কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে গেছেন। তিনি সেখানে অবস্থান করলে তাতে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না, এমনটাই মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ সোমবার বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা ভারতে থাকলে তাতে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন ব্যক্তি কোনো এক দেশে থাকলে তাতে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই। দুই দেশের সম্পর্ক স্বার্থের সম্পর্ক। দেশের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে কি না, সেটাই বড় বিষয়।’
পদত্যাগের পর শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন।
আজ রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশনপ্রধানদের জন্য কূটনৈতিক ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৬৫ জন বিদেশি কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
কূটনীতিকদের জন্য দেওয়া লিখিত বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘মৌলিক অধিকার, সমাবেশ ও মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এর বাইরে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য নীতি ও কাঠামোগত সংস্কার শুরু হবে।’
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতার চান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘কোনো বৈধ বিদেশি ব্যবসা এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।’
বিদেশি দূতদের তিনি জানান, দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেসব চুক্তি ও অঙ্গীকার বাংলাদেশ করেছে, তা অবশ্যই রক্ষা করা হবে।
এ বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানে স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে বা যথেষ্ট স্বার্থ রক্ষা হয়নি, সেগুলো (খতিয়ে) দেখা হবে।’
কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কূটনীতিকেরা মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিরাপত্তা ও দেশে–বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার পদত্যাগের আগে ও পরে সংঘটিত সহিংসতার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নেওয়া হবে।’
তবে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতেরা কিছু জানতে চাননি।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে গেছেন। তিনি সেখানে অবস্থান করলে তাতে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না, এমনটাই মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ সোমবার বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা ভারতে থাকলে তাতে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন ব্যক্তি কোনো এক দেশে থাকলে তাতে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই। দুই দেশের সম্পর্ক স্বার্থের সম্পর্ক। দেশের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে কি না, সেটাই বড় বিষয়।’
পদত্যাগের পর শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন।
আজ রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশনপ্রধানদের জন্য কূটনৈতিক ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৬৫ জন বিদেশি কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
কূটনীতিকদের জন্য দেওয়া লিখিত বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘মৌলিক অধিকার, সমাবেশ ও মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এর বাইরে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য নীতি ও কাঠামোগত সংস্কার শুরু হবে।’
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতার চান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘কোনো বৈধ বিদেশি ব্যবসা এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।’
বিদেশি দূতদের তিনি জানান, দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেসব চুক্তি ও অঙ্গীকার বাংলাদেশ করেছে, তা অবশ্যই রক্ষা করা হবে।
এ বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানে স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে বা যথেষ্ট স্বার্থ রক্ষা হয়নি, সেগুলো (খতিয়ে) দেখা হবে।’
কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কূটনীতিকেরা মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিরাপত্তা ও দেশে–বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার পদত্যাগের আগে ও পরে সংঘটিত সহিংসতার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নেওয়া হবে।’
তবে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতেরা কিছু জানতে চাননি।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫