সানডে টাইমসের প্রতিবেদন
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি এবং দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেডের যে ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন সেটি তাঁর পরিবারকে দিয়েছেন শেখ হাসিনার এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। সেই ফ্ল্যাট বিনা মূল্যে টিউলিপকে দিয়েছিলেন মূলত তাঁর বোন আজমিনা।
যুক্তরাজ্যের দ্য সান ডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবার সরকারের অর্থনৈতিক অপরাধ এবং দুর্নীতি দমনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের পরিবার তাঁর খালা শেখ হাসিনার সরকারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির মাধ্যমে বিনা মূল্যে ফ্ল্যাটটি পেয়েছে। উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডে ফিন্সলি রোডে অবস্থিত সেই ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন তাঁর বোন আজমিনা। আজমিনা পরে তাঁকে বিনা মূল্যে দিয়েছিলেন।
এর আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, টিউলিপ সিদ্দিক ২০০৪ সালে কোনো অর্থ পরিশোধ না করেই কিংস ক্রস এলাকার একটি দুই বেডরুমের ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন। জমির রেজিস্ট্রেশন নথি অনুযায়ী, ফ্ল্যাটটি উপহার দিয়েছিলেন আবদুল মুতালিফ নামের এক প্রোমোটার, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে জড়িত।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’সহ কমপক্ষে ৮০০ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যার অভিযোগ এনেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।
এই অভিযোগে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক (৪২)। যদিও তিনি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, তিনি টিউলিপের ওপর এখনো আস্থা রাখতে চান।
বাংলাদেশি আইনজীবী মইন গনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবিও রয়েছে। তিনি ২০০৯ সালে একটি ফ্ল্যাট টিউলিপের বোন আজমিনাকে হস্তান্তর করেন। ল্যান্ড রেজিস্ট্রি নথি অনুযায়ী, এই হস্তান্তরটি ‘কোনো অর্থ বা আর্থিক মূল্যযুক্ত কিছু নয়’। আজমিনার বয়স তখন ১৮ বছর। ওই সময় অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
ঠিক কখন টিউলিপ সিদ্দিক ফ্ল্যাটটিতে উঠেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে ২০১২ সালে ওয়ার্কিং মেনস কলেজ এডুকেশন ইনস্টিটিউটে পরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার সময় তিনি এটি তাঁর ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৪ সালে ক্যামডেন আর্টস সেন্টার এবং হ্যাম্পস্টেড ওয়েলস অ্যান্ড ক্যাম্পডেন ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে তাঁর নিয়োগের সময়ও তিনি এই ফ্ল্যাটের ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সি ২০১৬ সাল পর্যন্ত এটি তাঁর ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। আজমিনা ২০২১ সালে ফ্ল্যাটটি ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করেন।
এই ফ্ল্যাট ছাড়াও টিউলিপ সিদ্দিকের নাম আরও কয়েকটি সম্পত্তির সঙ্গে জড়িত। তাঁর বোন এবং মা হ্যাম্পস্টেডের কাছাকাছি আরও একটি বাড়িতে বসবাস করতেন, যা আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ লোকদের সঙ্গে সম্পর্কিত।
টিউলিপ বর্তমানে উত্তর লন্ডনের ফিন্সলিতে একটি ২১ লাখ পাউন্ড মূল্যের বাড়িতে বাস করছেন। এটি আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সদস্য আবদুল করিম নাজিমের মালিকানাধীন।
টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সালে লেবার এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সমর্থনের কথা উল্লেখ করলেও পরে তিনি নিজেকে তাঁর খালার নেতৃত্বাধীন সরকারের সংস্রব থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন।
টিউলিপ অভিযোগ করেছেন, তাঁকে একটি ‘কাল্পনিক’ অভিযোগের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। তবে তিনি এখনো তাঁর পরিবারের আর্থিক বিবরণ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেননি।
দ্য সানডে টাইমসের এই প্রতিবেদন টিউলিপের বিরুদ্ধে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। বিশেষ করে তিনি সরকারের অর্থনৈতিক অপরাধ এবং আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করার দায়িত্বে আছেন, সেখানে অন্য একটি দেশের সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার ঘটনা তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর নৈতিক প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সানডে টাইমস যোগাযোগ করেছিল। তবে তাঁরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি এবং দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেডের যে ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন সেটি তাঁর পরিবারকে দিয়েছেন শেখ হাসিনার এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। সেই ফ্ল্যাট বিনা মূল্যে টিউলিপকে দিয়েছিলেন মূলত তাঁর বোন আজমিনা।
যুক্তরাজ্যের দ্য সান ডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবার সরকারের অর্থনৈতিক অপরাধ এবং দুর্নীতি দমনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের পরিবার তাঁর খালা শেখ হাসিনার সরকারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির মাধ্যমে বিনা মূল্যে ফ্ল্যাটটি পেয়েছে। উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডে ফিন্সলি রোডে অবস্থিত সেই ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন তাঁর বোন আজমিনা। আজমিনা পরে তাঁকে বিনা মূল্যে দিয়েছিলেন।
এর আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, টিউলিপ সিদ্দিক ২০০৪ সালে কোনো অর্থ পরিশোধ না করেই কিংস ক্রস এলাকার একটি দুই বেডরুমের ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন। জমির রেজিস্ট্রেশন নথি অনুযায়ী, ফ্ল্যাটটি উপহার দিয়েছিলেন আবদুল মুতালিফ নামের এক প্রোমোটার, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে জড়িত।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’সহ কমপক্ষে ৮০০ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যার অভিযোগ এনেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।
এই অভিযোগে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক (৪২)। যদিও তিনি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, তিনি টিউলিপের ওপর এখনো আস্থা রাখতে চান।
বাংলাদেশি আইনজীবী মইন গনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবিও রয়েছে। তিনি ২০০৯ সালে একটি ফ্ল্যাট টিউলিপের বোন আজমিনাকে হস্তান্তর করেন। ল্যান্ড রেজিস্ট্রি নথি অনুযায়ী, এই হস্তান্তরটি ‘কোনো অর্থ বা আর্থিক মূল্যযুক্ত কিছু নয়’। আজমিনার বয়স তখন ১৮ বছর। ওই সময় অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
ঠিক কখন টিউলিপ সিদ্দিক ফ্ল্যাটটিতে উঠেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে ২০১২ সালে ওয়ার্কিং মেনস কলেজ এডুকেশন ইনস্টিটিউটে পরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার সময় তিনি এটি তাঁর ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৪ সালে ক্যামডেন আর্টস সেন্টার এবং হ্যাম্পস্টেড ওয়েলস অ্যান্ড ক্যাম্পডেন ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে তাঁর নিয়োগের সময়ও তিনি এই ফ্ল্যাটের ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সি ২০১৬ সাল পর্যন্ত এটি তাঁর ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। আজমিনা ২০২১ সালে ফ্ল্যাটটি ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করেন।
এই ফ্ল্যাট ছাড়াও টিউলিপ সিদ্দিকের নাম আরও কয়েকটি সম্পত্তির সঙ্গে জড়িত। তাঁর বোন এবং মা হ্যাম্পস্টেডের কাছাকাছি আরও একটি বাড়িতে বসবাস করতেন, যা আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ লোকদের সঙ্গে সম্পর্কিত।
টিউলিপ বর্তমানে উত্তর লন্ডনের ফিন্সলিতে একটি ২১ লাখ পাউন্ড মূল্যের বাড়িতে বাস করছেন। এটি আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সদস্য আবদুল করিম নাজিমের মালিকানাধীন।
টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সালে লেবার এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সমর্থনের কথা উল্লেখ করলেও পরে তিনি নিজেকে তাঁর খালার নেতৃত্বাধীন সরকারের সংস্রব থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন।
টিউলিপ অভিযোগ করেছেন, তাঁকে একটি ‘কাল্পনিক’ অভিযোগের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। তবে তিনি এখনো তাঁর পরিবারের আর্থিক বিবরণ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেননি।
দ্য সানডে টাইমসের এই প্রতিবেদন টিউলিপের বিরুদ্ধে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। বিশেষ করে তিনি সরকারের অর্থনৈতিক অপরাধ এবং আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করার দায়িত্বে আছেন, সেখানে অন্য একটি দেশের সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার ঘটনা তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর নৈতিক প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সানডে টাইমস যোগাযোগ করেছিল। তবে তাঁরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২০ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২০ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২০ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২০ দিন আগে