উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর অংশ হিসেবে প্রশাসন, পুলিশসহ সরকারের দপ্তরে কর্মরত ধনী ও সম্পদশালী কর্মকর্তাদের সম্পদের উৎস সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বলেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিশেষ করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মরত ছিলেন বা আছেন এমন ধনী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খুঁজে তালিকা করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁদের নিকটাত্মীয় ধনী ও সম্পদশালীদের বিষয়েও খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিপুল সম্পত্তি অর্জন নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে এখন। তাঁদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেদিকে ইঙ্গিত করে গত শনিবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি, সে যে-ই হোক, দুর্নীতি করলে কারও রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে, ধরব।’ সরকারপ্রধানের এমন বক্তব্যের পর তাঁর কার্যালয় থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীল কেউই কথা বলতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল সোমবার নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের তালিকা করার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শনিবার সংসদে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দুর্নীতি করলে রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে।’
সম্প্রতি যে কয়েকজন সাবেক-বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত কোটির টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে, তাঁদের একজন হলেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। এ নিয়ে দুদকের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর পরপরই পরিবারসহ দেশ ছাড়েন বেনজীর। আদালতের আদেশে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পদ ক্রোক করেছে সরকার। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এ ছাড়া এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধেও নামে-বেনামে সম্পদ থাকার তথ্য জানা গেছে। এরই মধ্যে আদালত তাঁর সব সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সারা দেশে। এমন পরিস্থিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত ও সাবেক কর্মকর্তাদের সম্পদের উৎস সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বলা হলো।
এ প্রসঙ্গে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না। দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকারের পুরো মেকানিজম মিলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর অংশ হিসেবে প্রশাসন, পুলিশসহ সরকারের দপ্তরে কর্মরত ধনী ও সম্পদশালী কর্মকর্তাদের সম্পদের উৎস সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বলেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিশেষ করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মরত ছিলেন বা আছেন এমন ধনী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খুঁজে তালিকা করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁদের নিকটাত্মীয় ধনী ও সম্পদশালীদের বিষয়েও খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিপুল সম্পত্তি অর্জন নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে এখন। তাঁদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেদিকে ইঙ্গিত করে গত শনিবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি, সে যে-ই হোক, দুর্নীতি করলে কারও রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে, ধরব।’ সরকারপ্রধানের এমন বক্তব্যের পর তাঁর কার্যালয় থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীল কেউই কথা বলতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল সোমবার নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের তালিকা করার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শনিবার সংসদে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দুর্নীতি করলে রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে।’
সম্প্রতি যে কয়েকজন সাবেক-বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত কোটির টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে, তাঁদের একজন হলেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। এ নিয়ে দুদকের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর পরপরই পরিবারসহ দেশ ছাড়েন বেনজীর। আদালতের আদেশে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পদ ক্রোক করেছে সরকার। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এ ছাড়া এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধেও নামে-বেনামে সম্পদ থাকার তথ্য জানা গেছে। এরই মধ্যে আদালত তাঁর সব সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সারা দেশে। এমন পরিস্থিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত ও সাবেক কর্মকর্তাদের সম্পদের উৎস সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বলা হলো।
এ প্রসঙ্গে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না। দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকারের পুরো মেকানিজম মিলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫