নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বিদ্যমান ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ সরকারি আইন প্রণয়নে বৈধতা দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার জন্য সক্ষম নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার জাতীয় সংসদে স্মারক বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সরকার আইন প্রণয়নে উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ‘সংসদের সম্মতি ছাড়া কোনো আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়। এ কারণে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে আইন প্রণয়নে সংসদ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকারি দল সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ। সংসদের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সরকারের যেকোনো প্রস্তাবে সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অটুট থাকে। ফলে সরকারি আইনে সরকারি দলের সম্মতি পায়। সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে স্বাভাবিকভাবেই অনুমতি লাভ করে। সংশোধনগুলো গ্রহণ বা বর্জন সরকারের মর্জির ওপর নির্ভরশীল থাকে। সংসদ কার্যত আইন প্রণয়নে শুধু সরকারি আইন প্রণয়নে বৈধতা দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার জন্য সক্ষম নয়।’
১৯৯১ পরবর্তী দেশের প্রায় প্রতিটি সংসদই কোনো না কোনো দল বর্জন করেছে এমনটা জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত যতগুলি সংসদ হয়েছে তাতে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্বকারী আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বর্জন করেছে। এখনো একটি দল (বিএনপি) তার গোষ্ঠীসহ বর্জন করছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘৫০ বছরে আমরা অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এসেছি। এখন অনেক পরিপক্ব ও ম্যাচিউর সংসদ বলে আমি দাবি করছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের একটি সংশোধনী হওয়া আবশ্যক।’
জিএম কাদের বলেন, ‘আমি মনে করি সরকার গঠনের সময়কাল, সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব হলে এবং বাজেট পাস এই তিনটি বিষয় বাদে সংসদ সদস্যদের নিজের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। যাতে করে সরকারি দলের সকল সদস্য যেমন নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিচার-বিবেচনা এবং এলাকার মতের প্রতিফলন ঘটিয়ে ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’
ভারতের মতো আমাদের দেশেও যদি কোনো দলের সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে তাঁরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নিতে পারবেন এমন বিধান বাংলাদেশেও থাকার প্রস্তাব করেন কাদের।
উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘যে দেশে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক উন্নয়ন হয়, সে দেশকে গণতন্ত্রহীন বলা যায়। অনেকেই উন্নয়নকে গণতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে দাঁড় করাতে চাচ্ছেন। কিন্তু উন্নয়ন কখনোই গণতন্ত্রের বিকল্প হতে পারে না। উন্নয়নের বিষয়ে বলা হচ্ছে স্থিতিশীলতা উন্নয়নের সহায়ক। কথাটি সত্য। তবে এটা যাঁরা বলেন তাঁরা সরকার পরিবর্তন না হওয়াটাকে স্থিতিশীলতা মনে করেন।
জি এম কাদের বলেন, বস্তুত সরকার পরিবর্তন না হলে এক ধরনের স্থিতিশীলতা দেখা যায়। কিন্তু সেটা বাহ্যিক ও কৃত্রিম স্থিতিশীলতা। এই ধরনের স্থিতিশীলতা ভঙ্গুর ও অল্প দিনে এই ধরনের স্থিতিশীলতা অস্থিতিশীলতায় পরিণত হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে স্থিতিশীলতা হলো সরকার পরিবর্তন হলেও দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়ে না। স্থিতিশীলতা হলো সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে আর্থসামাজিক ও রাজনীতির কোনো ব্যাপক পরিবর্তন বা সংকট সৃষ্টি হবে না।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘উন্নয়ন অর্থ অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়। অনেকে এই বিষয়টিকে ভুল করেন। অবকাঠামোগত উন্নয়ন উন্নয়নের সহায়ক মাত্র। প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে দেশ ও জনগণের সার্বিক জীবনমানের উন্নয়ন।’
দেশের বিদ্যমান ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ সরকারি আইন প্রণয়নে বৈধতা দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার জন্য সক্ষম নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার জাতীয় সংসদে স্মারক বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সরকার আইন প্রণয়নে উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ‘সংসদের সম্মতি ছাড়া কোনো আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়। এ কারণে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে আইন প্রণয়নে সংসদ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকারি দল সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ। সংসদের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সরকারের যেকোনো প্রস্তাবে সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অটুট থাকে। ফলে সরকারি আইনে সরকারি দলের সম্মতি পায়। সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে স্বাভাবিকভাবেই অনুমতি লাভ করে। সংশোধনগুলো গ্রহণ বা বর্জন সরকারের মর্জির ওপর নির্ভরশীল থাকে। সংসদ কার্যত আইন প্রণয়নে শুধু সরকারি আইন প্রণয়নে বৈধতা দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার জন্য সক্ষম নয়।’
১৯৯১ পরবর্তী দেশের প্রায় প্রতিটি সংসদই কোনো না কোনো দল বর্জন করেছে এমনটা জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত যতগুলি সংসদ হয়েছে তাতে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্বকারী আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বর্জন করেছে। এখনো একটি দল (বিএনপি) তার গোষ্ঠীসহ বর্জন করছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘৫০ বছরে আমরা অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এসেছি। এখন অনেক পরিপক্ব ও ম্যাচিউর সংসদ বলে আমি দাবি করছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের একটি সংশোধনী হওয়া আবশ্যক।’
জিএম কাদের বলেন, ‘আমি মনে করি সরকার গঠনের সময়কাল, সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব হলে এবং বাজেট পাস এই তিনটি বিষয় বাদে সংসদ সদস্যদের নিজের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। যাতে করে সরকারি দলের সকল সদস্য যেমন নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিচার-বিবেচনা এবং এলাকার মতের প্রতিফলন ঘটিয়ে ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’
ভারতের মতো আমাদের দেশেও যদি কোনো দলের সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে তাঁরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নিতে পারবেন এমন বিধান বাংলাদেশেও থাকার প্রস্তাব করেন কাদের।
উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘যে দেশে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক উন্নয়ন হয়, সে দেশকে গণতন্ত্রহীন বলা যায়। অনেকেই উন্নয়নকে গণতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে দাঁড় করাতে চাচ্ছেন। কিন্তু উন্নয়ন কখনোই গণতন্ত্রের বিকল্প হতে পারে না। উন্নয়নের বিষয়ে বলা হচ্ছে স্থিতিশীলতা উন্নয়নের সহায়ক। কথাটি সত্য। তবে এটা যাঁরা বলেন তাঁরা সরকার পরিবর্তন না হওয়াটাকে স্থিতিশীলতা মনে করেন।
জি এম কাদের বলেন, বস্তুত সরকার পরিবর্তন না হলে এক ধরনের স্থিতিশীলতা দেখা যায়। কিন্তু সেটা বাহ্যিক ও কৃত্রিম স্থিতিশীলতা। এই ধরনের স্থিতিশীলতা ভঙ্গুর ও অল্প দিনে এই ধরনের স্থিতিশীলতা অস্থিতিশীলতায় পরিণত হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে স্থিতিশীলতা হলো সরকার পরিবর্তন হলেও দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়ে না। স্থিতিশীলতা হলো সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে আর্থসামাজিক ও রাজনীতির কোনো ব্যাপক পরিবর্তন বা সংকট সৃষ্টি হবে না।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘উন্নয়ন অর্থ অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়। অনেকে এই বিষয়টিকে ভুল করেন। অবকাঠামোগত উন্নয়ন উন্নয়নের সহায়ক মাত্র। প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে দেশ ও জনগণের সার্বিক জীবনমানের উন্নয়ন।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫