পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং
বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। সেনাপ্রধান এক বিরল প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পষ্ট করেই বলেছেন, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে।
দেশে দ্রুত নির্বাচন নিয়ে বারবার চাপ দিয়ে আসছে বর্তমানে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও সমমনারা। সর্বশেষ ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত—দুই দেশই যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চায়।
তবে আজ শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়রে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।
শুধু তা-ই নয়, সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং সীমান্ত চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার মন্তব্য নিয়েও প্রশ্নও এড়িয়ে গেছেন রণধীর। অবশ্য বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতের সরকারি অবস্থান আরেকবার ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
আজ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন নিয়ে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হয়। ভারতের পক্ষ থেকেও দ্রুত নির্বাচনের দাবি উঠেছে—এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন কূটনীতিক। ওই বিষয়ে ভারতের মনোভাব কী?
এ প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত কী ধরনের সম্পর্ক চায়, সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। মুখপাত্র বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে এসেছেন, ভারত ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই এগোতে চায়। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারত সুসম্পর্ক চায়, যাতে দুই দেশের জনগণের মঙ্গল হয়।
জয়সোয়াল বলেন, ‘এটাই আমাদের মনোভাব। বারবার তা জানানো হয়েছে। এই মনোভাব ইতিবাচক এবং এই মনোভাবই বহাল থাকবে।’
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর সীমান্ত এলাকায় কিছু অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। এ নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে একাধিক পতাকা বৈঠক হয়েছে। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীরা এ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সীমান্ত চুক্তি পর্যালোচনার কথা বলেছেন।
এ বিষয় উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, দুই দেশের সার্বভৌম সরকারের করা চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানিয়েছে কি না।
জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের অস্থায়ী হাইকমিশনারকে ডেকে ভারতের মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে বলে দেওয়াও হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে, সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে ভারত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সে জন্য আন্তসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। পণ্যের চোরাচালান, মানুষ ও গরু পাচার বন্ধে সীমান্তে বেড়া দেওয়া, আলোর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে।
জয়সোয়াল বলেন, ভারত চায়, এই বিষয়ে আগে যে বোঝাপড়া হয়েছিল, তা কার্যকর করা হবে। সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতার ভিত্তিতে অতীতের সব বোঝাপড়া কার্যকর করুক, এটাই ভারতের আশা।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই মাসের শুরুতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এতে বাধা দেয় বিজিবি। বিজিবির সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় জনগণও। এ নিয়ে দুই বাহিনীর পতাকা বৈঠক হয়। এরপর থেকে ভারত সীমান্তে বেড়া নির্মাণ বন্ধ রেখেছে। ভারত দাবি করছে, তারা চুক্তি অনুযায়ী বেড়া তৈরি করছে। তবে ঢাকা জানিয়েছে, সাবেক সরকারের আমলে হওয়া এ চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে।
বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। সেনাপ্রধান এক বিরল প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পষ্ট করেই বলেছেন, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে।
দেশে দ্রুত নির্বাচন নিয়ে বারবার চাপ দিয়ে আসছে বর্তমানে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও সমমনারা। সর্বশেষ ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত—দুই দেশই যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চায়।
তবে আজ শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়রে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।
শুধু তা-ই নয়, সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং সীমান্ত চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার মন্তব্য নিয়েও প্রশ্নও এড়িয়ে গেছেন রণধীর। অবশ্য বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতের সরকারি অবস্থান আরেকবার ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
আজ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন নিয়ে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হয়। ভারতের পক্ষ থেকেও দ্রুত নির্বাচনের দাবি উঠেছে—এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন কূটনীতিক। ওই বিষয়ে ভারতের মনোভাব কী?
এ প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত কী ধরনের সম্পর্ক চায়, সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। মুখপাত্র বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে এসেছেন, ভারত ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই এগোতে চায়। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারত সুসম্পর্ক চায়, যাতে দুই দেশের জনগণের মঙ্গল হয়।
জয়সোয়াল বলেন, ‘এটাই আমাদের মনোভাব। বারবার তা জানানো হয়েছে। এই মনোভাব ইতিবাচক এবং এই মনোভাবই বহাল থাকবে।’
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর সীমান্ত এলাকায় কিছু অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। এ নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে একাধিক পতাকা বৈঠক হয়েছে। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীরা এ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সীমান্ত চুক্তি পর্যালোচনার কথা বলেছেন।
এ বিষয় উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, দুই দেশের সার্বভৌম সরকারের করা চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানিয়েছে কি না।
জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের অস্থায়ী হাইকমিশনারকে ডেকে ভারতের মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে বলে দেওয়াও হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে, সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে ভারত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সে জন্য আন্তসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। পণ্যের চোরাচালান, মানুষ ও গরু পাচার বন্ধে সীমান্তে বেড়া দেওয়া, আলোর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে।
জয়সোয়াল বলেন, ভারত চায়, এই বিষয়ে আগে যে বোঝাপড়া হয়েছিল, তা কার্যকর করা হবে। সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতার ভিত্তিতে অতীতের সব বোঝাপড়া কার্যকর করুক, এটাই ভারতের আশা।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই মাসের শুরুতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এতে বাধা দেয় বিজিবি। বিজিবির সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় জনগণও। এ নিয়ে দুই বাহিনীর পতাকা বৈঠক হয়। এরপর থেকে ভারত সীমান্তে বেড়া নির্মাণ বন্ধ রেখেছে। ভারত দাবি করছে, তারা চুক্তি অনুযায়ী বেড়া তৈরি করছে। তবে ঢাকা জানিয়েছে, সাবেক সরকারের আমলে হওয়া এ চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২২ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২২ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২২ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২২ দিন আগে