বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
জনপ্রশাসন সংস্কারে আগের কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুরো প্রশাসন আদল-বদল করে দিতে শতাধিক সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। থাকছে আন্তক্যাডার বৈষম্য কমানোর তরিকাও। আজ বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে তারা।
কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে এবং সবই বাস্তবায়নযোগ্য। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কি না, সেটা সরকার বুঝবে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর তা প্রকাশ করা হবে বলে এই কমিশনের সদস্যসচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তরের আগে সুপারিশের বিষয়ে কথা বলেননি তাঁরা।
কী থাকছে কমিশনের প্রতিবেদনে
কমিশন সূত্র জানায়, আন্তক্যাডার বৈষম্য কমাতে সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) নামে নতুন একটি সার্ভিস গঠনের প্রস্তাব করবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। সরকারের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত কর্মকর্তারা এই সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এই সার্ভিস থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিব নিয়োগ দেওয়া হবে।
অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারাও সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্তির জন্য পরীক্ষা দিতে পারবেন। উত্তীর্ণ কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে।
উপসচিব পদে বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রশাসন ক্যাডারের কোটা কমিয়ে ৫০ শতাংশ করে অন্য সব ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ করার চিন্তা করেছিল। কমিশন এই ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পর এ নিয়ে আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যাওয়ায় সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে কমিশন।
বিভাগীয় কমিশনারকে প্রশাসন ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ হিসেবে রাখার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। সমবায় ও খাদ্য ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করারও পরামর্শ করবে তারা।
সূত্র বলছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি ক্যাডারের মতো বিশেষায়িত ক্যাডারের জন্য আলাদা সার্ভিস কমিশন গঠনের প্রস্তাব করবে কমিশন। কারিগরি ক্যাডারগুলোকে নিয়ে প্রকৌশল সার্ভিস এবং বিশেষায়িত ক্যাডারগুলোর জন্য আলাদা আলাদা সার্ভিসের প্রস্তাব করা হতে পারে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এই দুই খাতে ক্যাডার, নন-ক্যাডারসহ সব ধরনের নিয়োগের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করবে কমিশন।
এ ছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগকে চারটি প্রদেশ করার সুপারিশ করার পাশাপাশি বিদ্যমান আটটি প্রশাসনিক বিভাগের বাইরে কুমিল্লা ও ফরিদপুর নামে দুটি নতুন বিভাগ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে কমিশন।
কমিশনের একজন সদস্য জানান, সরকারি চাকরিজীবীদের ১৫ বছর চাকরির পর পূর্ণ পেনশনসহ অবসরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার সুপারিশ করবে কমিশন। এখন ২৫ বছর চাকরির পর স্বেচ্ছায় অবসরে গেলে পূর্ণ পেনশন পাওয়া যায়।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংখ্যা ৫৮টি থেকে কমিয়ে ৩০টি করা, জেলা পরিষদ বিলুপ্ত করে উপজেলা পরিষদকে শক্তিশালী করা এবং সরকারি এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানে ডেপুটেশনে কাজ করার অনুমতি না দেওয়ারও সুপারিশ করতে পারে কমিশন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে গত ৩ অক্টোবর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় দুই দফায় তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
জনপ্রশাসন সংস্কারে আগের কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুরো প্রশাসন আদল-বদল করে দিতে শতাধিক সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। থাকছে আন্তক্যাডার বৈষম্য কমানোর তরিকাও। আজ বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে তারা।
কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে এবং সবই বাস্তবায়নযোগ্য। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কি না, সেটা সরকার বুঝবে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর তা প্রকাশ করা হবে বলে এই কমিশনের সদস্যসচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তরের আগে সুপারিশের বিষয়ে কথা বলেননি তাঁরা।
কী থাকছে কমিশনের প্রতিবেদনে
কমিশন সূত্র জানায়, আন্তক্যাডার বৈষম্য কমাতে সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) নামে নতুন একটি সার্ভিস গঠনের প্রস্তাব করবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। সরকারের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত কর্মকর্তারা এই সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এই সার্ভিস থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিব নিয়োগ দেওয়া হবে।
অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারাও সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্তির জন্য পরীক্ষা দিতে পারবেন। উত্তীর্ণ কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে।
উপসচিব পদে বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রশাসন ক্যাডারের কোটা কমিয়ে ৫০ শতাংশ করে অন্য সব ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ করার চিন্তা করেছিল। কমিশন এই ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পর এ নিয়ে আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যাওয়ায় সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে কমিশন।
বিভাগীয় কমিশনারকে প্রশাসন ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ হিসেবে রাখার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। সমবায় ও খাদ্য ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করারও পরামর্শ করবে তারা।
সূত্র বলছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি ক্যাডারের মতো বিশেষায়িত ক্যাডারের জন্য আলাদা সার্ভিস কমিশন গঠনের প্রস্তাব করবে কমিশন। কারিগরি ক্যাডারগুলোকে নিয়ে প্রকৌশল সার্ভিস এবং বিশেষায়িত ক্যাডারগুলোর জন্য আলাদা আলাদা সার্ভিসের প্রস্তাব করা হতে পারে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এই দুই খাতে ক্যাডার, নন-ক্যাডারসহ সব ধরনের নিয়োগের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করবে কমিশন।
এ ছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগকে চারটি প্রদেশ করার সুপারিশ করার পাশাপাশি বিদ্যমান আটটি প্রশাসনিক বিভাগের বাইরে কুমিল্লা ও ফরিদপুর নামে দুটি নতুন বিভাগ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে কমিশন।
কমিশনের একজন সদস্য জানান, সরকারি চাকরিজীবীদের ১৫ বছর চাকরির পর পূর্ণ পেনশনসহ অবসরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার সুপারিশ করবে কমিশন। এখন ২৫ বছর চাকরির পর স্বেচ্ছায় অবসরে গেলে পূর্ণ পেনশন পাওয়া যায়।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংখ্যা ৫৮টি থেকে কমিয়ে ৩০টি করা, জেলা পরিষদ বিলুপ্ত করে উপজেলা পরিষদকে শক্তিশালী করা এবং সরকারি এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানে ডেপুটেশনে কাজ করার অনুমতি না দেওয়ারও সুপারিশ করতে পারে কমিশন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে গত ৩ অক্টোবর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় দুই দফায় তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২২ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২২ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২২ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২২ দিন আগে