নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে করোনা মহামারির সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তিন-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তবে আশার কথা হলো, সংকটের এ সময়েও এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার আগ্রহ অক্ষুণ্ন রেখেছেন। এ ছাড়া এ সময়ে ৮৪ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগেছেন।
আজ শনিবার তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের ‘করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসিক বিপর্যয়: একটি প্রায়োগিক জরিপ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বেলা ১১টার দিকে অনলাইনে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়। গত ১২ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের ২ হাজার ৫৫২ জন বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী এ জরিপে অংশ নেন।
জরিপে দেখা যায়, মহামারির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় তিন-চতুর্থাংশ। তবে সংকটের এ সময়ে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার আগ্রহ অক্ষুণ্ন রেখেছেন, যা মোট শিক্ষার্থীর এক-চতুর্থাংশ। এ ছাড়া এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনলাইনে বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়। তবে অনলাইন শিক্ষা নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ার ব্যাপারে লাইকার্ট স্কেলে ১-৫ স্কোরের মধ্যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩১ দশমিক ৯ শতাংশের অসন্তুষ্টির মাত্রা আবার অনেক বেশি।
জরিপে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মহামারিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মন খারাপ থাকা, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, নিজেকে তুচ্ছ ভাবা ইত্যাদি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৪ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এ ছাড়া পুরুষ শিক্ষার্থীর ৮০ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং নারী শিক্ষার্থীর ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ এই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। শহরের চেয়ে গ্রামে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মানসিক বিপর্যয়ের হার তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল।
জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই সময়ে ৮৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
তবে শিক্ষার্থীদের এসব মানসিক স্বাস্থ্য সমাধানে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া, সবাইকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে একটি জাতীয় হটলাইন সেবা চালুসহ আঁচল ফাউন্ডেশনের থেকে ছয়টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মনোবিদ দীপন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনাকালে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে তাদের বন্ধুদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ কমে গেছে। পাশাপাশি নিয়মিত পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটা এবং ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন ও সামগ্রিক মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের উচিত বন্ধু ও পরিচিতজনদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করা এবং নিজের জীবনের লক্ষ্যের প্রতি ফোকাস করে এগিয়ে যাওয়া।
দেশে করোনা মহামারির সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তিন-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তবে আশার কথা হলো, সংকটের এ সময়েও এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার আগ্রহ অক্ষুণ্ন রেখেছেন। এ ছাড়া এ সময়ে ৮৪ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগেছেন।
আজ শনিবার তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের ‘করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসিক বিপর্যয়: একটি প্রায়োগিক জরিপ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বেলা ১১টার দিকে অনলাইনে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়। গত ১২ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের ২ হাজার ৫৫২ জন বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী এ জরিপে অংশ নেন।
জরিপে দেখা যায়, মহামারির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় তিন-চতুর্থাংশ। তবে সংকটের এ সময়ে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার আগ্রহ অক্ষুণ্ন রেখেছেন, যা মোট শিক্ষার্থীর এক-চতুর্থাংশ। এ ছাড়া এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনলাইনে বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়। তবে অনলাইন শিক্ষা নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ার ব্যাপারে লাইকার্ট স্কেলে ১-৫ স্কোরের মধ্যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩১ দশমিক ৯ শতাংশের অসন্তুষ্টির মাত্রা আবার অনেক বেশি।
জরিপে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মহামারিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মন খারাপ থাকা, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, নিজেকে তুচ্ছ ভাবা ইত্যাদি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৪ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এ ছাড়া পুরুষ শিক্ষার্থীর ৮০ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং নারী শিক্ষার্থীর ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ এই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। শহরের চেয়ে গ্রামে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মানসিক বিপর্যয়ের হার তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল।
জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই সময়ে ৮৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
তবে শিক্ষার্থীদের এসব মানসিক স্বাস্থ্য সমাধানে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া, সবাইকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে একটি জাতীয় হটলাইন সেবা চালুসহ আঁচল ফাউন্ডেশনের থেকে ছয়টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মনোবিদ দীপন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনাকালে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে তাদের বন্ধুদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ কমে গেছে। পাশাপাশি নিয়মিত পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটা এবং ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন ও সামগ্রিক মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের উচিত বন্ধু ও পরিচিতজনদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করা এবং নিজের জীবনের লক্ষ্যের প্রতি ফোকাস করে এগিয়ে যাওয়া।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫