ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার এবং সমবতে হয়ে প্রতিবাদ করার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বৃদ্ধিসহ বিদায়ী বছরে বাংলাদেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।
আজ শনিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় আসকের নির্বাহী পরিচালক নুর খান লিটনের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবেদনে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। পরিচালক (প্রোগ্রাম) নিনা গোস্বামী ও জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে নুর খান বলেন, ‘দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিভীষিকাময়। একেবারে মাকাল ফলের মতো। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোও ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না; তাদের ওপর খড়্গ নেমে আসছে। কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
বিদায়ী বছরের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের শুরুতে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, কারও বিরুদ্ধে মামলা হলে তদন্তের জন্য নির্ধারিত সেলে পাঠাতে হবে এবং কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তবু এ আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত আছে। বিভিন্ন সময়ে আইনে সংশোধন আনার আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো কোনো অগ্রগতি নেই।
আট বিভাগের মধ্যে শুধু ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে ডিজিটাল আইনে ২ হাজার ২৪৯টি মামলার তথ্য দিয়ে আসক বলেছে, ‘এ আইনের অপব্যবহার মত প্রকাশের ক্ষেত্রে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করছে।
‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষকে নানামুখী প্রতিকূলতার শিকার হতে হচ্ছে। এ বছর সারা দেশে ৩৬ বার ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে শুধু চট্টগ্রামেই ১২ বার।’
বিদায়ী বছরে স্থানীয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক ৪৭৯টি সহিংস ঘটনার তথ্য দিয়েছে আসক। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭০ জন, আহত অন্তত ৬ হাজার ৯১৪ জন। সবচেয়ে বেশি নিহত ঢাকা জেলায়।
এ বছর বিচারবহির্ভূত হত্যা কমলেও বন্ধ হয়নি কিংবা এ ক্ষেত্রে অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা যায়নি বলে আসকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
সংগঠনটির হিসাবে ২০২২ সালে সারা দেশে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ১৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন ১৫ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার গুমের ঘটনা বারবার অস্বীকার করলেও চলতি বছর অপহরণ ও গুম হয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, বাকিরা ফিরে এসেছেন।
গণপিটুনির মতো নির্মম ঘটনা কমেনি উল্লেখ করে আসক জানায়, গণপিটুনিতে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরজুড়ে ২২৬ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। নিহত হয়েছেন একজন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হামলা হয়েছে ৭৯ জন সংবাদকর্মীর ওপর।
আসকের হিসাবে, সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৩৬ জন নারী। পরে হত্যা করা হয়েছে ৪৮ জনকে এবং আত্মহত্যা করেছেন সাতজন।
সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসকের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ১৪ দফা সুপারিশ করা হয়।
এর মধ্যে আছে—এ পর্যন্ত সংঘটিত সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা গ্রহণ না করার নির্দেশনা প্রদান।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার এবং সমবতে হয়ে প্রতিবাদ করার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বৃদ্ধিসহ বিদায়ী বছরে বাংলাদেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।
আজ শনিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় আসকের নির্বাহী পরিচালক নুর খান লিটনের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবেদনে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। পরিচালক (প্রোগ্রাম) নিনা গোস্বামী ও জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে নুর খান বলেন, ‘দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিভীষিকাময়। একেবারে মাকাল ফলের মতো। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোও ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না; তাদের ওপর খড়্গ নেমে আসছে। কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
বিদায়ী বছরের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের শুরুতে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, কারও বিরুদ্ধে মামলা হলে তদন্তের জন্য নির্ধারিত সেলে পাঠাতে হবে এবং কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তবু এ আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত আছে। বিভিন্ন সময়ে আইনে সংশোধন আনার আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো কোনো অগ্রগতি নেই।
আট বিভাগের মধ্যে শুধু ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে ডিজিটাল আইনে ২ হাজার ২৪৯টি মামলার তথ্য দিয়ে আসক বলেছে, ‘এ আইনের অপব্যবহার মত প্রকাশের ক্ষেত্রে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করছে।
‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষকে নানামুখী প্রতিকূলতার শিকার হতে হচ্ছে। এ বছর সারা দেশে ৩৬ বার ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে শুধু চট্টগ্রামেই ১২ বার।’
বিদায়ী বছরে স্থানীয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক ৪৭৯টি সহিংস ঘটনার তথ্য দিয়েছে আসক। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭০ জন, আহত অন্তত ৬ হাজার ৯১৪ জন। সবচেয়ে বেশি নিহত ঢাকা জেলায়।
এ বছর বিচারবহির্ভূত হত্যা কমলেও বন্ধ হয়নি কিংবা এ ক্ষেত্রে অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা যায়নি বলে আসকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
সংগঠনটির হিসাবে ২০২২ সালে সারা দেশে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ১৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন ১৫ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার গুমের ঘটনা বারবার অস্বীকার করলেও চলতি বছর অপহরণ ও গুম হয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, বাকিরা ফিরে এসেছেন।
গণপিটুনির মতো নির্মম ঘটনা কমেনি উল্লেখ করে আসক জানায়, গণপিটুনিতে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরজুড়ে ২২৬ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। নিহত হয়েছেন একজন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হামলা হয়েছে ৭৯ জন সংবাদকর্মীর ওপর।
আসকের হিসাবে, সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৩৬ জন নারী। পরে হত্যা করা হয়েছে ৪৮ জনকে এবং আত্মহত্যা করেছেন সাতজন।
সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসকের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ১৪ দফা সুপারিশ করা হয়।
এর মধ্যে আছে—এ পর্যন্ত সংঘটিত সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা গ্রহণ না করার নির্দেশনা প্রদান।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫