নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে গায়েবি মামলা ও গ্রেপ্তার-নির্যাতন বেড়েছে। সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অবৈধ ব্যবহার হচ্ছে।
১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ মত দিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বিবৃতিতে বলেন, ‘এ বছর মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিরুদ্ধ মত দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গায়েবি মামলা দায়ের, বাড়ি-ঘরে তল্লাশি, গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন, সভা-সমাবেশে যেতে বাধা দেওয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা মানবাধিকার ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি এমএসএফ জোর দাবি জানাচ্ছে।’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘এমএসএফ পরিষ্কারভাবে বলতে চায়—মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়ার অধিকার কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধ নয়, বরং তা সাংবিধানিক নিশ্চয়তা।’
বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ব্যক্তিস্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য গণতান্ত্রিক শাসন অত্যন্ত জরুরি। আর এর জন্য দরকার ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির সমাজে সুস্থ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা। আজকের বাস্তবতায় নাগরিক জীবনের নিরাপত্তাহীনতা, ন্যায়বিচার, স্বাধীন মত প্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা ও ন্যায্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ক্রমাগত বৈষম্য বৃদ্ধি, অসমতা ও ন্যায়বিচারহীনতা দৃশ্যমান হচ্ছে।
মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে বর্ণিত গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারসমূহ যেমন—শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদানের অধিকার, রাজনৈতিক চর্চা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমমর্যাদা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো বাস্তবায়ন ও চর্চার মাধ্যমেই কেবল মানবাধিকার সুরক্ষা ও টেকসই করা সম্ভব বলে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) মনে করে।
এমএসএফ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন, সমাজে সর্বস্তরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সংস্কৃতি চর্চা নিশ্চিত করতে পারলে সার্বিক উন্নয়নসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ বাস্তবায়ন সম্ভব। তাই আজকের এই মানবাধিকার দিবসে আমরা এই শপথ করি যে মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, মানবাধিকার সংস্কৃতির চর্চাই হবে আমাদের জীবনের মূলমন্ত্র।
মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে থাকে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘ডিগনিটি, ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস ফর অল’ যা বাংলায় বলা যায় ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’।
দেশে গায়েবি মামলা ও গ্রেপ্তার-নির্যাতন বেড়েছে। সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অবৈধ ব্যবহার হচ্ছে।
১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ মত দিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বিবৃতিতে বলেন, ‘এ বছর মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিরুদ্ধ মত দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গায়েবি মামলা দায়ের, বাড়ি-ঘরে তল্লাশি, গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন, সভা-সমাবেশে যেতে বাধা দেওয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা মানবাধিকার ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি এমএসএফ জোর দাবি জানাচ্ছে।’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘এমএসএফ পরিষ্কারভাবে বলতে চায়—মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়ার অধিকার কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধ নয়, বরং তা সাংবিধানিক নিশ্চয়তা।’
বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ব্যক্তিস্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য গণতান্ত্রিক শাসন অত্যন্ত জরুরি। আর এর জন্য দরকার ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির সমাজে সুস্থ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা। আজকের বাস্তবতায় নাগরিক জীবনের নিরাপত্তাহীনতা, ন্যায়বিচার, স্বাধীন মত প্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা ও ন্যায্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ক্রমাগত বৈষম্য বৃদ্ধি, অসমতা ও ন্যায়বিচারহীনতা দৃশ্যমান হচ্ছে।
মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে বর্ণিত গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারসমূহ যেমন—শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদানের অধিকার, রাজনৈতিক চর্চা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমমর্যাদা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো বাস্তবায়ন ও চর্চার মাধ্যমেই কেবল মানবাধিকার সুরক্ষা ও টেকসই করা সম্ভব বলে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) মনে করে।
এমএসএফ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন, সমাজে সর্বস্তরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সংস্কৃতি চর্চা নিশ্চিত করতে পারলে সার্বিক উন্নয়নসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ বাস্তবায়ন সম্ভব। তাই আজকের এই মানবাধিকার দিবসে আমরা এই শপথ করি যে মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, মানবাধিকার সংস্কৃতির চর্চাই হবে আমাদের জীবনের মূলমন্ত্র।
মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে থাকে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘ডিগনিটি, ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস ফর অল’ যা বাংলায় বলা যায় ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫