Ajker Patrika

গত মাসের চেয়ে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত মাসের চেয়ে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কমেছে। এদিকে আগস্ট মাসের চেয়ে সেপ্টেম্বরে রোগী শনাক্ত বেড়েছে। তবে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে মৃত্যুর সংখ্যা কম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের পাঠানো প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ৬৯৮ জন। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছিল ৩৪ জনের। আর সেপ্টেম্বর মাসে মোট রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হন ৭ হাজার ৮৪১ জন। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। আর গত জুলাই মাসে রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হয়েছিলেন ২ হাজার ২৮৬ জন। আর ওই মাসে মৃত্যু হয়েছিল ১২ জনের। চলতি বছর জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর আগের ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হলেও কোনো মৃত্যুর ঘটনা নেই।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ বৃহস্পতিবার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট রোগী ভর্তি হয়েছে ১৮ হাজার ১৯৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ হাজার ১৭০ জন। এ বছর মৃত্যু হয়েছে ৬৭ জনের। বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৯৬০ জন। এদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৭৫৬ জন এবং বাইরে ভর্তি আছে ২০৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯০ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় ১৪৯ জন এবং বাইরে ৪১ জন। আগেরদিন ২৪ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি হয়েছিলেন ২১৭ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় ১৭৪ জন এবং বাইরে ছিল ৪৩ জন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৮ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১২ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ৫ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৭ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন মোট ৫৮ জন। ৫৮ জন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

চলতি বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সরকার ৬টি ডেডিকেটেড হাসপাতাল প্রস্তুত করে কিন্তু চিকিৎসার জন্য ছিল চারটি। শেষ পর্যন্ত কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যা হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই বছর আগস্টে সর্বোচ্চ ৫২ হাজার ৬৩৬ জন রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হন। গত বছর আগস্টে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছিলেন মাত্র ৬০ জন। আর চলতি বছর আগস্টে ৭ হাজার ৬৯৮ জন রোগী ভর্তি হন। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। গত বছর সাতজনের এবং চলতি বছর ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত