নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মেয়েরা কোথায় কতটুকু সুবিধা বেশি পেল, এটা নিয়ে কত মানুষের কত ক্ষোভ! কোটা পর্যন্ত বাতিল করে দিল। অথচ মেয়েরা যে নিজের বাবার সম্পত্তি পায় ভাইয়ের অর্ধেক, তা নিয়ে সবাই চুপ,’ বলছিলেন লুনা আক্তার নামের একজন নারী। লুনা জানান, স্বামী তাঁর এবং সন্তানের ভরণপোষণ দেন না। অন্যদিকে বাবার মৃত্যুর পর ভাই তাঁকে পৈতৃক সম্পত্তির সামান্য অংশ দিয়েছেন। আরও কিছু চাইতে গেলে তাঁকে হেনস্তা করা হয়।
লুনা আক্তার একা নন। এ দেশের অসংখ্য নারীকেই এ ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। মানবাধিকারকর্মীদের মতে, দেশে নারীদের প্রতি যত ধরনের অন্যায় হয়ে থাকে, সেগুলোর মূলে রয়েছে বৈষম্যমূলক উত্তরাধিকার আইন। সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে নারী সমান অধিকার না পাওয়ায় অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাকে পুরুষের তুলনায় কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশে আজ পালিত হচ্ছে সিডও দিবস। সিডও হচ্ছে জাতিসংঘের গৃহীত নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ।
১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সিডও সনদ কার্যকর হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরের ৩ সেপ্টেম্বরকে সিডও দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ৪টি ধারায় আপত্তি রেখে এতে স্বাক্ষর ও অনুমোদন করে। এরপর ৪০ বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো মূলত ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে সনদের দুটি ধারায় আপত্তি বলবৎ রেখেছে বাংলাদেশ। এই দুটি ধারায় নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে আইনের সংস্কার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিয়ে ও পারিবারিক আইনে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা ৪০ বছরেও দুটি ধারায় আপত্তি তুলে নিতে পারিনি। এটা দুঃখজনক। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তবে উপদেষ্টা এবং আন্দোলনের সমন্বয়ক—কাউকেই আমরা এখনো নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ বিষয়ে সরব হতে দেখিনি। আশা করব, এই সরকার সিডও সনদের দুটি ধারায় আপত্তি তুলে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।’
এ বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘সিডওর পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন না হওয়ার দায় নীতিনির্ধারকদের। যাঁরা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আছেন, তাঁদের অনেকে বিষয়টি ভালো করে বোঝেনও না।’
‘মেয়েরা কোথায় কতটুকু সুবিধা বেশি পেল, এটা নিয়ে কত মানুষের কত ক্ষোভ! কোটা পর্যন্ত বাতিল করে দিল। অথচ মেয়েরা যে নিজের বাবার সম্পত্তি পায় ভাইয়ের অর্ধেক, তা নিয়ে সবাই চুপ,’ বলছিলেন লুনা আক্তার নামের একজন নারী। লুনা জানান, স্বামী তাঁর এবং সন্তানের ভরণপোষণ দেন না। অন্যদিকে বাবার মৃত্যুর পর ভাই তাঁকে পৈতৃক সম্পত্তির সামান্য অংশ দিয়েছেন। আরও কিছু চাইতে গেলে তাঁকে হেনস্তা করা হয়।
লুনা আক্তার একা নন। এ দেশের অসংখ্য নারীকেই এ ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। মানবাধিকারকর্মীদের মতে, দেশে নারীদের প্রতি যত ধরনের অন্যায় হয়ে থাকে, সেগুলোর মূলে রয়েছে বৈষম্যমূলক উত্তরাধিকার আইন। সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে নারী সমান অধিকার না পাওয়ায় অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাকে পুরুষের তুলনায় কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশে আজ পালিত হচ্ছে সিডও দিবস। সিডও হচ্ছে জাতিসংঘের গৃহীত নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ।
১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সিডও সনদ কার্যকর হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরের ৩ সেপ্টেম্বরকে সিডও দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ৪টি ধারায় আপত্তি রেখে এতে স্বাক্ষর ও অনুমোদন করে। এরপর ৪০ বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো মূলত ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে সনদের দুটি ধারায় আপত্তি বলবৎ রেখেছে বাংলাদেশ। এই দুটি ধারায় নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে আইনের সংস্কার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিয়ে ও পারিবারিক আইনে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা ৪০ বছরেও দুটি ধারায় আপত্তি তুলে নিতে পারিনি। এটা দুঃখজনক। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তবে উপদেষ্টা এবং আন্দোলনের সমন্বয়ক—কাউকেই আমরা এখনো নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ বিষয়ে সরব হতে দেখিনি। আশা করব, এই সরকার সিডও সনদের দুটি ধারায় আপত্তি তুলে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।’
এ বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘সিডওর পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন না হওয়ার দায় নীতিনির্ধারকদের। যাঁরা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আছেন, তাঁদের অনেকে বিষয়টি ভালো করে বোঝেনও না।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫