কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্বের সব দেশ নিয়ে বাংলাদেশ এরই মধ্যে গবেষণা করেছে। এখন বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক করতে প্রস্তুত। যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করবে এবং যারা বাংলাদেশের সম্পদ ব্যবহার করে নিজেদের আক্রমণাত্মক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে, এমন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক করবে না বাংলাদেশ। এভাবেই বাংলাদেশের সার্বভৌম স্বার্থকে রক্ষা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বাংলাদেশ নিজের শর্তে বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে একটি সেমিনারে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) ‘চেঞ্জিং গ্লোবাল অর্ডার: সিকিউরিং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। উদ্বোধন পর্বে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান।
সেমিনারে ওয়ার্কিং সেশনে পরিবর্তিত পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার দৃষ্টিকোণ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রাশেদুজ্জামান, বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশের জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) কান্ট্রি ইকোনমিস্ট নাজনীন আহমেদ এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ নিয়ে বিআইআইএসএসের গবেষক রাজিয়া সুলতানা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির ওপর বিআইআইএসএসের গবেষক এএসএম তারেক হাসান শিমুল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মুবিন চৌধুরী সেমিনার সঞ্চালনা করেন।
বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধ জীবনকে বাধাগ্রস্ত করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলো কখনই কমবে না। ভবিষ্যৎ যে চ্যালেঞ্জগুলো আসছে তা মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো আজ আমাদের এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে তা মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত।’
বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে কিছু উপাদান রয়েছে যার দ্বারা আমরা আক্রান্ত হচ্ছি এবং কিছু উপাদান রয়েছে যা আগামী ৫০-১০০ বছরে আক্রান্ত করতে পারে। আর কেউ কেউ পরিস্থিতি এমন ভাবে পরিবর্তন করছে যার ভবিষ্যৎ অপাঠ্য হয়ে পড়েছে। এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আমরা কোন পক্ষে রয়েছি, তা বেছে নিতে হবে। এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে— কেন আমরা কোন পক্ষ অবলম্বন করব।’
শক্তিধর দেশগুলো প্রতিনিয়ত নতুন ফোরাম নিয়ে আসছে জানিয়ে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘অনেক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদার ফোরাম তৈরি হচ্ছে। আমরা বেল্ট ও রোড উদ্যোগ দেখেছি, আমরা কোয়াড দেখেছি, অ্যাপেক দেখেছি। আর সম্প্রতি আমরা ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক দেখেছি।’
কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশকে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দেশের উন্নয়নসহ মৌলিক জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন। বৈশ্বিক এ পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রেখে রপ্তানি নির্ভর বাজার ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন প্রবহমান রাখার বিষয়গুলোর ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। এ জন্য বাংলাদেশকে খাদ্য ও পরিবেশগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ খাদ্যোৎপাদন বৃদ্ধি এবং যথাযথভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বিশ্ব ব্যবস্থার পরিবর্তনশীলতার ধরন সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিরাজমান রেষারেষি কমিয়ে আনতে উদীয়মান বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থার এসব অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার “সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি শত্রুতা নয়” এই কূটনীতির মূলনীতি অবলম্বন করে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও অন্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার নীতি বজায় রেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক লালন করছে। যদিও বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখছে, তথাপি বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির কৌশলগত সামঞ্জস্য বিধান করা প্রয়োজন।’
বিশ্বের সব দেশ নিয়ে বাংলাদেশ এরই মধ্যে গবেষণা করেছে। এখন বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক করতে প্রস্তুত। যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করবে এবং যারা বাংলাদেশের সম্পদ ব্যবহার করে নিজেদের আক্রমণাত্মক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে, এমন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক করবে না বাংলাদেশ। এভাবেই বাংলাদেশের সার্বভৌম স্বার্থকে রক্ষা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বাংলাদেশ নিজের শর্তে বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে একটি সেমিনারে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) ‘চেঞ্জিং গ্লোবাল অর্ডার: সিকিউরিং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। উদ্বোধন পর্বে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান।
সেমিনারে ওয়ার্কিং সেশনে পরিবর্তিত পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার দৃষ্টিকোণ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রাশেদুজ্জামান, বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশের জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) কান্ট্রি ইকোনমিস্ট নাজনীন আহমেদ এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ নিয়ে বিআইআইএসএসের গবেষক রাজিয়া সুলতানা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির ওপর বিআইআইএসএসের গবেষক এএসএম তারেক হাসান শিমুল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মুবিন চৌধুরী সেমিনার সঞ্চালনা করেন।
বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধ জীবনকে বাধাগ্রস্ত করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলো কখনই কমবে না। ভবিষ্যৎ যে চ্যালেঞ্জগুলো আসছে তা মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো আজ আমাদের এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে তা মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত।’
বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে কিছু উপাদান রয়েছে যার দ্বারা আমরা আক্রান্ত হচ্ছি এবং কিছু উপাদান রয়েছে যা আগামী ৫০-১০০ বছরে আক্রান্ত করতে পারে। আর কেউ কেউ পরিস্থিতি এমন ভাবে পরিবর্তন করছে যার ভবিষ্যৎ অপাঠ্য হয়ে পড়েছে। এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আমরা কোন পক্ষে রয়েছি, তা বেছে নিতে হবে। এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে— কেন আমরা কোন পক্ষ অবলম্বন করব।’
শক্তিধর দেশগুলো প্রতিনিয়ত নতুন ফোরাম নিয়ে আসছে জানিয়ে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘অনেক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদার ফোরাম তৈরি হচ্ছে। আমরা বেল্ট ও রোড উদ্যোগ দেখেছি, আমরা কোয়াড দেখেছি, অ্যাপেক দেখেছি। আর সম্প্রতি আমরা ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক দেখেছি।’
কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশকে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দেশের উন্নয়নসহ মৌলিক জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন। বৈশ্বিক এ পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রেখে রপ্তানি নির্ভর বাজার ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন প্রবহমান রাখার বিষয়গুলোর ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। এ জন্য বাংলাদেশকে খাদ্য ও পরিবেশগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ খাদ্যোৎপাদন বৃদ্ধি এবং যথাযথভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বিশ্ব ব্যবস্থার পরিবর্তনশীলতার ধরন সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিরাজমান রেষারেষি কমিয়ে আনতে উদীয়মান বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থার এসব অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার “সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি শত্রুতা নয়” এই কূটনীতির মূলনীতি অবলম্বন করে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও অন্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার নীতি বজায় রেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক লালন করছে। যদিও বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখছে, তথাপি বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির কৌশলগত সামঞ্জস্য বিধান করা প্রয়োজন।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২২ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২২ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২২ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২২ দিন আগে