কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
—বাবা আমাকে টাকা দিয়েছে, আর স্বাধীনতা দিয়েছে।
—তাই নাকি! তাহলে যাও, যা ইচ্ছা কিনো। বাসায় গিয়ে ঘ্যানঘ্যান করবে না একদম।
কথা হচ্ছিল মা আর মেয়ের মধ্যে। পাশে দাঁড়িয়ে হাসছিলেন বাবা। মা–মেয়ের এই কথোপকথন চলছিল অমর একুশে বইমেলার শিশু চত্বরে। শিশুটির হাতে বাবার দেওয়া টাকা আর মুখে রাজ্যের খুশি। সাবধানে ছোটাছুটি করতে বলায় মেয়ে মাকে বলছিল, বাবা তাকে টাকা দিয়েছে বই কেনার জন্য। এখন সে তার মনের মতো বই কিনে বাড়ি ফিরবে। সেখানে মা যেন কোনো বাধা না দেন।
বইমেলার শিশু চত্বরটি আজ শনিবার সরব ছিল বেলা ১১টা থেকে। শিশুরা অপেক্ষা করছিল সিসিমপুরের চরিত্রগুলোকে মুখোমুখি দেখবে বলে। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঞ্চে আসে ইকড়ি, শিকু, হালুম ও টুকটুকি। তারা পরে আবার আসে বিকেল সাড়ে ৩টায় ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
প্রতিবার বইমেলায় শুক্র ও শনিবার শিশুদের জন্য এই বিশেষ আয়োজন নিয়ে আসে সিসিমপুর। তারা ছড়া ও গানে শিশুদের শেখায় শিক্ষণীয় বিষয়। শিশুদের সঙ্গে খেলেও আনন্দ দেয়। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেক বাবা–মা শিশুদের নিয়ে আসেন এই বিশেষ আয়োজন উপভোগ করাতে।
শিশুরাও বিভিন্ন কর্নার ঘুরে বই কেনে মহা আনন্দে। ছড়া, কবিতা, ছবি আঁকার বই, বর্ণ পরিচয়, পপ আপ বুকস, শোলা বুকস—এসব শিশুদের জন্য সাজিয়ে বসেছে শিশুতোষ প্রকাশনীগুলো। এই দুই দিন ভূতের গল্প, ছড়া আর বর্ণ পরিচয়ের বইগুলোই বেশি বিক্রি হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রকাশনীর লোকজন।
শিশুতোষ বই প্রকাশনী ঝিঙে ফুলের বিক্রয়কর্মীরা জানান, শিশুরা বেশি কিনছে ভূতের গল্প আর রূপকথা। তারা ইউটিউবে যে গল্পগুলো দেখছে সেই বইগুলো কেনার আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। এই প্রকাশনীতে শিশুদের জন্য ইশপের গল্প, রূপকথার গল্প, হাসির গল্প, ভূতের গল্পের বই পাওয়া যাচ্ছে।
প্রগতি পাবলিশার্সে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পপ আপ বুকস। এর মধ্যে আছে টম অ্যান্ড জেরির গল্প, খরগোশ ও কচ্ছপের গল্প, মহাকাশের নানা তথ্য সমৃদ্ধ গল্প, ডাইনোসরের গল্প। এ ছাড়া বিভিন্ন পশু পাখির আকৃতিতে তৈরি করা হয়েছে কিছু বই। যেখানে আছে সেই পশু পাখিগুলো নিয়ে নানা তথ্য ও মজার গল্প। এ ছাড়া বেশ কিছু স্টলে আছে শোলা বুকস। শিশুদের জন্য এই বইগুলো বেশ তথ্য সমৃদ্ধ।
শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বিকাশে আছে বিভিন্ন কুইজ ও পাজলের বই। কিছু স্টলে পাওয়া যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে শিশুদের উপযোগী বই। বইগুলো সাজানো হয়েছে ছোট ছোট ঘটনার ওপর ভিত্তি করে।
মেলায় অনেক অভিভাবকে ভূতের গল্পের বই খুঁজতে দেখা গেছে। অনেকেই খুঁজছেন পুরোনো গল্প আর ছড়ার বই। যে গল্পগুলো তাঁরা শুনেছেন তাঁদের দাদি–নানি কিংবা মায়ের কাছে। শিশুরা বেশির ভাগই খুঁজছে অ্যাডভেঞ্চার, ভূত আর রূপকথার গল্প।
মেয়ের জন্য বই কিনতে মেলায় এসেছেন তাবাসসুম মুনিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিবারই চেষ্টা করি আমার সন্তানদের শুক্র বা শনিবারে মেলায় নিয়ে আসার। সিসিমপুরের আয়োজন ওদের পছন্দ। বইও কেনে টুকটাক। আমি প্রতিবারই পুরোনো ছড়ার বই খুঁজে বেড়াই। আর শিশুরা তো সেই ভূত, পেত্নী আর অ্যাডভেঞ্চারের গল্প খোঁজে। আমি বাধা দেই না, পড়লে সমস্যা নেই। তবে আমার কেনা বইগুলোও ওরা পড়ে।’
পুরো শিশু চত্বর ঘুরে দুটি রূপকথার বই, তিনটি রং করা শেখার বই, একটি পাপ আপ বই আর নতুন প্রকাশিত দুটি শিশুতোষ গল্পের বই কিনে ঝুঁটি দুলিয়ে মেলা থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল সূচনা। সূচনা হচ্ছে সেই মেয়েটি, যার বাবা তাকে টাকা দিয়েছিল ইচ্ছেমতো বই কেনার জন্য!
—বাবা আমাকে টাকা দিয়েছে, আর স্বাধীনতা দিয়েছে।
—তাই নাকি! তাহলে যাও, যা ইচ্ছা কিনো। বাসায় গিয়ে ঘ্যানঘ্যান করবে না একদম।
কথা হচ্ছিল মা আর মেয়ের মধ্যে। পাশে দাঁড়িয়ে হাসছিলেন বাবা। মা–মেয়ের এই কথোপকথন চলছিল অমর একুশে বইমেলার শিশু চত্বরে। শিশুটির হাতে বাবার দেওয়া টাকা আর মুখে রাজ্যের খুশি। সাবধানে ছোটাছুটি করতে বলায় মেয়ে মাকে বলছিল, বাবা তাকে টাকা দিয়েছে বই কেনার জন্য। এখন সে তার মনের মতো বই কিনে বাড়ি ফিরবে। সেখানে মা যেন কোনো বাধা না দেন।
বইমেলার শিশু চত্বরটি আজ শনিবার সরব ছিল বেলা ১১টা থেকে। শিশুরা অপেক্ষা করছিল সিসিমপুরের চরিত্রগুলোকে মুখোমুখি দেখবে বলে। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঞ্চে আসে ইকড়ি, শিকু, হালুম ও টুকটুকি। তারা পরে আবার আসে বিকেল সাড়ে ৩টায় ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
প্রতিবার বইমেলায় শুক্র ও শনিবার শিশুদের জন্য এই বিশেষ আয়োজন নিয়ে আসে সিসিমপুর। তারা ছড়া ও গানে শিশুদের শেখায় শিক্ষণীয় বিষয়। শিশুদের সঙ্গে খেলেও আনন্দ দেয়। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেক বাবা–মা শিশুদের নিয়ে আসেন এই বিশেষ আয়োজন উপভোগ করাতে।
শিশুরাও বিভিন্ন কর্নার ঘুরে বই কেনে মহা আনন্দে। ছড়া, কবিতা, ছবি আঁকার বই, বর্ণ পরিচয়, পপ আপ বুকস, শোলা বুকস—এসব শিশুদের জন্য সাজিয়ে বসেছে শিশুতোষ প্রকাশনীগুলো। এই দুই দিন ভূতের গল্প, ছড়া আর বর্ণ পরিচয়ের বইগুলোই বেশি বিক্রি হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রকাশনীর লোকজন।
শিশুতোষ বই প্রকাশনী ঝিঙে ফুলের বিক্রয়কর্মীরা জানান, শিশুরা বেশি কিনছে ভূতের গল্প আর রূপকথা। তারা ইউটিউবে যে গল্পগুলো দেখছে সেই বইগুলো কেনার আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। এই প্রকাশনীতে শিশুদের জন্য ইশপের গল্প, রূপকথার গল্প, হাসির গল্প, ভূতের গল্পের বই পাওয়া যাচ্ছে।
প্রগতি পাবলিশার্সে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পপ আপ বুকস। এর মধ্যে আছে টম অ্যান্ড জেরির গল্প, খরগোশ ও কচ্ছপের গল্প, মহাকাশের নানা তথ্য সমৃদ্ধ গল্প, ডাইনোসরের গল্প। এ ছাড়া বিভিন্ন পশু পাখির আকৃতিতে তৈরি করা হয়েছে কিছু বই। যেখানে আছে সেই পশু পাখিগুলো নিয়ে নানা তথ্য ও মজার গল্প। এ ছাড়া বেশ কিছু স্টলে আছে শোলা বুকস। শিশুদের জন্য এই বইগুলো বেশ তথ্য সমৃদ্ধ।
শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বিকাশে আছে বিভিন্ন কুইজ ও পাজলের বই। কিছু স্টলে পাওয়া যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে শিশুদের উপযোগী বই। বইগুলো সাজানো হয়েছে ছোট ছোট ঘটনার ওপর ভিত্তি করে।
মেলায় অনেক অভিভাবকে ভূতের গল্পের বই খুঁজতে দেখা গেছে। অনেকেই খুঁজছেন পুরোনো গল্প আর ছড়ার বই। যে গল্পগুলো তাঁরা শুনেছেন তাঁদের দাদি–নানি কিংবা মায়ের কাছে। শিশুরা বেশির ভাগই খুঁজছে অ্যাডভেঞ্চার, ভূত আর রূপকথার গল্প।
মেয়ের জন্য বই কিনতে মেলায় এসেছেন তাবাসসুম মুনিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিবারই চেষ্টা করি আমার সন্তানদের শুক্র বা শনিবারে মেলায় নিয়ে আসার। সিসিমপুরের আয়োজন ওদের পছন্দ। বইও কেনে টুকটাক। আমি প্রতিবারই পুরোনো ছড়ার বই খুঁজে বেড়াই। আর শিশুরা তো সেই ভূত, পেত্নী আর অ্যাডভেঞ্চারের গল্প খোঁজে। আমি বাধা দেই না, পড়লে সমস্যা নেই। তবে আমার কেনা বইগুলোও ওরা পড়ে।’
পুরো শিশু চত্বর ঘুরে দুটি রূপকথার বই, তিনটি রং করা শেখার বই, একটি পাপ আপ বই আর নতুন প্রকাশিত দুটি শিশুতোষ গল্পের বই কিনে ঝুঁটি দুলিয়ে মেলা থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল সূচনা। সূচনা হচ্ছে সেই মেয়েটি, যার বাবা তাকে টাকা দিয়েছিল ইচ্ছেমতো বই কেনার জন্য!
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২৪ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২৪ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২৪ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২৪ দিন আগে