আজাদুল আদনান, ঢাকা
করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে তীব্র শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল শনিবার থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন হলে স্থাপিত অস্থায়ী (ফিল্ড) হাসপাতাল চালু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতা আর অব্যবস্থাপনায় প্রায় সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এর আগে গত ২৫ জুলাই অস্থায়ী এই হাসপাতাল চালুর কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০০ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), এইচডিইউসহ এক হাজার শয্যার এই অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির কাজ এখনো ঢিমেতালে চলছে। নিচ ও দ্বিতীয় তলায় প্রস্তুতি কিছুটা এগোলেও তৃতীয় তলার কাজ এখনো শুরুই হয়নি। নিচতলায় অক্সিজেন সংযোগ দেওয়া হলেও বসানো হয়নি শয্যা, লাগানো হয়নি অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র। যা সম্পন্ন হতে আরও চার থেকে পাঁচ দিন লাগতে পারে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় তলায় কেবল লাগানো হচ্ছে অক্সিজেন লাইন। বড় কাজগুলো হলেও ক্রিটিক্যাল কিছু কাজ এখনো থেমে আছে। ফলে সময় বেশি লাগছে বলে জানান টেকনিশিয়ানরা। বাকি কাজ শেষ হতে অন্তত ৮-৯ দিন সময় লাগবে।
অক্সিজেন স্থাপনের কাজ করছে এক্সপেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির টেকনিশিয়ান আবু মোহাম্মদ তারিকুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেভাবে কাজ চলছে তাতে পুরো হাসপাতাল প্রস্তুত হতে আরও প্রায় ২০ দিন লেগে যাবে। তবে নিচতলা এক সপ্তাহের মধ্যে চালু করা সম্ভব হতে পারে। তিনি বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই থেকে আমরা কাজ করছি। সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এমনকি অনেক সময় গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে। এখন দুই তলায় কাজ চলছে, এটি শেষ হলে তৃতীয় তলায় শুরু হবে। আমরা মোট ১০ জন কাজ করছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এক হাজার শয্যা চালু হওয়ার কথা থাকলেও প্রথমে ৫০০ শয্যা চালু হতে পারে। প্রথম তলায় থাকবে ৮৫টি শয্যা। এর মধ্যে ৪০টি আইসিইউ ও ৪৪টি সাধারণ অক্সিজেন শয্যা। দ্বিতীয় তলায় ১২০টি শয্যা এবং তৃতীয় তলায় থাকবে ১৫৩টি শয্যা।
বিএসএমএমইউয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরিতে শুরু থেকেই অব্যবস্থাপনা ছিল। সমন্বয়হীনতায় দ্রুত একটি হাসপাতাল নির্মাণে যে পরিমাণ জনবল দরকার, সেটি করা সম্ভব হয়নি। তাই এক মাসেও হাসপাতালটি চালু করা যায়নি।’
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা ছিল আজই (শনিবার) চালু করার। কিন্তু একটা হাসপাতাল তৈরি তো আর মুখের কথা নয়। দুই-এক দিনের মধ্যে নিচতলা প্রস্তুত হয়ে যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় তলা চালু করার পরিকল্পনা আছে। সেটিও না হলে প্রথম তলাটা অন্তত চালু করতে চাই। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে হবে।’
দীর্ঘ সময় পেয়েও নির্দিষ্ট সময়ে চালু করতে না পারার দায় নিতে নারাজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, ‘কাজের পুরোটা দায়িত্বে বিএসএমএমইউ। শুধু শয্যা বিছালেই তো হবে না। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রস্তুত থাকতে হবে, অক্সিজেন ও জনবল লাগবে। তারপরও অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে। আমরা চেয়েছিলাম সময়মতো চালু করতে। কিন্তু সম্ভব হয়নি।’
করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে তীব্র শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল শনিবার থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন হলে স্থাপিত অস্থায়ী (ফিল্ড) হাসপাতাল চালু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতা আর অব্যবস্থাপনায় প্রায় সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এর আগে গত ২৫ জুলাই অস্থায়ী এই হাসপাতাল চালুর কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০০ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), এইচডিইউসহ এক হাজার শয্যার এই অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির কাজ এখনো ঢিমেতালে চলছে। নিচ ও দ্বিতীয় তলায় প্রস্তুতি কিছুটা এগোলেও তৃতীয় তলার কাজ এখনো শুরুই হয়নি। নিচতলায় অক্সিজেন সংযোগ দেওয়া হলেও বসানো হয়নি শয্যা, লাগানো হয়নি অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র। যা সম্পন্ন হতে আরও চার থেকে পাঁচ দিন লাগতে পারে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় তলায় কেবল লাগানো হচ্ছে অক্সিজেন লাইন। বড় কাজগুলো হলেও ক্রিটিক্যাল কিছু কাজ এখনো থেমে আছে। ফলে সময় বেশি লাগছে বলে জানান টেকনিশিয়ানরা। বাকি কাজ শেষ হতে অন্তত ৮-৯ দিন সময় লাগবে।
অক্সিজেন স্থাপনের কাজ করছে এক্সপেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির টেকনিশিয়ান আবু মোহাম্মদ তারিকুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেভাবে কাজ চলছে তাতে পুরো হাসপাতাল প্রস্তুত হতে আরও প্রায় ২০ দিন লেগে যাবে। তবে নিচতলা এক সপ্তাহের মধ্যে চালু করা সম্ভব হতে পারে। তিনি বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই থেকে আমরা কাজ করছি। সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এমনকি অনেক সময় গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে। এখন দুই তলায় কাজ চলছে, এটি শেষ হলে তৃতীয় তলায় শুরু হবে। আমরা মোট ১০ জন কাজ করছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এক হাজার শয্যা চালু হওয়ার কথা থাকলেও প্রথমে ৫০০ শয্যা চালু হতে পারে। প্রথম তলায় থাকবে ৮৫টি শয্যা। এর মধ্যে ৪০টি আইসিইউ ও ৪৪টি সাধারণ অক্সিজেন শয্যা। দ্বিতীয় তলায় ১২০টি শয্যা এবং তৃতীয় তলায় থাকবে ১৫৩টি শয্যা।
বিএসএমএমইউয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরিতে শুরু থেকেই অব্যবস্থাপনা ছিল। সমন্বয়হীনতায় দ্রুত একটি হাসপাতাল নির্মাণে যে পরিমাণ জনবল দরকার, সেটি করা সম্ভব হয়নি। তাই এক মাসেও হাসপাতালটি চালু করা যায়নি।’
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা ছিল আজই (শনিবার) চালু করার। কিন্তু একটা হাসপাতাল তৈরি তো আর মুখের কথা নয়। দুই-এক দিনের মধ্যে নিচতলা প্রস্তুত হয়ে যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় তলা চালু করার পরিকল্পনা আছে। সেটিও না হলে প্রথম তলাটা অন্তত চালু করতে চাই। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে হবে।’
দীর্ঘ সময় পেয়েও নির্দিষ্ট সময়ে চালু করতে না পারার দায় নিতে নারাজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, ‘কাজের পুরোটা দায়িত্বে বিএসএমএমইউ। শুধু শয্যা বিছালেই তো হবে না। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রস্তুত থাকতে হবে, অক্সিজেন ও জনবল লাগবে। তারপরও অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে। আমরা চেয়েছিলাম সময়মতো চালু করতে। কিন্তু সম্ভব হয়নি।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫