নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আগামী দিনের বিচার ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই। তা হলো স্বল্প সময়, স্বল্প খরচে বিচার প্রার্থী জনগণের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা। এই ডিসেম্বর মাসে আমাদের মহান সংবিধান প্রবর্তিত হওয়ার এবং সুপ্রিম কোর্টের যুগপৎ সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ণিল আয়োজনে আমরা উপনীত। এই মাহেন্দ্রক্ষণে একটি যুগোপযোগী এবং গতিশীল বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আমাদের এখনই সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা ছয়টি সফটওয়্যার উদ্বোধনের সময় আজ মঙ্গলবার এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বারের সভাপতি, কর্মকর্তা–কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, অধস্তন আদালতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মামলা নিষ্পত্তির হার ছিল ৮৫ ভাগ। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ১০১ ভাগ। আর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ ভাগে। মামলা নিষ্পত্তির হার সবচেয়ে বেশি গাজীপুরে ১৬৫ ভাগ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অধস্তন আদালতে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৫টি দেওয়ানী মামলা দায়ের হয়েছে এবং নিষ্পত্তি হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৯টি। একই সময়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার ৬০৪টি এবং নিষ্পত্তি হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৭৪৯টি। এ ছাড়া ২২ বছরের অধিক পুরাতন ১ হাজার ৫৮১টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উচ্চ আদালতের প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ বছর গ্রীষ্মকালীন অবকাশেও ১৩৮টি মৃত্যুদণ্ডের মামলা নিষ্পত্তি করেছে হাইকোর্ট। আর হাইকোর্ট বিভাগে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়ের হয়েছে ৬৪ হাজার ৬৪১টি মামলা এবং নিষ্পত্তি হয়েছে ৫০ হাজার ৯১০টি। হাইকোর্ট বিভাগে মামলা নিষ্পত্তির হার ৭৯ ভাগ। আদালতে নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি শনাক্ত করণে ১ হাজার ২০০টি ডিভাইস সরবরাহ করা হয়েছে। জুলাই মাসে স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি’র চাহিদা ছিল ১১ কোটি টাকা। আর আগস্টে এই চাহিদা দাঁড়ায় ১৬ কোটি টাকায়। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নথি সংরক্ষণের জন্য ১৪ তলা রেকর্ড ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।
সফটওয়্যার ছয়টি হলো
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অ্যাপস: এতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে থাকা সব তথ্য অতি সহজে পাওয়া যাবে। গুগল প্লে স্টোরে এই অ্যাপ উন্মুক্ত করা হবে।
অনলাইন রিপোর্টিং টুলস: এটি অধস্তন আদালত থেকে মামলার পরিসংখ্যান পাঠানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করবে। যেখানে প্রতি মাসে মামলার তথ্য পাঠাবেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকেরা।
আপিল বিভাগের ডিজিটাল অনুলিপি শাখা: এর মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীরা আপিল বিভাগে প্রবেশ করবে তাদের তথ্যগুলো জানতে পারবে। সহজেই নকল তুলতে পারবেন।
আপিল বিভাগে প্রবেশ পাস: এর মাধ্যমে আপিল বিভাগের এজলাস সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বিচারপ্রার্থী আপিল বিভাগে প্রবেশ করবে তাদের তথ্যগুলো জানতে পারবে। এতে আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
অনলাইনে রায় ও আদেশ প্রকাশ: অধস্তন আদালতের বিচারকেরা সহজেই তাদের দেওয়া রায় ও আদেশ প্রস্তুতকৃত অ্যাপসে আপলোড করতে পারবেন। যা বিচারপ্রার্থী জনগণ সহজেই দেখতে পারবেন।
শিশু আদালতের রিপোর্ট এন্ট্রি প্ল্যাটফর্ম: এখানে শিশু আদালতের মামলার পরিসংখ্যান থাকবে। এটি শিশু বান্ধব বিচার ব্যবস্থা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আগামী দিনের বিচার ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই। তা হলো স্বল্প সময়, স্বল্প খরচে বিচার প্রার্থী জনগণের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা। এই ডিসেম্বর মাসে আমাদের মহান সংবিধান প্রবর্তিত হওয়ার এবং সুপ্রিম কোর্টের যুগপৎ সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ণিল আয়োজনে আমরা উপনীত। এই মাহেন্দ্রক্ষণে একটি যুগোপযোগী এবং গতিশীল বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আমাদের এখনই সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা ছয়টি সফটওয়্যার উদ্বোধনের সময় আজ মঙ্গলবার এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বারের সভাপতি, কর্মকর্তা–কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, অধস্তন আদালতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মামলা নিষ্পত্তির হার ছিল ৮৫ ভাগ। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ১০১ ভাগ। আর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ ভাগে। মামলা নিষ্পত্তির হার সবচেয়ে বেশি গাজীপুরে ১৬৫ ভাগ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অধস্তন আদালতে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৫টি দেওয়ানী মামলা দায়ের হয়েছে এবং নিষ্পত্তি হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৯টি। একই সময়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার ৬০৪টি এবং নিষ্পত্তি হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৭৪৯টি। এ ছাড়া ২২ বছরের অধিক পুরাতন ১ হাজার ৫৮১টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উচ্চ আদালতের প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ বছর গ্রীষ্মকালীন অবকাশেও ১৩৮টি মৃত্যুদণ্ডের মামলা নিষ্পত্তি করেছে হাইকোর্ট। আর হাইকোর্ট বিভাগে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়ের হয়েছে ৬৪ হাজার ৬৪১টি মামলা এবং নিষ্পত্তি হয়েছে ৫০ হাজার ৯১০টি। হাইকোর্ট বিভাগে মামলা নিষ্পত্তির হার ৭৯ ভাগ। আদালতে নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি শনাক্ত করণে ১ হাজার ২০০টি ডিভাইস সরবরাহ করা হয়েছে। জুলাই মাসে স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি’র চাহিদা ছিল ১১ কোটি টাকা। আর আগস্টে এই চাহিদা দাঁড়ায় ১৬ কোটি টাকায়। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নথি সংরক্ষণের জন্য ১৪ তলা রেকর্ড ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।
সফটওয়্যার ছয়টি হলো
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অ্যাপস: এতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে থাকা সব তথ্য অতি সহজে পাওয়া যাবে। গুগল প্লে স্টোরে এই অ্যাপ উন্মুক্ত করা হবে।
অনলাইন রিপোর্টিং টুলস: এটি অধস্তন আদালত থেকে মামলার পরিসংখ্যান পাঠানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করবে। যেখানে প্রতি মাসে মামলার তথ্য পাঠাবেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকেরা।
আপিল বিভাগের ডিজিটাল অনুলিপি শাখা: এর মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীরা আপিল বিভাগে প্রবেশ করবে তাদের তথ্যগুলো জানতে পারবে। সহজেই নকল তুলতে পারবেন।
আপিল বিভাগে প্রবেশ পাস: এর মাধ্যমে আপিল বিভাগের এজলাস সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বিচারপ্রার্থী আপিল বিভাগে প্রবেশ করবে তাদের তথ্যগুলো জানতে পারবে। এতে আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
অনলাইনে রায় ও আদেশ প্রকাশ: অধস্তন আদালতের বিচারকেরা সহজেই তাদের দেওয়া রায় ও আদেশ প্রস্তুতকৃত অ্যাপসে আপলোড করতে পারবেন। যা বিচারপ্রার্থী জনগণ সহজেই দেখতে পারবেন।
শিশু আদালতের রিপোর্ট এন্ট্রি প্ল্যাটফর্ম: এখানে শিশু আদালতের মামলার পরিসংখ্যান থাকবে। এটি শিশু বান্ধব বিচার ব্যবস্থা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫