নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনকে যিনি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করেছিলেন, যাঁর হাত ধরে শুরু হয়েছিল নজরুল গবেষণা, চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সেই অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর নতুন কবরস্থানে বাবা জুলফিকার আলির কবরে শায়িত করা হয় তাঁকে।
এর আগে, বুধবার বাংলা একাডেমি ও শহীদ মিনারে জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। এদিন বেলা দেড়টায় নজরুল গবেষক এই অধ্যাপকের মরদেহ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। একাডেমির নজরুল মঞ্চে তাঁর কফিন শ্রদ্ধা জানাবার জন্য রাখা হয়। এরপর দুইটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ। সেখানে প্রথমেই রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
দেশের এই কৃতী সন্তানকে শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সাবেক তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানসহ বিশিষ্টজনেরা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে আত্মনিবেদিত ছিলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক জাতি গঠনে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বাঙালি জাতি বাংলা সাহিত্যের একজন কীর্তিমান গবেষক ও জাতির মেধা-মনন বিকাশের সুদক্ষ কারিগরকে হারাল।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চলে যাওয়া একটা অপূরণীয় ক্ষতি। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তাঁর কাজগুলোকে ছড়িয়ে দিতে হবে৷’
মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বাঙালির সম্প্রীতির ধারক ও বাহক ছিলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। নজরুল গবেষণায় তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাঁর বিদায় আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।’
রফিকুল ইসলামের সন্তান বর্ষণ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আব্বুকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আব্বু দেশেই থাকতে চেয়েছেন। তাই আমরা ওনাকে বিদেশ নিয়ে যেতে পারিনি।’
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রফিকুল ইসলামের মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেকে।
এ সময় আসাদুজ্জামান নূর বলেন, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তাঁর ক্যামেরায় বন্দী করেছিলেন। নজরুল গবেষণা শুরু করেছিলেন তিনি। সারাটা জীবন তিনি কাজ করে গেছেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় অধ্যাপক একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম পেটের ব্যথা নিয়ে গত ৭ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর ফুসফুসে পানি জমেছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। পরে অবস্থার অবনতি হলে ২১ নভেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার সেখানে মারা যান তিনি।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালকও ছিলেন তিনি। তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি, ফেলো, মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের উপাচার্য ছিলেন। জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শিক্ষা, সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া তিন বছর বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনকে যিনি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করেছিলেন, যাঁর হাত ধরে শুরু হয়েছিল নজরুল গবেষণা, চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সেই অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর নতুন কবরস্থানে বাবা জুলফিকার আলির কবরে শায়িত করা হয় তাঁকে।
এর আগে, বুধবার বাংলা একাডেমি ও শহীদ মিনারে জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। এদিন বেলা দেড়টায় নজরুল গবেষক এই অধ্যাপকের মরদেহ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। একাডেমির নজরুল মঞ্চে তাঁর কফিন শ্রদ্ধা জানাবার জন্য রাখা হয়। এরপর দুইটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ। সেখানে প্রথমেই রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
দেশের এই কৃতী সন্তানকে শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সাবেক তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানসহ বিশিষ্টজনেরা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে আত্মনিবেদিত ছিলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক জাতি গঠনে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বাঙালি জাতি বাংলা সাহিত্যের একজন কীর্তিমান গবেষক ও জাতির মেধা-মনন বিকাশের সুদক্ষ কারিগরকে হারাল।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চলে যাওয়া একটা অপূরণীয় ক্ষতি। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তাঁর কাজগুলোকে ছড়িয়ে দিতে হবে৷’
মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বাঙালির সম্প্রীতির ধারক ও বাহক ছিলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। নজরুল গবেষণায় তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাঁর বিদায় আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।’
রফিকুল ইসলামের সন্তান বর্ষণ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আব্বুকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আব্বু দেশেই থাকতে চেয়েছেন। তাই আমরা ওনাকে বিদেশ নিয়ে যেতে পারিনি।’
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রফিকুল ইসলামের মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেকে।
এ সময় আসাদুজ্জামান নূর বলেন, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তাঁর ক্যামেরায় বন্দী করেছিলেন। নজরুল গবেষণা শুরু করেছিলেন তিনি। সারাটা জীবন তিনি কাজ করে গেছেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় অধ্যাপক একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম পেটের ব্যথা নিয়ে গত ৭ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর ফুসফুসে পানি জমেছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। পরে অবস্থার অবনতি হলে ২১ নভেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার সেখানে মারা যান তিনি।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালকও ছিলেন তিনি। তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি, ফেলো, মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের উপাচার্য ছিলেন। জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শিক্ষা, সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া তিন বছর বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২৩ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২৩ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২৩ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২৩ দিন আগে