নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আজকে নাকি বিজয় আসিছে। কিন্তু আমার বাপ তো আর আইসবে না’—মুঠোফোনে এতটুকু বলে আর এগোতে পারলেন না মনোয়ারা বেগম। অপর প্রান্ত থেকে চাপা কান্নার শব্দ ভেসে এল। মনোয়ারা বেগম ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া প্রথম শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মা।
গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ (২৫)। নিরস্ত্র এই শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশের গুলি ছোড়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ, বেগবান হয় আন্দোলন। ফলে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সোমবার সরকারের পতন ঘটে।
সন্তানের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই অর্জনকে বিজয় হিসেবে দেখছেন বৃদ্ধ এই মা। তাঁর আশা, পরবর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে যিনিই আসুন না কেন, তারা যেন আন্দোলন ঘিরে ঘটে যাওয়া প্রতিটি হত্যার বিচার করে। একই রকম দাবি আন্দোলনে অন্যান্য নিহতের পরিবারের সদস্যদের। তাদের প্রত্যাশা, দেশে যেন বৈষম্য না থাকে। মানুষ যেন শান্তিতে থাকতে পারে।
আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের আত্মত্যাগের কারণে যে পতন হইসে, এ কারণে আমরা গর্বিত। কিন্তু ভাই হারাবার শোক আমাদের রয়ে যায়। আমাদের চাওয়া, আন্দোলনে যাওয়ার কারণে ছাত্রলীগের যে নেতা আমার ভাইকে থাপ্পড় দিয়েছিল, গলা টিপে ধরছিল, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। যে পুলিশের গুলিতে আমার ভাইয়ের মৃত্যু ঘটেছে, সেই পুলিশের ফাঁসি চাই। যার হুকুমে গুলি হয়েছে, আমরা তার ফাঁসি চাই। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যে দেশেই যাক, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
সব আবর্জনা পরিষ্কার হোক, তাহলেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে: মুগ্ধর বাবা
‘পানি লাগবে কারও, পানি, পানি?’—গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরা আজমপুরে ঠিক এভাবেই পানির কেস হাতে ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি বিতরণ করছিলেন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। টিয়ার গ্যাসের কারণে চোখ জ্বালাপোড়া করা সত্ত্বেও তৃষ্ণার্তদের খুঁজে পানি দিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক তখন আন্দোলনকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালালে একটি গুলি মুগ্ধর কপালে লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি।
মুগ্ধর বাবা মুস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু বিজয় তখন আসবে, যখন সমস্ত বৈষম্য দূর হবে। আমার সন্তান মারা গেছে। তাঁর আত্মত্যাগ সার্থক হবে, যদি দেশের সমস্ত আবর্জনা পরিষ্কার হয়, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বজায় থাকে, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে, দেশ সুন্দরভাবে চলে। সব যদি দূর হয়, তবেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।’
এত দিন কাঁদতে পারিনি, আজ আমি কাঁদব: প্রিয়র মা
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর গ্রিন রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তরুণ আলোকচিত্রী তাহির জামান প্রিয়। তাঁর মা সামসি আরা জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার সন্তানেরা স্বাধীন করেছে। যখন স্বাধীন হয়েছে শুনলাম, তখন থেকে আমি আমার সন্তানকে খুঁজে বেড়াচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এ কদিন কাঁদতে পারিনি। সাঈদ চত্বর ঘুরে এসে আমি নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দী করেছি, যেন আমি কাঁদতে পারি। আমাদের সন্তানেরা প্রাণ দিল, যার ফলে এই জয়। আমি খুবই আনন্দিত।’
আন্দোলনে নিহত প্রতিটি হত্যার বিচার চেয়ে এই মা বলেন, ‘আমার সন্তানকে যেভাবে গুলি করেছে, আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। যারা আমার এতগুলো সন্তানকে মেরেছে, আমি আমার প্রত্যেক সন্তান হত্যার বিচার চাই। আমি এত বাচ্চার মৃত্যু দেখেছি। আমার ছেলের জন্য আমি এত দিন কাঁদতে পারিনি, আজ আমি কাঁদব।’
‘আজকে নাকি বিজয় আসিছে। কিন্তু আমার বাপ তো আর আইসবে না’—মুঠোফোনে এতটুকু বলে আর এগোতে পারলেন না মনোয়ারা বেগম। অপর প্রান্ত থেকে চাপা কান্নার শব্দ ভেসে এল। মনোয়ারা বেগম ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া প্রথম শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মা।
গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ (২৫)। নিরস্ত্র এই শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশের গুলি ছোড়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ, বেগবান হয় আন্দোলন। ফলে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সোমবার সরকারের পতন ঘটে।
সন্তানের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই অর্জনকে বিজয় হিসেবে দেখছেন বৃদ্ধ এই মা। তাঁর আশা, পরবর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে যিনিই আসুন না কেন, তারা যেন আন্দোলন ঘিরে ঘটে যাওয়া প্রতিটি হত্যার বিচার করে। একই রকম দাবি আন্দোলনে অন্যান্য নিহতের পরিবারের সদস্যদের। তাদের প্রত্যাশা, দেশে যেন বৈষম্য না থাকে। মানুষ যেন শান্তিতে থাকতে পারে।
আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের আত্মত্যাগের কারণে যে পতন হইসে, এ কারণে আমরা গর্বিত। কিন্তু ভাই হারাবার শোক আমাদের রয়ে যায়। আমাদের চাওয়া, আন্দোলনে যাওয়ার কারণে ছাত্রলীগের যে নেতা আমার ভাইকে থাপ্পড় দিয়েছিল, গলা টিপে ধরছিল, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। যে পুলিশের গুলিতে আমার ভাইয়ের মৃত্যু ঘটেছে, সেই পুলিশের ফাঁসি চাই। যার হুকুমে গুলি হয়েছে, আমরা তার ফাঁসি চাই। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যে দেশেই যাক, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
সব আবর্জনা পরিষ্কার হোক, তাহলেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে: মুগ্ধর বাবা
‘পানি লাগবে কারও, পানি, পানি?’—গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরা আজমপুরে ঠিক এভাবেই পানির কেস হাতে ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি বিতরণ করছিলেন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। টিয়ার গ্যাসের কারণে চোখ জ্বালাপোড়া করা সত্ত্বেও তৃষ্ণার্তদের খুঁজে পানি দিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক তখন আন্দোলনকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালালে একটি গুলি মুগ্ধর কপালে লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি।
মুগ্ধর বাবা মুস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু বিজয় তখন আসবে, যখন সমস্ত বৈষম্য দূর হবে। আমার সন্তান মারা গেছে। তাঁর আত্মত্যাগ সার্থক হবে, যদি দেশের সমস্ত আবর্জনা পরিষ্কার হয়, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বজায় থাকে, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে, দেশ সুন্দরভাবে চলে। সব যদি দূর হয়, তবেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।’
এত দিন কাঁদতে পারিনি, আজ আমি কাঁদব: প্রিয়র মা
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর গ্রিন রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তরুণ আলোকচিত্রী তাহির জামান প্রিয়। তাঁর মা সামসি আরা জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার সন্তানেরা স্বাধীন করেছে। যখন স্বাধীন হয়েছে শুনলাম, তখন থেকে আমি আমার সন্তানকে খুঁজে বেড়াচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এ কদিন কাঁদতে পারিনি। সাঈদ চত্বর ঘুরে এসে আমি নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দী করেছি, যেন আমি কাঁদতে পারি। আমাদের সন্তানেরা প্রাণ দিল, যার ফলে এই জয়। আমি খুবই আনন্দিত।’
আন্দোলনে নিহত প্রতিটি হত্যার বিচার চেয়ে এই মা বলেন, ‘আমার সন্তানকে যেভাবে গুলি করেছে, আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। যারা আমার এতগুলো সন্তানকে মেরেছে, আমি আমার প্রত্যেক সন্তান হত্যার বিচার চাই। আমি এত বাচ্চার মৃত্যু দেখেছি। আমার ছেলের জন্য আমি এত দিন কাঁদতে পারিনি, আজ আমি কাঁদব।’
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫