স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম বলেছেন, চলতি বছর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পর রোগীদের জটিলতা বেশি দেখা যাচ্ছে। আজ শনিবার দুপুরে দেশের বর্তমান ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি ও করণীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা ক্লিনিক্যালি তাঁদের মৃত্যুর কারণ জানান চেষ্টা করেছি। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মৃতদের প্রায় প্রত্যেকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আরও কারণ থাকতে পারে। যা জানার জন্য ময়নাতদন্ত করা প্রয়োজন। কিন্তু মৃতদের পরিবার সেই অনুমোদন দেবে না।’
পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা সরকারি হাসপাতালে আসছেন তাঁদের ডায়াগনোসিস কর হচ্ছে ৷ যারা আসছেন না তাঁদের করা সম্ভব হচ্ছে না।
অধ্যাপক খুরশীদ আলম আরও বলেন, ‘চলতি বছরে ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম। বেশির ভাগ রোগী রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে ঢাকায় সর্বোচ্চ ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সারা দেশে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও আমরা দেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত রেখেছি। এ বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সংশোধিত গাইডলাইন প্রত্যেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালগুলোর চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক, ওষুধসহ সবকিছু সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেক হাসপাতালে মশারি সরবরাহ করা হচ্ছে, তবে রোগীরা মশারির ভেতর থাকছেন না।’
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক বিভাগে ডেঙ্গু চিকিৎসায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে মশা নিধন করাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো) শেখ দাউদ আদনান বলেন, ‘ডেঙ্গু পরীক্ষায় গুরুত্ব দিতে সব হাসপাতালকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফিস আগেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক হাসপাতালে গাইডলাইন সরবরাহ করা হয়েছে। সব রোগীর জন্য মশারি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু রোগীরা মশারির ভেতর থাকছেন না। চিকিৎসক এলে তাঁরা মশারির ভেতর থাকছেন, বাকি সময়টা বাইরে থাকছেন। রোগীদের মশারির ভেতর রাখার বিষয়ে পুলিশিং ব্যবস্থা আমাদের নেই। এ বিষয়ে আমাদের রোগীদেরই সচেতন হতে হবে।’
ডেঙ্গু রোগীদের সব তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের তথ্য ও ডেঙ্গুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রোগীদের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই সংবাদ সম্মেলনের পর বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫৬ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৪৮ এবং ঢাকার বাইরে ৮ জন। দেশে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৫৪৯ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৭৩ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ৭৬ জন। এই সময়ে রোগটিতে মৃত্যু হয়েছে একজনের। সব মিলিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম বলেছেন, চলতি বছর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পর রোগীদের জটিলতা বেশি দেখা যাচ্ছে। আজ শনিবার দুপুরে দেশের বর্তমান ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি ও করণীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা ক্লিনিক্যালি তাঁদের মৃত্যুর কারণ জানান চেষ্টা করেছি। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মৃতদের প্রায় প্রত্যেকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আরও কারণ থাকতে পারে। যা জানার জন্য ময়নাতদন্ত করা প্রয়োজন। কিন্তু মৃতদের পরিবার সেই অনুমোদন দেবে না।’
পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা সরকারি হাসপাতালে আসছেন তাঁদের ডায়াগনোসিস কর হচ্ছে ৷ যারা আসছেন না তাঁদের করা সম্ভব হচ্ছে না।
অধ্যাপক খুরশীদ আলম আরও বলেন, ‘চলতি বছরে ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম। বেশির ভাগ রোগী রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে ঢাকায় সর্বোচ্চ ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সারা দেশে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও আমরা দেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত রেখেছি। এ বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সংশোধিত গাইডলাইন প্রত্যেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালগুলোর চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক, ওষুধসহ সবকিছু সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেক হাসপাতালে মশারি সরবরাহ করা হচ্ছে, তবে রোগীরা মশারির ভেতর থাকছেন না।’
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক বিভাগে ডেঙ্গু চিকিৎসায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে মশা নিধন করাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো) শেখ দাউদ আদনান বলেন, ‘ডেঙ্গু পরীক্ষায় গুরুত্ব দিতে সব হাসপাতালকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফিস আগেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক হাসপাতালে গাইডলাইন সরবরাহ করা হয়েছে। সব রোগীর জন্য মশারি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু রোগীরা মশারির ভেতর থাকছেন না। চিকিৎসক এলে তাঁরা মশারির ভেতর থাকছেন, বাকি সময়টা বাইরে থাকছেন। রোগীদের মশারির ভেতর রাখার বিষয়ে পুলিশিং ব্যবস্থা আমাদের নেই। এ বিষয়ে আমাদের রোগীদেরই সচেতন হতে হবে।’
ডেঙ্গু রোগীদের সব তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের তথ্য ও ডেঙ্গুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রোগীদের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই সংবাদ সম্মেলনের পর বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫৬ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৪৮ এবং ঢাকার বাইরে ৮ জন। দেশে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৫৪৯ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৭৩ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ৭৬ জন। এই সময়ে রোগটিতে মৃত্যু হয়েছে একজনের। সব মিলিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫