নাজমুল হাসান সাগর, শিবচর (মাদারীপুর) থেকে
মাদারীপুরসহ পদ্মার এপারের জনপদে গতকাল রাত নেমেছিল শুধুই প্রকৃতির নিয়মে। ভোরের আলো ফোটার আগেই রাতজাগা পাখির মতো প্রতিটি সড়কে নামে মানুষের কোলাহল। বাস, ট্রাকসহ নানা পরিবহনে সমাবেশে যোগ দিতে এসে গাড়িগুলো জড়ো হতে থাকে। সকাল ৬টা বাজতেই এই অঞ্চলের সড়কগুলো ভরে যায় সেতু উদ্বোধনে অংশগ্রহণ করতে আসা যানবাহনে। একপর্যায়ে অচল হয় যায় সড়ক, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল যানবাহনগুলো। অগত্যা পায়ে হেঁটেই সমাবেশস্থলে রওনা করে হাজার হাজার মানুষ। সড়কগুলো রূপ নেয় জনসমুদ্রে।
পায়ে হেঁটে সমাবেশের দিকে এগিয়ে চলা উৎফুল্ল কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। ভোর ৫টায় মাদারীপুরের কালকিনি থেকে বাসযোগে সমাবেশস্থলে রওনা হন সোহাগ। থেমে থেমে বাস পাচ্চর বাজার পর্যন্ত এলেও এরপর আর কোনোভাবেই আগানো যাচ্ছিল না। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলের কাছাকাছি চলে এসেছেন তিনি। সোহাগ বলেন, ‘এসব কোনো বিষয় না। আজ আমাগো উৎসব। উৎসবের দিন কষ্ট আনন্দে পরিণত হয়। আমার কাছেও আইজ সবকিছুই আনন্দের।’
অলিবা অলি নামে মধ্যবয়সী ব্যক্তিটি এসেছেন রাজৈর থেকে। তাঁর অভিজ্ঞতাও অনেকটা একই রকম। তবে তিনি হেঁটে এসেছেন শিবচর থেকে। কাওড়াকান্দি এলাকায় সড়কের ধারে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছে, তখন তিনি নিজের ঘামে ভিজে আছেন। তবু আনন্দের কমতি নেই তাঁর অভিব্যক্তিতে। অলি বলেন, ‘এই সেতু আমাগো স্বপ্নের সেতু। সেতু উদ্বোধনের দিন কোনো কষ্ট নাই। সেতু না থাকায় আমাগো যে কষ্ট হইছে, তার কাছে আইজকার কষ্ট কিছুই না।’
শুধু মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী বা ফরিদপুর নয়; জলপথে অন্তত ৫০টি লঞ্চ নিয়ে বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী আর চাঁদপুর থেকেও এসেছে হাজার হাজার মানুষ। কোনো কষ্টকেই তারা কষ্ট মনে করছে না। বরগুনার পাথরঘাটা থেকে এসেছেন মেহেদি। তিনি বলেন, ‘ভোরে আইস্যা নামছি। সারা দিন থাকমু। ম্যালা মানুষ একলগে আইছি আনন্দ করতে করতে। উদ্বোধন হইলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ হুইন্যা হেরপর লঞ্চে কইর্যা যামুগা।’
এদিকে সকাল ১০টার দিকে একপশলা বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায়। এ সময় কলাপাতা মাথায় দিয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটতে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষকে। এমন একজন জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি একটু পর থাইমা যাইব। তাই খাড়ায়া সময় নষ্ট করা যাইব না। যত আগে যামু, তত কাছে থাইকা সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারমু।’
রোদ, বৃষ্টি, তীব্র গরম কিংবা পরিবহনের সমস্যা—কোনোটা যেন রুখতে পারছে না এই অঞ্চলের মানুষদের। নারী, পুরুষ কিংবা শিশু সবার মনে এক অন্যরকম উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। আজ এই জনপদের ঘরে ঘরে যেন ঈদের আনন্দ।
মাদারীপুরসহ পদ্মার এপারের জনপদে গতকাল রাত নেমেছিল শুধুই প্রকৃতির নিয়মে। ভোরের আলো ফোটার আগেই রাতজাগা পাখির মতো প্রতিটি সড়কে নামে মানুষের কোলাহল। বাস, ট্রাকসহ নানা পরিবহনে সমাবেশে যোগ দিতে এসে গাড়িগুলো জড়ো হতে থাকে। সকাল ৬টা বাজতেই এই অঞ্চলের সড়কগুলো ভরে যায় সেতু উদ্বোধনে অংশগ্রহণ করতে আসা যানবাহনে। একপর্যায়ে অচল হয় যায় সড়ক, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল যানবাহনগুলো। অগত্যা পায়ে হেঁটেই সমাবেশস্থলে রওনা করে হাজার হাজার মানুষ। সড়কগুলো রূপ নেয় জনসমুদ্রে।
পায়ে হেঁটে সমাবেশের দিকে এগিয়ে চলা উৎফুল্ল কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। ভোর ৫টায় মাদারীপুরের কালকিনি থেকে বাসযোগে সমাবেশস্থলে রওনা হন সোহাগ। থেমে থেমে বাস পাচ্চর বাজার পর্যন্ত এলেও এরপর আর কোনোভাবেই আগানো যাচ্ছিল না। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলের কাছাকাছি চলে এসেছেন তিনি। সোহাগ বলেন, ‘এসব কোনো বিষয় না। আজ আমাগো উৎসব। উৎসবের দিন কষ্ট আনন্দে পরিণত হয়। আমার কাছেও আইজ সবকিছুই আনন্দের।’
অলিবা অলি নামে মধ্যবয়সী ব্যক্তিটি এসেছেন রাজৈর থেকে। তাঁর অভিজ্ঞতাও অনেকটা একই রকম। তবে তিনি হেঁটে এসেছেন শিবচর থেকে। কাওড়াকান্দি এলাকায় সড়কের ধারে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছে, তখন তিনি নিজের ঘামে ভিজে আছেন। তবু আনন্দের কমতি নেই তাঁর অভিব্যক্তিতে। অলি বলেন, ‘এই সেতু আমাগো স্বপ্নের সেতু। সেতু উদ্বোধনের দিন কোনো কষ্ট নাই। সেতু না থাকায় আমাগো যে কষ্ট হইছে, তার কাছে আইজকার কষ্ট কিছুই না।’
শুধু মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী বা ফরিদপুর নয়; জলপথে অন্তত ৫০টি লঞ্চ নিয়ে বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী আর চাঁদপুর থেকেও এসেছে হাজার হাজার মানুষ। কোনো কষ্টকেই তারা কষ্ট মনে করছে না। বরগুনার পাথরঘাটা থেকে এসেছেন মেহেদি। তিনি বলেন, ‘ভোরে আইস্যা নামছি। সারা দিন থাকমু। ম্যালা মানুষ একলগে আইছি আনন্দ করতে করতে। উদ্বোধন হইলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ হুইন্যা হেরপর লঞ্চে কইর্যা যামুগা।’
এদিকে সকাল ১০টার দিকে একপশলা বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায়। এ সময় কলাপাতা মাথায় দিয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটতে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষকে। এমন একজন জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি একটু পর থাইমা যাইব। তাই খাড়ায়া সময় নষ্ট করা যাইব না। যত আগে যামু, তত কাছে থাইকা সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারমু।’
রোদ, বৃষ্টি, তীব্র গরম কিংবা পরিবহনের সমস্যা—কোনোটা যেন রুখতে পারছে না এই অঞ্চলের মানুষদের। নারী, পুরুষ কিংবা শিশু সবার মনে এক অন্যরকম উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। আজ এই জনপদের ঘরে ঘরে যেন ঈদের আনন্দ।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫