তানিম আহমেদ, পঞ্চগড় থেকে
বৈশ্বিক মন্দার কারণে আমেরিকা, ইউরোপের অনেক উন্নত দেশ জ্বালানি সাশ্রয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি।’
বৃহস্পতিবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহ ও ভূমিহীনদের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে দেশের পাঁচটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আমেরিকা ও ইউরোপ বিদ্যুৎ, পেট্রল, ডিজেলসহ জ্বালানি সাশ্রয় করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো আমাদের দেশকে ভালোভাবে চালাতে পারছি, কিন্তু আমাদের এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি।’ তাই সবাইকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা।
দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একদিকে করোনাভাইরাস, অন্যদিকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। এই যুদ্ধের সময় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা, ফলে আমাদের সার কিনতে সমস্যা হচ্ছে, খাদ্য কিনতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলার দিয়ে কেনা যাচ্ছে না।
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যের জন্য হাহাকার। এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও হাহাকার দেখা যাচ্ছে।’
মানুষকে উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতেও খাদ্যের জন্য হাহাকার হচ্ছে। লন্ডনে এক লিটারের বেশি খাবারের তেল কেউ কিনতে পারে না। আমাদের তো এখনো ইচ্ছে করলে পাঁচ লিটার কিনতে পারছে। আমরা জোগাড় করে দিচ্ছি। তার পরও আমাদের সাশ্রয় করতে হবে।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরতদের বিদ্যুৎ, পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের উদ্যোগের কারণে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলা গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত হয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এ দুটি জেলায় আর কেউ ভূমি ও গৃহহীন নেই। আমি আশা করি এইভাবে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করতে পারব। প্রতিটি মানুষের ঘর ও স্থায়ী ঠিকানা থাকবে। তাদের সুন্দর বাসস্থান থাকবে। সেটা আমরা করতে পারব।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় গৃহহীন ও ভূমিহীন আছে কি না, সেটা খুঁজে দেখার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের একটা দায়িত্ব রয়েছে। দলমত-নির্বিশেষে যে গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে, আমরা তাদের ঘর, ঠিকানা এবং জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দেব।’
বাংলাদেশে দলমতের ভিন্নতা থাকতে পারে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাতে কিছু আসে যায় না। দেশটা তো আমাদের সবার। আমি যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব আমার। দল, মত ও আদর্শে ভিন্নতা থাকতে পারে, তার পরও মানুষ মানুষই। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি। প্রত্যেক মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে সেটাই আমি চাই। আমার বাবা সেটাই শিক্ষা দিয়েছেন।’
পরে প্রধানমন্ত্রী উপকারভোগীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন।
বৈশ্বিক মন্দার কারণে আমেরিকা, ইউরোপের অনেক উন্নত দেশ জ্বালানি সাশ্রয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি।’
বৃহস্পতিবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহ ও ভূমিহীনদের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে দেশের পাঁচটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আমেরিকা ও ইউরোপ বিদ্যুৎ, পেট্রল, ডিজেলসহ জ্বালানি সাশ্রয় করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো আমাদের দেশকে ভালোভাবে চালাতে পারছি, কিন্তু আমাদের এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি।’ তাই সবাইকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা।
দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একদিকে করোনাভাইরাস, অন্যদিকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। এই যুদ্ধের সময় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা, ফলে আমাদের সার কিনতে সমস্যা হচ্ছে, খাদ্য কিনতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলার দিয়ে কেনা যাচ্ছে না।
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যের জন্য হাহাকার। এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও হাহাকার দেখা যাচ্ছে।’
মানুষকে উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতেও খাদ্যের জন্য হাহাকার হচ্ছে। লন্ডনে এক লিটারের বেশি খাবারের তেল কেউ কিনতে পারে না। আমাদের তো এখনো ইচ্ছে করলে পাঁচ লিটার কিনতে পারছে। আমরা জোগাড় করে দিচ্ছি। তার পরও আমাদের সাশ্রয় করতে হবে।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরতদের বিদ্যুৎ, পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের উদ্যোগের কারণে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলা গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত হয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এ দুটি জেলায় আর কেউ ভূমি ও গৃহহীন নেই। আমি আশা করি এইভাবে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করতে পারব। প্রতিটি মানুষের ঘর ও স্থায়ী ঠিকানা থাকবে। তাদের সুন্দর বাসস্থান থাকবে। সেটা আমরা করতে পারব।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় গৃহহীন ও ভূমিহীন আছে কি না, সেটা খুঁজে দেখার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের একটা দায়িত্ব রয়েছে। দলমত-নির্বিশেষে যে গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে, আমরা তাদের ঘর, ঠিকানা এবং জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দেব।’
বাংলাদেশে দলমতের ভিন্নতা থাকতে পারে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাতে কিছু আসে যায় না। দেশটা তো আমাদের সবার। আমি যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব আমার। দল, মত ও আদর্শে ভিন্নতা থাকতে পারে, তার পরও মানুষ মানুষই। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি। প্রত্যেক মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে সেটাই আমি চাই। আমার বাবা সেটাই শিক্ষা দিয়েছেন।’
পরে প্রধানমন্ত্রী উপকারভোগীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫