নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিরাপত্তা শঙ্কা থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী ও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সমন্বয়কদের কেন পরিবারের কাছে না দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। হেফাজতে থাকা তিনজনকে দ্রুত তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ারও অনুরোধ করেছেন।
আজ শনিবার বিকেল ৪টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষকদের একটি দল। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারের বিষয়ে জানতে গেলেও ডিবির কর্মকর্তারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি।
গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে এই সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে যায় ডিবি। এ বিষয়ে আজ দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের দলটি ডিবি কার্যালয়ে হারুন অর রশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে অভ্যর্থনা কক্ষে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের তাঁদের পরিচয় দেন। তবে হারুন অর রশিদ ভেতরে একটি সভায় ব্যস্ত থাকায় দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। শিক্ষকেরা ফের অনুরোধ করেন, যেন তাঁদের সঙ্গে অন্তত ১০ মিনিট হারুন অর রশিদ কথা বলেন। এরপরও তাঁরা সাক্ষাতের অনুমতি পাননি। শিক্ষকেরা ২০ মিনিট ডিবির অভ্যর্থনা কক্ষে অপেক্ষা করে সাড়া না পেয়ে ফটকের সামনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘আমরা জেনেছি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রকে হাসপাতাল থেকে অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ডিবির হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে তাঁদের এখানে আনা হলো কেন, শুধু এটা জানতেই আমরা এসেছিলাম। তখন এখানকার অফিস প্রধান (হারুন অর রশিদ) ভেতরেই ছিলেন এবং তাঁকে খবরও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও। কাজেই আমাদের ছাত্ররা ঠিকমতো আছে কি না, সেই খবর তো কারও গাড়ি আটকে জিজ্ঞেস করার কথা না। এ বিষয়গুলো খুবই স্বচ্ছ হওয়ার কথা। তিনি (হারুন অর রশিদ) কথা না বলে গাড়ি নিয়ে চলে গেছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা, নিরাপত্তাসহ সব বিষয় নিয়েই উদ্বিগ্ন। এ জন্যই আমরা খোঁজ নিতে এসেছি, শিক্ষার্থীদের কী নিরাপত্তার অভাব হলো? ডিবি শিক্ষার্থীদের তো আমাদের জিম্মায়ও দিতে পারত। কিন্তু তিনি (ডিবি প্রধান) তো আমাদের সঙ্গে দেখাই করলেন না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক ডিবি হেফাজত থেকে শিক্ষার্থীদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘একজন মানুষের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হলো পরিবার। যদি তাঁদের নিরাপত্তা দিতেই হবে, তাহলে তাঁদের বাসার আশপাশে নিরাপত্তা দেওয়া হোক, তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা এখন কোথায় আছে, কেমন আছে, এটা তো নাগরিক হিসেবে আমাদের জানার অধিকার আছে। শিক্ষক হিসেবে এটা জানা জরুরি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলী সেহরীন ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুশাদ ফরিদী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও সাঈদ ফেরদৌস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অলিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অরণি সেমন্তি খান ও কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিক্ষক তামান্না মাকসুদ।
নিরাপত্তা শঙ্কা থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী ও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সমন্বয়কদের কেন পরিবারের কাছে না দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। হেফাজতে থাকা তিনজনকে দ্রুত তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ারও অনুরোধ করেছেন।
আজ শনিবার বিকেল ৪টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষকদের একটি দল। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারের বিষয়ে জানতে গেলেও ডিবির কর্মকর্তারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি।
গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে এই সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে যায় ডিবি। এ বিষয়ে আজ দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের দলটি ডিবি কার্যালয়ে হারুন অর রশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে অভ্যর্থনা কক্ষে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের তাঁদের পরিচয় দেন। তবে হারুন অর রশিদ ভেতরে একটি সভায় ব্যস্ত থাকায় দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। শিক্ষকেরা ফের অনুরোধ করেন, যেন তাঁদের সঙ্গে অন্তত ১০ মিনিট হারুন অর রশিদ কথা বলেন। এরপরও তাঁরা সাক্ষাতের অনুমতি পাননি। শিক্ষকেরা ২০ মিনিট ডিবির অভ্যর্থনা কক্ষে অপেক্ষা করে সাড়া না পেয়ে ফটকের সামনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘আমরা জেনেছি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রকে হাসপাতাল থেকে অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ডিবির হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে তাঁদের এখানে আনা হলো কেন, শুধু এটা জানতেই আমরা এসেছিলাম। তখন এখানকার অফিস প্রধান (হারুন অর রশিদ) ভেতরেই ছিলেন এবং তাঁকে খবরও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও। কাজেই আমাদের ছাত্ররা ঠিকমতো আছে কি না, সেই খবর তো কারও গাড়ি আটকে জিজ্ঞেস করার কথা না। এ বিষয়গুলো খুবই স্বচ্ছ হওয়ার কথা। তিনি (হারুন অর রশিদ) কথা না বলে গাড়ি নিয়ে চলে গেছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা, নিরাপত্তাসহ সব বিষয় নিয়েই উদ্বিগ্ন। এ জন্যই আমরা খোঁজ নিতে এসেছি, শিক্ষার্থীদের কী নিরাপত্তার অভাব হলো? ডিবি শিক্ষার্থীদের তো আমাদের জিম্মায়ও দিতে পারত। কিন্তু তিনি (ডিবি প্রধান) তো আমাদের সঙ্গে দেখাই করলেন না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক ডিবি হেফাজত থেকে শিক্ষার্থীদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘একজন মানুষের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হলো পরিবার। যদি তাঁদের নিরাপত্তা দিতেই হবে, তাহলে তাঁদের বাসার আশপাশে নিরাপত্তা দেওয়া হোক, তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা এখন কোথায় আছে, কেমন আছে, এটা তো নাগরিক হিসেবে আমাদের জানার অধিকার আছে। শিক্ষক হিসেবে এটা জানা জরুরি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলী সেহরীন ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুশাদ ফরিদী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও সাঈদ ফেরদৌস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অলিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অরণি সেমন্তি খান ও কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিক্ষক তামান্না মাকসুদ।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২৩ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২৪ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২৪ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২৪ দিন আগে