কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী তিস্তার ভাটিতে বাংলাদেশে একটি বড় প্রকল্পে যুক্ত হতে চায় চীন। আর নদীর উজানভাটির উভয় অংশের ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে পানির জুতসই ব্যবহার বাড়াতে ভারতও চায় প্রকল্পটি। তবে চীন মনে করে, নদীর বাংলাদেশ অংশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার এখানকার সরকারের। বাংলাদেশ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সকল পক্ষকে তা মানতে হবে। ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তিস্তা আপনাদের নদী। নদীটি নিয়ে যে প্রকল্পই হোক না কেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের। সেই সিদ্ধান্তকে আমাদের সবার সম্মান করতে হবে।’
তিস্তা প্রকল্পে চীনকে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব বাংলাদেশ দিয়েছে, এমন দাবি করে তিনি জানান, তাঁর দেশ এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
প্রকল্পটি নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনার আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, তিন কোটি লোকের জন্য প্রয়োজনীয় এ প্রকল্পটি শিগগিরই শুরু ও সময়মতো শেষ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে তাঁর দেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরকে সামনে রেখে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এর আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সফরে পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, এটি বাংলাদেশের দেওয়া প্রস্তাব। আর চীনের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ। প্রকল্পটি প্রতি চীন ইতিবাচক থাকবে।
বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতি মেটাতে চীনের সহযোগিতা চেয়েছে, এমন বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ বিষয়ে নতুন ঘোষণা আসতে পারে। এর বাইরে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের উন্নয়নকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন ব্লুমবার্গকে বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সংকট সামাল দিতে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ঋণ চাইবে সরকার।
শেখ হাসিনার এবারের বেইজিং সফরে কয়টি এবং কী কী চুক্তি হতে পারে, এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, এসব বিষয়ে এখনই বলার সময় হয়নি। তবে বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, এখানে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানো, শিক্ষা, ডিজিটাল ইকোনমি, গণমাধ্যম ও বাংলাদেশ থেকে চীনে কৃষিপণ্য আমদানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে দেশটিতে ফেরত দিতে রাখাইনে সংঘাতে জড়িত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অস্ত্রবিরতির ওপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত।
এ দিকে বেইজিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং আজ বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামী ৮ থেকে ১০ জুলাইর সফরে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মাও নিংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা গভীরতর করা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক স্বার্থ বজায় রাখা এবং চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই), বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই), বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ (জিএসআই) ও বৈশ্বিক সভ্যতা উদ্যোগে (জিসিআই) বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করে কী করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে নেতারা আলোচনা করবেন।
ডিক্যাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী তিস্তার ভাটিতে বাংলাদেশে একটি বড় প্রকল্পে যুক্ত হতে চায় চীন। আর নদীর উজানভাটির উভয় অংশের ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে পানির জুতসই ব্যবহার বাড়াতে ভারতও চায় প্রকল্পটি। তবে চীন মনে করে, নদীর বাংলাদেশ অংশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার এখানকার সরকারের। বাংলাদেশ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সকল পক্ষকে তা মানতে হবে। ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তিস্তা আপনাদের নদী। নদীটি নিয়ে যে প্রকল্পই হোক না কেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের। সেই সিদ্ধান্তকে আমাদের সবার সম্মান করতে হবে।’
তিস্তা প্রকল্পে চীনকে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব বাংলাদেশ দিয়েছে, এমন দাবি করে তিনি জানান, তাঁর দেশ এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
প্রকল্পটি নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনার আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, তিন কোটি লোকের জন্য প্রয়োজনীয় এ প্রকল্পটি শিগগিরই শুরু ও সময়মতো শেষ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে তাঁর দেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরকে সামনে রেখে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এর আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সফরে পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, এটি বাংলাদেশের দেওয়া প্রস্তাব। আর চীনের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ। প্রকল্পটি প্রতি চীন ইতিবাচক থাকবে।
বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতি মেটাতে চীনের সহযোগিতা চেয়েছে, এমন বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ বিষয়ে নতুন ঘোষণা আসতে পারে। এর বাইরে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের উন্নয়নকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন ব্লুমবার্গকে বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সংকট সামাল দিতে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ঋণ চাইবে সরকার।
শেখ হাসিনার এবারের বেইজিং সফরে কয়টি এবং কী কী চুক্তি হতে পারে, এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, এসব বিষয়ে এখনই বলার সময় হয়নি। তবে বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, এখানে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানো, শিক্ষা, ডিজিটাল ইকোনমি, গণমাধ্যম ও বাংলাদেশ থেকে চীনে কৃষিপণ্য আমদানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে দেশটিতে ফেরত দিতে রাখাইনে সংঘাতে জড়িত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অস্ত্রবিরতির ওপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত।
এ দিকে বেইজিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং আজ বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামী ৮ থেকে ১০ জুলাইর সফরে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মাও নিংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা গভীরতর করা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক স্বার্থ বজায় রাখা এবং চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই), বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই), বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ (জিএসআই) ও বৈশ্বিক সভ্যতা উদ্যোগে (জিসিআই) বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করে কী করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে নেতারা আলোচনা করবেন।
ডিক্যাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২৩ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২৩ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২৩ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২৩ দিন আগে