তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
দেশের মানুষের স্বপ্নের এবং সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু। সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন এবং নিচের অংশ চলবে ট্রেন। আগামী বছরের জুনে যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু চালুর পরিকল্পনা আছে সরকারের। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে কাজ। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য বসানো হচ্ছে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এর মধ্যে আর ১৭০টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসতে বাকি আছে বলে জানা গেছে। সেপ্টেম্বরে শেষ হবে স্ল্যাব বসানোর কাজ।
প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৭ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৯৪ শতাংশ। নদীশাসনের কাজ হয়েছে প্রায় ৮৪ শতাংশ। সেতুর ট্রেন চলার অংশে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে সব স্ল্যাব বসানোর কাজ গত মাসে শেষ করেছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুর ট্রেন চলার অংশে রেললাইন বসানোর কাজ করবে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো শেষে গ্যাস পাইপলাইনের কাজ চলায় এখনই রেললাইন বসানোর জন্য হস্তান্তর করতে পারছে না পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। আগামী বছরের মার্চ মাসে রেললাইন বসানোর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারে বলে জানা গেছে।
রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজের বিষয়ে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেতুর সড়কপথের আর ১৭০টির মতো স্ল্যাব বসতে বাকি আছে। আবহাওয়া যদি আমাদের অনুকূলে থাকে তাহলে আমরা আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকেই সব রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হওয়ার পরে আরও অনেক কাজ আছে, যেমন কার্পেটিং, দুই পাশে প্যারা পেট ওয়াল করতে হবে, ইলেকট্রিক কাজ, লাইটিং ইত্যাদি।’
করোনার সময় সেতুর কাজ কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে যেসব শ্রমিক কাজ করেন, তাঁরা সবাই প্রকল্প এলাকায় থাকেন। কেউ বাইরে যেতে পারেন না এবং বাইরের কোনো শ্রমিক ভেতরে ঢুকতে পারেন না। সবার ছুটি বাতিল করে কাজ চলছে। কেউ যদি জরুরি প্রয়োজনে ছুটিতে যেতে চান, তাহলে ছুটি থেকে আসার পরে তাঁকে ১৫ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পরে আবার কাজে যোগ দিতে হয়। এভাবেই চলছে কাজ। করোনার কারণে কাজ থেমে নেই।’
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দ্বিতল পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এবং শরীয়তপুরের জাজিরাকে যুক্ত করেছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
সেতুর সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য রেডি হবে ২০২২ সালের জুনে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ে সেতুর কাজ শেষ করতে পারব। সেতুর রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষের দিকে চলে এসেছে। সব মিলে মূল সেতুর কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ এগিয়েছে।’
সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা মেগা এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
দেশের মানুষের স্বপ্নের এবং সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু। সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন এবং নিচের অংশ চলবে ট্রেন। আগামী বছরের জুনে যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু চালুর পরিকল্পনা আছে সরকারের। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে কাজ। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য বসানো হচ্ছে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এর মধ্যে আর ১৭০টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসতে বাকি আছে বলে জানা গেছে। সেপ্টেম্বরে শেষ হবে স্ল্যাব বসানোর কাজ।
প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৭ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৯৪ শতাংশ। নদীশাসনের কাজ হয়েছে প্রায় ৮৪ শতাংশ। সেতুর ট্রেন চলার অংশে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে সব স্ল্যাব বসানোর কাজ গত মাসে শেষ করেছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুর ট্রেন চলার অংশে রেললাইন বসানোর কাজ করবে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো শেষে গ্যাস পাইপলাইনের কাজ চলায় এখনই রেললাইন বসানোর জন্য হস্তান্তর করতে পারছে না পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। আগামী বছরের মার্চ মাসে রেললাইন বসানোর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারে বলে জানা গেছে।
রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজের বিষয়ে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেতুর সড়কপথের আর ১৭০টির মতো স্ল্যাব বসতে বাকি আছে। আবহাওয়া যদি আমাদের অনুকূলে থাকে তাহলে আমরা আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকেই সব রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হওয়ার পরে আরও অনেক কাজ আছে, যেমন কার্পেটিং, দুই পাশে প্যারা পেট ওয়াল করতে হবে, ইলেকট্রিক কাজ, লাইটিং ইত্যাদি।’
করোনার সময় সেতুর কাজ কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে যেসব শ্রমিক কাজ করেন, তাঁরা সবাই প্রকল্প এলাকায় থাকেন। কেউ বাইরে যেতে পারেন না এবং বাইরের কোনো শ্রমিক ভেতরে ঢুকতে পারেন না। সবার ছুটি বাতিল করে কাজ চলছে। কেউ যদি জরুরি প্রয়োজনে ছুটিতে যেতে চান, তাহলে ছুটি থেকে আসার পরে তাঁকে ১৫ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পরে আবার কাজে যোগ দিতে হয়। এভাবেই চলছে কাজ। করোনার কারণে কাজ থেমে নেই।’
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দ্বিতল পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এবং শরীয়তপুরের জাজিরাকে যুক্ত করেছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
সেতুর সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য রেডি হবে ২০২২ সালের জুনে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ে সেতুর কাজ শেষ করতে পারব। সেতুর রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষের দিকে চলে এসেছে। সব মিলে মূল সেতুর কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ এগিয়েছে।’
সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা মেগা এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫