মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
আকরাম হোসেন একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী পরিচালক। ঢাকা ও নাটোরে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। স্ত্রী সুরাইয়া পারভীনকে ব্যবসায়ী দাবি করে তাঁর আয়কে এসব সম্পদের উৎস হিসেবে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে ধরা পড়েছেন তিনি। আকরাম দম্পতির বিরুদ্ধে প্রায় ৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দেড় কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পৃথক মামলায় সুরাইয়া পারভীনকে ২০ লাখ টাকা বেশি মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় আসামি করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে দুদকের গোপালগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মশিউর রহমান সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১-এ বাদী হয়ে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় এবং ২৭ (১) ধারায় দুটি মামলা করেছেন।
মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬(২) ধারার মামলায় দুজনই আসামি, অপর মামলায় শুধু স্ত্রী আসামি।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা দম্পতির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আকরাম হোসেন দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৫২০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা প্রদান করাসহ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে যোগসাজশে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৬ কোটি ৭০ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা ও দণ্বিডধি, ১৮৬০-এর ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনে পাওয়া অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে আকরাম হোসেনের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারায় সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ প্রদান করা হলে তিনি সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর ৬ কোটি ৫০ লাখ ৪ হাজার ৩৬৭ টাকার সম্পদের তথ্য দেন। এ ছাড়া দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তাঁর কোনো দায়দেনা নেই বলেও ঘোষণা দেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে স্থাবর ও অস্থাবর ৮ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, আকরাম হোসেন ১ কোটি ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৫২০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
অনুসন্ধানে আকরাম হোসেনের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ৮ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৭ টাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক। ওই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে কোনো দায়দেনা নেই বলে জানা যায়। সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার ব্যয় পাওয়া যায় ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৪ টাকা। ফলে ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮৩ টাকা। ফলে এই দম্পতি ৬ কোটি ৭০ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬২ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, আকরাম হোসেন তাঁর স্ত্রীকে ব্যবসায়ী হিসেবে দেখিয়ে তাঁর অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ছাড়া সুরাইয়া পারভীন তাঁর স্বামীকে বেনামে প্রতিষ্ঠান খুলতে সহযোগিতা করে ও ব্যাংকে বিপুল অর্থ লেনদেন করে স্বামীর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখে অবৈধ সম্পদ বৈধ করতে সহযোগিতা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আকরাম হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া পারভীনকে একমাত্র আসামি করে অপর মামলায় বলা হয়, তিনি ২০ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫১ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন, যা দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আকরাম হোসেন একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী পরিচালক। ঢাকা ও নাটোরে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। স্ত্রী সুরাইয়া পারভীনকে ব্যবসায়ী দাবি করে তাঁর আয়কে এসব সম্পদের উৎস হিসেবে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে ধরা পড়েছেন তিনি। আকরাম দম্পতির বিরুদ্ধে প্রায় ৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দেড় কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পৃথক মামলায় সুরাইয়া পারভীনকে ২০ লাখ টাকা বেশি মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় আসামি করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে দুদকের গোপালগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মশিউর রহমান সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১-এ বাদী হয়ে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় এবং ২৭ (১) ধারায় দুটি মামলা করেছেন।
মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬(২) ধারার মামলায় দুজনই আসামি, অপর মামলায় শুধু স্ত্রী আসামি।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা দম্পতির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আকরাম হোসেন দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৫২০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা প্রদান করাসহ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে যোগসাজশে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৬ কোটি ৭০ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা ও দণ্বিডধি, ১৮৬০-এর ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনে পাওয়া অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে আকরাম হোসেনের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারায় সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ প্রদান করা হলে তিনি সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর ৬ কোটি ৫০ লাখ ৪ হাজার ৩৬৭ টাকার সম্পদের তথ্য দেন। এ ছাড়া দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তাঁর কোনো দায়দেনা নেই বলেও ঘোষণা দেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে স্থাবর ও অস্থাবর ৮ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, আকরাম হোসেন ১ কোটি ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৫২০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
অনুসন্ধানে আকরাম হোসেনের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ৮ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৭ টাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক। ওই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে কোনো দায়দেনা নেই বলে জানা যায়। সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার ব্যয় পাওয়া যায় ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৪ টাকা। ফলে ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮৩ টাকা। ফলে এই দম্পতি ৬ কোটি ৭০ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬২ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, আকরাম হোসেন তাঁর স্ত্রীকে ব্যবসায়ী হিসেবে দেখিয়ে তাঁর অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ছাড়া সুরাইয়া পারভীন তাঁর স্বামীকে বেনামে প্রতিষ্ঠান খুলতে সহযোগিতা করে ও ব্যাংকে বিপুল অর্থ লেনদেন করে স্বামীর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখে অবৈধ সম্পদ বৈধ করতে সহযোগিতা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আকরাম হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া পারভীনকে একমাত্র আসামি করে অপর মামলায় বলা হয়, তিনি ২০ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫১ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন, যা দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫