এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
মামলাজট বাড়ছেই। কোনোভাবেই যেন এর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। ২০০৮ সালে সারা দেশের অধস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ লাখ। সেখানে ২০২৩ সালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখ। দেড় দশকে বৃদ্ধি পেয়েছে ২২ লাখ মামলা। এই জট ছাড়াতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া, আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানো এবং বিচারকের সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা। সেই সঙ্গে যেটা আদালতে না গিয়ে সমাধান করা যায়, সেসব বিষয় দুই পক্ষ বসে সমাধানের চিন্তা করলেও অনেক মামলা কমে যাবে বলে মত তাদের।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে মামলাজটের মূল কারণ হচ্ছে মিথ্যা মামলা দায়ের। বর্তমানে থাকা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হচ্ছে ফৌজদারি মামলা। এসব মামলায় জামিন, বিচারসহ যেকোনো অবস্থাতেই বিচারিক আদালতের পর উচ্চ আদালতে যাওয়া হয়। এ কারণে একটি মামলা থেকে শাখা-প্রশাখা গজিয়ে স্তূপ বাড়ছে। রাজনৈতিক মামলার অধিকাংশই পুলিশ বাদী হয়ে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশনায় করে থাকে। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার, নির্বাচনব্যবস্থা, আইনের শাসন ও মানবাধিকার থাকলে কেউ মিথ্যা মামলা করার সাহস পাবে না। এর জন্য সবার আগে দরকার সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।’
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মামলা নিষ্পত্তি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। সারা দেশের জেলা আদালতের মামলা নিষ্পত্তির বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য পূর্বের গঠিত কমিটিতে বিচারপতির সংখ্যা বাড়িয়েছেন। আগে আট বিভাগের বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতেন আট বিচারপতি। এখন সেখানে ১৩ জন বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্পেশাল অফিসার বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, ঢাকার আদালতের বিচারকদের নিয়ে পৃথক বৈঠক করেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি। সবার কাছ থেকে লিখিত মতামত নিচ্ছেন। সবগুলো বিষয় একত্রিত করে দ্রুতই হয়তো বিচার বিভাগের জন্য যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সারা দেশের আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ঝুলে আছে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৫০৪টি মামলা। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ৫ লাখ ৭০ হাজার। যাতে আপিল বিভাগে ২৬ হাজার ৫১৭ এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৭। আপিল বিভাগে থাকা মামলার মধ্যে দেওয়ানি ১৬ হাজার ৬৭, ফৌজদারি ১০ হাজার ২৭০ এবং আদালত অবমাননাসংক্রান্ত ১৮০টি মামলা। হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলার মধ্যে দেওয়ানি ৯৫ হাজার ৫৩, ফৌজদারি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৬৪ এবং রিট ১ লাখ ৬ হাজার।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত যেখানে সংবিধান, আইনের ব্যাখ্যা দেবেন সেখানে প্রতিনিয়ত শুনানি হয় জামিন। তাই গোড়ার গলদ ঠিক না করলে কখনো মামলাজট কমবে না। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দেওয়ানি মামলার জট কমতে পারে। থানার ওসি যে জামিন দিতে পারেন, সিআরপিসির এই বিধান পুলিশ কর্মকর্তারাও মনে হয় ভুলে গেছেন। সেজন্য ছোটখাটো অপরাধের জন্যও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কোর্টে পাঠানো হচ্ছে। অথচ গ্রাম আদালতের মাধ্যমেও অনেক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব। ছোটখাটো মামলা সমঝোতা করা দরকার। মানুষ যাতে মিথ্যা মামলা না করে, সে বিষয়ে উৎসাহিত করা দরকার। দক্ষ বিচারক, ন্যায়ভাবে বিচার করা, মানুষ যেন অন্যায়ের শিকার না হয়–এগুলো নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই মামলার জট কমবে।
অধস্তন আদালতে বিচারাধীন ৩৭ লাখ ৭ হাজার মামলা। এর মধ্যে দেওয়ানি ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪৪ এবং ফৌজদারি মামলা ২১ লাখ ১০ হাজার ৬৯৬। অধস্তন আদালতে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ৭ লাখ ১২ হাজার ২৫৪। এর মধ্যে দেওয়ানি ৪ লাখ ১১ হাজার ৬২৫ এবং ফৌজদারি মামলা ৩ লাখ ৬২৯টি।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (রাজা) আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিজেদের বিরোধ নিজেরা না মিটিয়ে কিছু হলেই কোর্টে যাওয়ার প্রবণতা মামলাজটের মূল কারণ। বিচারব্যবস্থার বর্তমান অবস্থায় কখনোই মামলাজট শেষ হবে না। এখন অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে মামলা নিষ্পত্তি করতে হয়। এর জন্য বিচারব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে হবে। আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
মামলাজট বাড়ছেই। কোনোভাবেই যেন এর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। ২০০৮ সালে সারা দেশের অধস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ লাখ। সেখানে ২০২৩ সালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখ। দেড় দশকে বৃদ্ধি পেয়েছে ২২ লাখ মামলা। এই জট ছাড়াতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া, আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানো এবং বিচারকের সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা। সেই সঙ্গে যেটা আদালতে না গিয়ে সমাধান করা যায়, সেসব বিষয় দুই পক্ষ বসে সমাধানের চিন্তা করলেও অনেক মামলা কমে যাবে বলে মত তাদের।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে মামলাজটের মূল কারণ হচ্ছে মিথ্যা মামলা দায়ের। বর্তমানে থাকা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হচ্ছে ফৌজদারি মামলা। এসব মামলায় জামিন, বিচারসহ যেকোনো অবস্থাতেই বিচারিক আদালতের পর উচ্চ আদালতে যাওয়া হয়। এ কারণে একটি মামলা থেকে শাখা-প্রশাখা গজিয়ে স্তূপ বাড়ছে। রাজনৈতিক মামলার অধিকাংশই পুলিশ বাদী হয়ে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশনায় করে থাকে। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার, নির্বাচনব্যবস্থা, আইনের শাসন ও মানবাধিকার থাকলে কেউ মিথ্যা মামলা করার সাহস পাবে না। এর জন্য সবার আগে দরকার সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।’
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মামলা নিষ্পত্তি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। সারা দেশের জেলা আদালতের মামলা নিষ্পত্তির বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য পূর্বের গঠিত কমিটিতে বিচারপতির সংখ্যা বাড়িয়েছেন। আগে আট বিভাগের বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতেন আট বিচারপতি। এখন সেখানে ১৩ জন বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্পেশাল অফিসার বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, ঢাকার আদালতের বিচারকদের নিয়ে পৃথক বৈঠক করেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি। সবার কাছ থেকে লিখিত মতামত নিচ্ছেন। সবগুলো বিষয় একত্রিত করে দ্রুতই হয়তো বিচার বিভাগের জন্য যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সারা দেশের আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ঝুলে আছে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৫০৪টি মামলা। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ৫ লাখ ৭০ হাজার। যাতে আপিল বিভাগে ২৬ হাজার ৫১৭ এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৭। আপিল বিভাগে থাকা মামলার মধ্যে দেওয়ানি ১৬ হাজার ৬৭, ফৌজদারি ১০ হাজার ২৭০ এবং আদালত অবমাননাসংক্রান্ত ১৮০টি মামলা। হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলার মধ্যে দেওয়ানি ৯৫ হাজার ৫৩, ফৌজদারি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৬৪ এবং রিট ১ লাখ ৬ হাজার।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত যেখানে সংবিধান, আইনের ব্যাখ্যা দেবেন সেখানে প্রতিনিয়ত শুনানি হয় জামিন। তাই গোড়ার গলদ ঠিক না করলে কখনো মামলাজট কমবে না। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দেওয়ানি মামলার জট কমতে পারে। থানার ওসি যে জামিন দিতে পারেন, সিআরপিসির এই বিধান পুলিশ কর্মকর্তারাও মনে হয় ভুলে গেছেন। সেজন্য ছোটখাটো অপরাধের জন্যও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কোর্টে পাঠানো হচ্ছে। অথচ গ্রাম আদালতের মাধ্যমেও অনেক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব। ছোটখাটো মামলা সমঝোতা করা দরকার। মানুষ যাতে মিথ্যা মামলা না করে, সে বিষয়ে উৎসাহিত করা দরকার। দক্ষ বিচারক, ন্যায়ভাবে বিচার করা, মানুষ যেন অন্যায়ের শিকার না হয়–এগুলো নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই মামলার জট কমবে।
অধস্তন আদালতে বিচারাধীন ৩৭ লাখ ৭ হাজার মামলা। এর মধ্যে দেওয়ানি ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪৪ এবং ফৌজদারি মামলা ২১ লাখ ১০ হাজার ৬৯৬। অধস্তন আদালতে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ৭ লাখ ১২ হাজার ২৫৪। এর মধ্যে দেওয়ানি ৪ লাখ ১১ হাজার ৬২৫ এবং ফৌজদারি মামলা ৩ লাখ ৬২৯টি।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (রাজা) আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিজেদের বিরোধ নিজেরা না মিটিয়ে কিছু হলেই কোর্টে যাওয়ার প্রবণতা মামলাজটের মূল কারণ। বিচারব্যবস্থার বর্তমান অবস্থায় কখনোই মামলাজট শেষ হবে না। এখন অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে মামলা নিষ্পত্তি করতে হয়। এর জন্য বিচারব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে হবে। আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২৩ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২৩ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২৩ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২৩ দিন আগে