নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে কিংস পার্টি গড়ার চেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০০৭ সালে চেষ্টা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে কিংস পার্টি গড়ে তুলবে। সেটা সফল হয়নি। এর কারণ আওয়ামী লীগের মূল শক্তি দেশের জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা কর্মী, মুজিব আদর্শের সৈনিক। এ সৈনিকেরা কখনো পরাজয় মানে না। মাথা নত করে না।’
আজ রোববার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের মানুষের সব অর্জন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার এ দলের ওপর আঘাত এসেছে, এ দলকে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছে। বারবার এ দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছিল। সেই আইয়ুব খানের মার্শাল ল থেকে শুরু, বারবার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন, জনগণের আর্থসামাজিক উন্নতি করার সংগঠন। কাজেই বারবার আঘাত এলেও এ সংগঠনের কেউ ক্ষতি করতে পারেনি। ফিনিক্স পাখির মতো যেমন পুড়িয়ে ফেলার পরেও ভস্ম থেকে জেগে ওঠে, আওয়ামী লীগও সেই ভাবে জেগে উঠেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হয়তো কখনো কখনো কোনো নেতারা ভুল করেছেন, কেউ মনে করেছেন আওয়ামী লীগে থাকলে তাঁরাই বড় নেতা, দলের চেয়েও নিজেকে বড় মনে করে দল ছেড়েছেন, দল ছেড়ে অন্য দল করেছেন। কেউ দল ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু ভুল করেছেন। কেন? আপনারা দেখেন আকাশে মিটিমিটি তারা জ্বলে। তারা আলোকিত হয় সূর্যের দ্বারা। যেসব নেতারা ভুল করেছিলেন, তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন তাঁরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন বলেই আলোকিত ছিলেন। এখান থেকে চলে যাওয়ার পরে ওই তারা আর জ্বলেনি, আস্তে আস্তে কিছু মিটেই গেছে।
তিনি বলেন, ‘কেউ ভুল বুঝে হয়তো ফেরত এসেছে, আমরা নিয়েছি। আবার কেউ এখনো বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সরকার পতন, ধ্বংস নানান জল্পনা-কল্পনা করে যাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। তা আমরা প্রমাণ করেছি। পঁচাত্তরের পর বারবার ক্ষমতা বদল হয়েছিল। সেটা হয়েছে অস্ত্রের মাধ্যমে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের অধিকার ছিল না। তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি বলেই বারবার জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। বারবার ক্ষমতায় এসে, দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০৯ থেকে এই ২০২৪ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। আর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে আর্থসামাজিক ভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বে আজকে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই এটাকে (আস্থা-বিশ্বাস) ধরে রেখেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৪১,২১০০ অনেক বয়স হয়েছে, তত দিন হয়তো বেঁচে থাকব না। কিন্তু আজকে যারা নবীন, যারা আমার স্মার্ট বাংলাদেশের মূল সৈনিক হবে। আমরা স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে তুলব, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলে, এই বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্লাটিনাম জুবলীতে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’
মৃত্যুকে পরোয়া করেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, মৃত্যু যে কোনো সময় সবার হতে পারে। যেকোনো সময় মৃত্যু আসতে পারে। এর জন্য আমি কোনো দিন ভীত না। কখনো ভয় পাইনি, পাব না। কিন্তু যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আঁশ। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমার বাবার যে চিন্তা-চেতনা তা বাস্তবায়ন করে এ দেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপপ্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ ১৪ দলীয় জোটের শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন বিদেশি মিশনের কূটনীতিকেরাও।
আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে কিংস পার্টি গড়ার চেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০০৭ সালে চেষ্টা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে কিংস পার্টি গড়ে তুলবে। সেটা সফল হয়নি। এর কারণ আওয়ামী লীগের মূল শক্তি দেশের জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা কর্মী, মুজিব আদর্শের সৈনিক। এ সৈনিকেরা কখনো পরাজয় মানে না। মাথা নত করে না।’
আজ রোববার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের মানুষের সব অর্জন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার এ দলের ওপর আঘাত এসেছে, এ দলকে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছে। বারবার এ দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছিল। সেই আইয়ুব খানের মার্শাল ল থেকে শুরু, বারবার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন, জনগণের আর্থসামাজিক উন্নতি করার সংগঠন। কাজেই বারবার আঘাত এলেও এ সংগঠনের কেউ ক্ষতি করতে পারেনি। ফিনিক্স পাখির মতো যেমন পুড়িয়ে ফেলার পরেও ভস্ম থেকে জেগে ওঠে, আওয়ামী লীগও সেই ভাবে জেগে উঠেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হয়তো কখনো কখনো কোনো নেতারা ভুল করেছেন, কেউ মনে করেছেন আওয়ামী লীগে থাকলে তাঁরাই বড় নেতা, দলের চেয়েও নিজেকে বড় মনে করে দল ছেড়েছেন, দল ছেড়ে অন্য দল করেছেন। কেউ দল ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু ভুল করেছেন। কেন? আপনারা দেখেন আকাশে মিটিমিটি তারা জ্বলে। তারা আলোকিত হয় সূর্যের দ্বারা। যেসব নেতারা ভুল করেছিলেন, তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন তাঁরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন বলেই আলোকিত ছিলেন। এখান থেকে চলে যাওয়ার পরে ওই তারা আর জ্বলেনি, আস্তে আস্তে কিছু মিটেই গেছে।
তিনি বলেন, ‘কেউ ভুল বুঝে হয়তো ফেরত এসেছে, আমরা নিয়েছি। আবার কেউ এখনো বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সরকার পতন, ধ্বংস নানান জল্পনা-কল্পনা করে যাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। তা আমরা প্রমাণ করেছি। পঁচাত্তরের পর বারবার ক্ষমতা বদল হয়েছিল। সেটা হয়েছে অস্ত্রের মাধ্যমে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের অধিকার ছিল না। তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি বলেই বারবার জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। বারবার ক্ষমতায় এসে, দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০৯ থেকে এই ২০২৪ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। আর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে আর্থসামাজিক ভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বে আজকে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই এটাকে (আস্থা-বিশ্বাস) ধরে রেখেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৪১,২১০০ অনেক বয়স হয়েছে, তত দিন হয়তো বেঁচে থাকব না। কিন্তু আজকে যারা নবীন, যারা আমার স্মার্ট বাংলাদেশের মূল সৈনিক হবে। আমরা স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে তুলব, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলে, এই বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্লাটিনাম জুবলীতে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’
মৃত্যুকে পরোয়া করেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, মৃত্যু যে কোনো সময় সবার হতে পারে। যেকোনো সময় মৃত্যু আসতে পারে। এর জন্য আমি কোনো দিন ভীত না। কখনো ভয় পাইনি, পাব না। কিন্তু যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আঁশ। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমার বাবার যে চিন্তা-চেতনা তা বাস্তবায়ন করে এ দেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপপ্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ ১৪ দলীয় জোটের শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন বিদেশি মিশনের কূটনীতিকেরাও।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫