নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বাংলাদেশে ২১ বছর সরকারি চাকরি করে বেতন হতে পারিবারিক ব্যয় মিটিয়ে কোটি কোটি টাকা নগদ জমা থাকা এককথায় অবাস্তব, অবিশ্বাস্য এবং কল্পকাহিনীকেও হার মানায়।’ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশিদের ৫ বছরের সাজা বহালের রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ। ১৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়।
বজলুর রশিদকে গত বছরের ২৩ অক্টোবর পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। সেইসঙ্গে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকায় ক্রয়কৃত ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন বজলুর রশিদ। আপিল খারিজ করে বিশেষ জজ আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে দণ্ডাদেশ সংশোধন করে সশ্রম কারাদণ্ডের পরিবর্তে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বজলুর রশিদ রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ‘রুপায়ণ স্বপ্ন নিলয়’ তে ৩ কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। যার আয়তন প্রায় ৩ হাজার বর্গফুট। একজন সরকারি চাকরিজীবী কীভাবে এত টাকা দিয়ে এ ধরনের ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, আপীলকারীর বক্তব্য থেকে এটি স্পষ্ট যে, রুপায়ন হাউজিং কর্তৃপক্ষ যদি ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন তবেই তিনি ফ্ল্যাট ক্রয় করতে ইচ্ছুক মর্মে রুপায়নকে জানান। অর্থাৎ আপীলকারীর (বজলুর রশীদ) ব্যাংক ঋণ ব্যতীত ফ্ল্যাট ক্রয় করার কোনো ইচ্ছা বা সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু তিনি তাঁর লিখিত ও মৌখিক সাক্ষীর কোথাও ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ঋণের আবেদন করেছেন মর্মে কোনো তথ্য প্রদান করেননি। তিনি জেরায় বলেছেন, রুপায়ন হাউজিং লিমিটেডকে নগদ টাকা দিয়েছেন। তিনি ব্যাংকে ঋণের জন্য দরখাস্তই করেননি। অর্থাৎ তিনি নিজেকে রক্ষার জন্য আদালতে একের পর এক মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেছেন।
আদালত বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সাধারণত কোনো ব্যক্তি এক লাখ টাকার উপর কাউকে নগদে প্রদান করেন না। বর্তমানে প্রায় সকল লেনদেনই চেক কিংবা পে-অর্ডার প্রদানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। অপরদিকে ফ্ল্যাট নির্মাণ কোম্পানিকে কেউই নগদে টাকা প্রদান করেন না। আপীলকারী জেরায় বলেন যে, তার ব্যাংক একাউন্ট আছে। তিনি রুপায়ন হাউজিং লিমিটেডকে নগদ টাকা দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি জেরায় স্বীকার করেন যে, তার একটি ব্যাংক একাউন্ট আছে। তাহলে প্রশ্ন আসে কেন তিনি কোটি কোটি টাকা চেকে বা পে-অর্ডারে না দিয়ে নগদে প্রদান করলেন? এর একটাই উত্তর–তা হলো উক্ত টাকা বৈধ না হওয়ায় তিনি ব্যাংকে রাখতে পারেননি।
হাইকোর্ট আরও বলেন, রুপায়ন হাউজিং লিমিটেডকে তিনি যে কোটি কোটি টাকা প্রদান করেছেন তা তার (বজলুর রশিদ) বাড়িতে ছিল না। তাহলে তিনি কোথা থেকে উক্ত টাকা নগদ প্রাপ্ত হয়ে প্রদান করেছেন সে সম্পর্কে তার লিখিত ও মৌখিক জবানবন্দিতে কোনো বক্তব্য নেই। তার স্বীকৃত মতেই তিনি পৈত্রিক সূত্রে কোনো সম্পত্তি প্রাপ্ত হননি। তার একমাত্র বৈধ আয়ের উৎস হলো ১৯৯৭ সালে যোগদানকৃত সরকারি চাকরি। বাংলাদেশে ২১ বৎসর সরকারি চাকরি করে বেতন হতে পারিবারিক ব্যয় মিটিয়ে কোটি কোটি টাকা নগদ জমা থাকা এককথায় অবাস্তব, অবিশ্বাস্য এবং কল্পকাহিনীকেও হার মানায়।
আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, মোছা. নূরজাহান বেওয়া (বজলুর রশিদের মাতা) তার নামে দলিলটি সাম্পাদনের ৪ মাস পরই তিনি বজলুর রশিদকে হেবা করে দিয়েছেন। প্রশ্ন হলো কেন তিনি চার মাস পূর্বে সম্পদ ক্রয় করে চার মাস পর তা হেবা করে দিলেন? অথচ নূরজাহান বেওয়ার কোনো আয় ছিলনা। এমনকি তার নামে কোনো আয়কর নথিও ছিল না। সে সময় তার কোনো আয় না থাকায় প্রশ্ন আসে উক্ত সম্পত্তি তিনি কিভাবে ক্রয় করলেন? প্রকৃতপক্ষে বজুলর রশিদ তার অবৈধ পন্থায় অর্জিত টাকা দিয়ে তার মায়ের নামে সম্পত্তি ক্রয় করে পরবর্তীতে সেসব নিজের নামে হেবামূলে গ্রহণ করেছেন। তার এহেন কাজ নীতি নৈতিকতার পরিপন্থী। বজলুর রশীদ তার অবৈধ অর্থ বৈধ করার জন্য তার গর্ভধারিনী মায়ের নাম ব্যবহার করেছেন, যা একজন সন্তানের নিকট কোন ভাবেই কাম্য নয়।
হাইকোর্ট রায়ে বলেন, সার্বিক পর্যালোচনায় এবং প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ বিচার বিশ্লেষণে এটি প্রতীয়মান যে, বজলুর রশিদ সিদ্ধেশ্বরী রোড, রমনা, ঢাকা রুপায়ন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২ নং ভবনের ২য় তলায় ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটটি অবৈধ আয়ের টাকায় নগদে ক্রয় করেছেন। প্রসিকিউশন পক্ষ সন্দেহাতীতভাবে আপিলকারীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই গত বছরের ২৩ অক্টোবর বিশেষ আদালতের দেওয়া রায় সঠিক হয়েছে।
‘বাংলাদেশে ২১ বছর সরকারি চাকরি করে বেতন হতে পারিবারিক ব্যয় মিটিয়ে কোটি কোটি টাকা নগদ জমা থাকা এককথায় অবাস্তব, অবিশ্বাস্য এবং কল্পকাহিনীকেও হার মানায়।’ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশিদের ৫ বছরের সাজা বহালের রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ। ১৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়।
বজলুর রশিদকে গত বছরের ২৩ অক্টোবর পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। সেইসঙ্গে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকায় ক্রয়কৃত ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন বজলুর রশিদ। আপিল খারিজ করে বিশেষ জজ আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে দণ্ডাদেশ সংশোধন করে সশ্রম কারাদণ্ডের পরিবর্তে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বজলুর রশিদ রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ‘রুপায়ণ স্বপ্ন নিলয়’ তে ৩ কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। যার আয়তন প্রায় ৩ হাজার বর্গফুট। একজন সরকারি চাকরিজীবী কীভাবে এত টাকা দিয়ে এ ধরনের ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, আপীলকারীর বক্তব্য থেকে এটি স্পষ্ট যে, রুপায়ন হাউজিং কর্তৃপক্ষ যদি ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন তবেই তিনি ফ্ল্যাট ক্রয় করতে ইচ্ছুক মর্মে রুপায়নকে জানান। অর্থাৎ আপীলকারীর (বজলুর রশীদ) ব্যাংক ঋণ ব্যতীত ফ্ল্যাট ক্রয় করার কোনো ইচ্ছা বা সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু তিনি তাঁর লিখিত ও মৌখিক সাক্ষীর কোথাও ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ঋণের আবেদন করেছেন মর্মে কোনো তথ্য প্রদান করেননি। তিনি জেরায় বলেছেন, রুপায়ন হাউজিং লিমিটেডকে নগদ টাকা দিয়েছেন। তিনি ব্যাংকে ঋণের জন্য দরখাস্তই করেননি। অর্থাৎ তিনি নিজেকে রক্ষার জন্য আদালতে একের পর এক মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেছেন।
আদালত বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সাধারণত কোনো ব্যক্তি এক লাখ টাকার উপর কাউকে নগদে প্রদান করেন না। বর্তমানে প্রায় সকল লেনদেনই চেক কিংবা পে-অর্ডার প্রদানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। অপরদিকে ফ্ল্যাট নির্মাণ কোম্পানিকে কেউই নগদে টাকা প্রদান করেন না। আপীলকারী জেরায় বলেন যে, তার ব্যাংক একাউন্ট আছে। তিনি রুপায়ন হাউজিং লিমিটেডকে নগদ টাকা দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি জেরায় স্বীকার করেন যে, তার একটি ব্যাংক একাউন্ট আছে। তাহলে প্রশ্ন আসে কেন তিনি কোটি কোটি টাকা চেকে বা পে-অর্ডারে না দিয়ে নগদে প্রদান করলেন? এর একটাই উত্তর–তা হলো উক্ত টাকা বৈধ না হওয়ায় তিনি ব্যাংকে রাখতে পারেননি।
হাইকোর্ট আরও বলেন, রুপায়ন হাউজিং লিমিটেডকে তিনি যে কোটি কোটি টাকা প্রদান করেছেন তা তার (বজলুর রশিদ) বাড়িতে ছিল না। তাহলে তিনি কোথা থেকে উক্ত টাকা নগদ প্রাপ্ত হয়ে প্রদান করেছেন সে সম্পর্কে তার লিখিত ও মৌখিক জবানবন্দিতে কোনো বক্তব্য নেই। তার স্বীকৃত মতেই তিনি পৈত্রিক সূত্রে কোনো সম্পত্তি প্রাপ্ত হননি। তার একমাত্র বৈধ আয়ের উৎস হলো ১৯৯৭ সালে যোগদানকৃত সরকারি চাকরি। বাংলাদেশে ২১ বৎসর সরকারি চাকরি করে বেতন হতে পারিবারিক ব্যয় মিটিয়ে কোটি কোটি টাকা নগদ জমা থাকা এককথায় অবাস্তব, অবিশ্বাস্য এবং কল্পকাহিনীকেও হার মানায়।
আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, মোছা. নূরজাহান বেওয়া (বজলুর রশিদের মাতা) তার নামে দলিলটি সাম্পাদনের ৪ মাস পরই তিনি বজলুর রশিদকে হেবা করে দিয়েছেন। প্রশ্ন হলো কেন তিনি চার মাস পূর্বে সম্পদ ক্রয় করে চার মাস পর তা হেবা করে দিলেন? অথচ নূরজাহান বেওয়ার কোনো আয় ছিলনা। এমনকি তার নামে কোনো আয়কর নথিও ছিল না। সে সময় তার কোনো আয় না থাকায় প্রশ্ন আসে উক্ত সম্পত্তি তিনি কিভাবে ক্রয় করলেন? প্রকৃতপক্ষে বজুলর রশিদ তার অবৈধ পন্থায় অর্জিত টাকা দিয়ে তার মায়ের নামে সম্পত্তি ক্রয় করে পরবর্তীতে সেসব নিজের নামে হেবামূলে গ্রহণ করেছেন। তার এহেন কাজ নীতি নৈতিকতার পরিপন্থী। বজলুর রশীদ তার অবৈধ অর্থ বৈধ করার জন্য তার গর্ভধারিনী মায়ের নাম ব্যবহার করেছেন, যা একজন সন্তানের নিকট কোন ভাবেই কাম্য নয়।
হাইকোর্ট রায়ে বলেন, সার্বিক পর্যালোচনায় এবং প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ বিচার বিশ্লেষণে এটি প্রতীয়মান যে, বজলুর রশিদ সিদ্ধেশ্বরী রোড, রমনা, ঢাকা রুপায়ন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২ নং ভবনের ২য় তলায় ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটটি অবৈধ আয়ের টাকায় নগদে ক্রয় করেছেন। প্রসিকিউশন পক্ষ সন্দেহাতীতভাবে আপিলকারীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই গত বছরের ২৩ অক্টোবর বিশেষ আদালতের দেওয়া রায় সঠিক হয়েছে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২২ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২২ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২২ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২২ দিন আগে