নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০৫০ সালে দেশের সম্ভাব্য ২০ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে হবে। দেশে আবাদি জমি কমে যাওয়ার বিপরীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির মাঝে চালের উৎপাদন দ্বিগুণের বেশি বাড়াতে হবে। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ বক্তব্য দিয়েছেন।
অন্যদিকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, সরকারের কৃষি খাত সংশ্লিষ্টরা চালের উৎপাদন সম্পর্কে যে তথ্য দেয়, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। দেশে চাল উৎপাদনের কোনো সঠিক তথ্য নেই।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিরি) প্রণীত ‘বাংলাদেশে চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ বৃদ্ধিকরণ-ডিআরপি’ শীর্ষক কৌশলপত্র উপস্থাপন ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তাঁরা এসব বলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৌশলপত্র উপস্থাপন করেন বিরির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০৫০ সালে মানুষের আয় আরও বাড়বে, ক্রয়ক্ষমতাও বাড়বে। এ অবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য উন্নত ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি ফলন ব্যবধান কমানোর মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য ধানের পুষ্টিমান উন্নয়ন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
চালের উৎপাদনের তথ্যে ঘাটতি প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোথাও তথ্যের গরমিল রয়েছে। আমি বিবিএসকে আহ্বান করব, আগামী কৃষি শুমারিতে যেন উৎপাদনের সঠিক তথ্য থাকে। প্রয়োজনে শুমারি দেরিতে হোক, কিন্তু সঠিক তথ্য উঠে আসতে হবে। স্বয়ংসম্পূর্ণতার পরও চাল আমদানির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় দেশে মাঝে মাঝে উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে আমরা যে পরিস্থিতিতে রয়েছি, তাতে ৪৩ সালের মন্বন্তরের মতো লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মরার অবস্থা নেই।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিবিএসের মাথাপিছু চাল ভোগের পরিমাণ ধরে হিসাব করলে দেশে দুই কোটি ৮০ লাখ টনের বেশি চালের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এর থেকে অনেক বেশি উৎপাদন হচ্ছে। তাহলে বাকি চাল গেল কোথায়? তারপরও কেন আমদানি করতে হচ্ছে? নিশ্চয় উৎপাদনের তথ্যে ভুল রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে চাল উৎপাদনে সফলতা আসলেও আমাদের হেক্টরপ্রতি ফলন এখনো মাত্র দুই দশমিক ৭৪ টন। যেখানে জাপান হেক্টরে পাঁচ টন আর চীন সাড়ে ছয় টন ধান উৎপাদন করে। এমনকি ভিয়েতনামের ফলন পাঁচ দশমিক ৮৪ টন। আমরা ভিয়েতনামের মতো সাধারণ দেশের মতো ফলনও করতে পারি না।
উপস্থাপিত কৌশলপত্রে বাজারে চালের দাম কমাতে ‘প্রাইজ কমিশন’ গঠনের সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কেন আপনারা প্রাইজ কমিশন চান? তাহলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কাজ কী? এমন একটি অধিদপ্তর ভারতেও নেই। তাদের কাজ কি শুধু প্রতিদিনের দাম-দরের হিসাব রাখা? ওই সংস্থাকে দায়িত্ব নিতে হবে। না হয় সেটা ভেঙে প্রাইজ কমিশন করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে ২০৫০ সালে চালের উৎপাদন ৬ কোটি ৮ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করার বিষয়টিও উপস্থাপন করা হয়েছে। উন্নত জাত-প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বিদ্যমান উৎপাদন সময়ের ব্যবধান কমানো এবং অনাবাদি জমিতে আবাদ বৃদ্ধিসহ সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে চালের উৎপাদন ২০৩০ সালে ৪ কোটি ৬৯ লাখ, ২০৪০ সালে ৫ কোটি ৪০ লাখ এবং ২০৫০ সালে ৬ কোটি ৮ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৮৭ লাখ মেট্রিক টন।
২০৫০ সালে দেশের সম্ভাব্য ২০ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে হবে। দেশে আবাদি জমি কমে যাওয়ার বিপরীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির মাঝে চালের উৎপাদন দ্বিগুণের বেশি বাড়াতে হবে। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ বক্তব্য দিয়েছেন।
অন্যদিকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, সরকারের কৃষি খাত সংশ্লিষ্টরা চালের উৎপাদন সম্পর্কে যে তথ্য দেয়, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। দেশে চাল উৎপাদনের কোনো সঠিক তথ্য নেই।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিরি) প্রণীত ‘বাংলাদেশে চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ বৃদ্ধিকরণ-ডিআরপি’ শীর্ষক কৌশলপত্র উপস্থাপন ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তাঁরা এসব বলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৌশলপত্র উপস্থাপন করেন বিরির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০৫০ সালে মানুষের আয় আরও বাড়বে, ক্রয়ক্ষমতাও বাড়বে। এ অবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য উন্নত ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি ফলন ব্যবধান কমানোর মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য ধানের পুষ্টিমান উন্নয়ন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
চালের উৎপাদনের তথ্যে ঘাটতি প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোথাও তথ্যের গরমিল রয়েছে। আমি বিবিএসকে আহ্বান করব, আগামী কৃষি শুমারিতে যেন উৎপাদনের সঠিক তথ্য থাকে। প্রয়োজনে শুমারি দেরিতে হোক, কিন্তু সঠিক তথ্য উঠে আসতে হবে। স্বয়ংসম্পূর্ণতার পরও চাল আমদানির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় দেশে মাঝে মাঝে উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে আমরা যে পরিস্থিতিতে রয়েছি, তাতে ৪৩ সালের মন্বন্তরের মতো লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মরার অবস্থা নেই।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিবিএসের মাথাপিছু চাল ভোগের পরিমাণ ধরে হিসাব করলে দেশে দুই কোটি ৮০ লাখ টনের বেশি চালের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এর থেকে অনেক বেশি উৎপাদন হচ্ছে। তাহলে বাকি চাল গেল কোথায়? তারপরও কেন আমদানি করতে হচ্ছে? নিশ্চয় উৎপাদনের তথ্যে ভুল রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে চাল উৎপাদনে সফলতা আসলেও আমাদের হেক্টরপ্রতি ফলন এখনো মাত্র দুই দশমিক ৭৪ টন। যেখানে জাপান হেক্টরে পাঁচ টন আর চীন সাড়ে ছয় টন ধান উৎপাদন করে। এমনকি ভিয়েতনামের ফলন পাঁচ দশমিক ৮৪ টন। আমরা ভিয়েতনামের মতো সাধারণ দেশের মতো ফলনও করতে পারি না।
উপস্থাপিত কৌশলপত্রে বাজারে চালের দাম কমাতে ‘প্রাইজ কমিশন’ গঠনের সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কেন আপনারা প্রাইজ কমিশন চান? তাহলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কাজ কী? এমন একটি অধিদপ্তর ভারতেও নেই। তাদের কাজ কি শুধু প্রতিদিনের দাম-দরের হিসাব রাখা? ওই সংস্থাকে দায়িত্ব নিতে হবে। না হয় সেটা ভেঙে প্রাইজ কমিশন করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে ২০৫০ সালে চালের উৎপাদন ৬ কোটি ৮ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করার বিষয়টিও উপস্থাপন করা হয়েছে। উন্নত জাত-প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বিদ্যমান উৎপাদন সময়ের ব্যবধান কমানো এবং অনাবাদি জমিতে আবাদ বৃদ্ধিসহ সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে চালের উৎপাদন ২০৩০ সালে ৪ কোটি ৬৯ লাখ, ২০৪০ সালে ৫ কোটি ৪০ লাখ এবং ২০৫০ সালে ৬ কোটি ৮ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৮৭ লাখ মেট্রিক টন।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫