নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপিল বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার ছয় মাসেও শেষ না হওয়ায় বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বরের ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারককে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আর ওই সময় পর্যন্ত এই মামলার আসামি আশিষ রায় চৌধুরীর জামিন স্থগিতই থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আশিষ রায়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
২৫ বছর আগে খুন হওয়া চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। আর সে সময় পর্যন্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরীর জামিন স্থগিত করেন আদালত। এর আগে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন আসামি আশিষ রায় চৌধুরী। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গত বছরের ৫ এপ্রিল রাতে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন পদে ছিলেন। সর্বশেষ ছিলেন জিএমজি এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও)।
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০০১ সালে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে ২০০৩ সালে এক আসামি হাইকোর্টে রিট করলে বিচারকাজ স্থগিত করে রুল জারি করা হয়। ২০১৫ সালে ওই রুল খারিজ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রায় দেন উচ্চ আদালত। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ওই নথি আর বিচারিক আদালতে যায়নি। শুরু হয়নি বিচারকাজ।
অনুসন্ধান শেষে আজকের পত্রিকায় গত বছরের ২৩ জানুয়ারি ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের পর সোহেল চৌধুরীর মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে ৩০ জানুয়ারি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন ভুঁইয়া রাসেল। পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট করেন তিনি। শুনানি শেষে হাইকোর্ট নথি খুঁজে বের করতে ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের পর সেই নথি পৌঁছে যায় মাত্র ১৩ দিনে। ১০ মার্চ আবারও শুরু হয় বিচারকাজ। ২০ মার্চ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এর পরই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আশীষ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর তাঁর বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। শুরুতে ক্লাবের ১১ সদস্য-কর্মচারীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় আদনান সিদ্দিকি নামের এক ব্যক্তিকে।
ডিবি পুলিশ তদন্তে নেমে ১৯৯৯ সালের ৩ জানুয়ারি গুলশান থেকে ক্লাব ট্রামসের মালিক বান্টি ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এর তিন দিন পর ৬ জানুয়ারি গুলশান লেডিস পার্কের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আলোচিত শিল্পপতি আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আদনান সিদ্দিকি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, হত্যাকাণ্ডের আগে এক শিল্পপতির ফোন পেয়ে তিনি ঢাকা ক্লাব থেকে ঘটনাস্থলে যান।
এক বছর তদন্তের পর ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এতে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ছাড়াও তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
আপিল বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার ছয় মাসেও শেষ না হওয়ায় বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বরের ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারককে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আর ওই সময় পর্যন্ত এই মামলার আসামি আশিষ রায় চৌধুরীর জামিন স্থগিতই থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আশিষ রায়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
২৫ বছর আগে খুন হওয়া চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। আর সে সময় পর্যন্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরীর জামিন স্থগিত করেন আদালত। এর আগে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন আসামি আশিষ রায় চৌধুরী। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গত বছরের ৫ এপ্রিল রাতে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন পদে ছিলেন। সর্বশেষ ছিলেন জিএমজি এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও)।
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০০১ সালে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে ২০০৩ সালে এক আসামি হাইকোর্টে রিট করলে বিচারকাজ স্থগিত করে রুল জারি করা হয়। ২০১৫ সালে ওই রুল খারিজ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রায় দেন উচ্চ আদালত। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ওই নথি আর বিচারিক আদালতে যায়নি। শুরু হয়নি বিচারকাজ।
অনুসন্ধান শেষে আজকের পত্রিকায় গত বছরের ২৩ জানুয়ারি ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের পর সোহেল চৌধুরীর মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে ৩০ জানুয়ারি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন ভুঁইয়া রাসেল। পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট করেন তিনি। শুনানি শেষে হাইকোর্ট নথি খুঁজে বের করতে ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের পর সেই নথি পৌঁছে যায় মাত্র ১৩ দিনে। ১০ মার্চ আবারও শুরু হয় বিচারকাজ। ২০ মার্চ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এর পরই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আশীষ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর তাঁর বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। শুরুতে ক্লাবের ১১ সদস্য-কর্মচারীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় আদনান সিদ্দিকি নামের এক ব্যক্তিকে।
ডিবি পুলিশ তদন্তে নেমে ১৯৯৯ সালের ৩ জানুয়ারি গুলশান থেকে ক্লাব ট্রামসের মালিক বান্টি ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এর তিন দিন পর ৬ জানুয়ারি গুলশান লেডিস পার্কের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আলোচিত শিল্পপতি আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আদনান সিদ্দিকি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, হত্যাকাণ্ডের আগে এক শিল্পপতির ফোন পেয়ে তিনি ঢাকা ক্লাব থেকে ঘটনাস্থলে যান।
এক বছর তদন্তের পর ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এতে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ছাড়াও তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২৫ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২৫ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২৫ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২৫ দিন আগে