধবারের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি প্রত্যাশা করছি। তা না হলে ১৩ মার্চ ইসি সচিবালয়সহ সারা দেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১১ থেকে ১টা পর্যন্ত মানববন্ধন করব। তারপরও দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখতে সরকারের কাছে জোরালো অবস্থান তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এনআইডি, জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবা এক জায়গায় থেকে দিতে সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশের খসড়া করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিষয়টি জানার পর গতকাল বুধবার সভা করেছে ইসির কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সিইসির কাছে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। এর আগে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে বহাল রাখার দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিইসির কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। সেখান থেকে অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির কক্ষে গিয়ে তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। পরে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে নেওয়া সরকারি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে আমি শুনিনি। আলাপ-আলোচনা হয়েছে, কীভাবে হতে পারে সে আলোচনা হয়েছে। আমরা লিখিতভাবে সরকারকে জানাব যে- এটা ইসির অধীনে থাকা উচিত। সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে জানাব।’
এ বিষয়ে কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না, আমি জানি না। সরকার হয়তো মনে করছে একটা জায়গা থেকে সার্ভিসটা দেবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সেটা হবে, এমনটা শুনেছিলাম আমি।’
এনআইডি চলে গেলে ভোটার তালিকায় সমস্যা হবে কি না? জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘হবে। এনআইডিটা ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট। ১৭ বছর ধরে শ্রম, ঘাম দিয়েছে এখানকার লোকজন। এরাই তো এই পর্যন্ত এনেছে। সার্বিক বিষয়গুলো নিশ্চয় সরকার বিবেচনায় নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। হয়তো কমিউনিকেশনের একটা গ্যাপ থাকতে পারে। আমাদের লিখিত মতামত পাওয়ার পর নিশ্চয় গ্যাপ থাকবে না আশা করি। সরকার তো অনেক ওপরের ব্যাপার। আমরা সাংবিধানিক বডি। আইন যদি সরকার পরিবর্তন করে ফেলে, আমাদের আইন মানতে হয়। কিন্তু আইন বানানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা আমাদের মতামত জোরালোভাবে তুলে ধরব। যেখানে যেখানে মতামত দেওয়া দরকার, দেবো। আমাদের পুরো কমিশন এটা চায়।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নই, এটা বুঝতে হবে। আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করি। আমি ইসির পক্ষে কথা বলতে পারি, ইসির পক্ষে সরকারের কাছে অবস্থান তৈরি করতে পারি। এইটুকু আমি জোরালোভাবেই করব।’
এ সময় নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এনআইডি কার্যক্রম যাতে ইসি থেকে না যায়, সে বিষয়ে কমিশন সব উদ্যোগ নেবে। এনআইডি যদি ইসি থেকে অন্যত্র চলে যায়, তাহলে নির্বাচন হুমকির মুখে পড়বে। আমরা উদ্বেগ জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। আগের কমিশন আমাদের সঙ্গে ছিল না। বর্তমান কমিশন আমাদের সঙ্গে থাকবে। স্যারেরাও চান এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকুক।’
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘এনআইডি নিয়ে বারবার একেক সময় একেক রকম সুবিধাভোগী শ্রেণি তৈরি হয়। তারা এনআইডি নিয়ে টানা-হেঁচড়া করে। এর আগে একাধিকবার চেষ্টা হয়েছিল, মাঝে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এখন আবার নতুন কমিশন তৈরি করে তাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, কোনো না কোনো উদ্দেশ্যে এগুলো করা হচ্ছে। আমরা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’
বিগত ১৭-১৮ বছর ধরে কোনো সমস্যা হয়নি উল্লেখ করে ইসির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আজকে এমন কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি যার কারণে এনআইডি ইসি থেকে অন্য কোথাও যাবে। আমরা কমিশনকে জানিয়েছি, সময় দিয়েছি- আগামী বুধবারের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি প্রত্যাশা করছি। তা না হলে ১৩ মার্চ ইসি সচিবালয়সহ সারা দেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১১ থেকে ১টা পর্যন্ত মানববন্ধন করব। তারপরও দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২৪ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২৪ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২৪ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২৪ দিন আগে