নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ৩৬১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষার্থী ১৪৭ জন এবং নারী শিক্ষার্থী ২১৪ জন। এর মধ্যে অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ৩১ দশমিক ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী।
দেশের ১০৫টি জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের আত্মহত্যার সংবাদ বিশ্লেষণ করে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন। আজ শনিবার সমীক্ষার ফল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়।
সমীক্ষার ফলাফল বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত, অর্থাৎ গত আট মাসে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলশিক্ষার্থী ১৬৯ জন, কলেজ শিক্ষার্থী ৯৬ জন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৬৬ জন ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ৩০ জন। ২০২২ সালে প্রথম আট মাসে আত্মহত্যা করেছিল ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী। আর বছর শেষে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৩২।
আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করে আঁচল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, আগের আত্মহত্যার ঘটনায় প্রেমঘটিত সম্পর্কের দায় বেশি ছিল। এবার আত্মহত্যার ঘটনায় মূল ভূমিকা রাখছে অভিমান। অভিমানের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক কতটুকু মজবুত তা নিয়ে চিন্তার উদ্রেক করে।
তিনি আরও বলেন, গত বছর আত্মহত্যার পেছনে করোনা একটা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিল। এ বছর করোনা না থাকলেও আত্মহত্যার সংখ্যায় খুব একটা হেরফের হয়নি।
সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যায়, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৩১ দমশিক ৩০ শতাংশ। আর খুলনা বিভাগে ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৪ দমশিক ১০ শতাংশ, রংপুরে ৮ দমশিক ৯০ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১০ শতাংশ, রাজশাহীতে ১১ দমশিক ৯০ শতাংশ, বরিশালে ৮ দমশিক ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া সিলেটে আত্মহত্যা করেছে ২ দমশিক ৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ঢাকা শহরে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠার সহায়ক পরিবেশ না থাকায় আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটছে।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়, নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। ৩৬১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ৫৯ দমশিক ৩০ শতাংশ এবং পুরুষ ৪০ দমশিক ৭০ শতাংশ। নারী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ দমশিক ৬০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী অভিমান, ১৮ দমশিক ৭০ প্রেমঘটিত, ৮ দমশিক ৪০ শতাংশ মানসিক ভারসাম্যহীনতা, ৯ দমশিক ৮০ পারিবারিক বিবাদ, ৫ দমশিক ১০ শতাংশ যৌন হয়রানি এবং ১২ দমশিক ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার চাপ ও ব্যর্থতার কারণে আত্মহত্যা করেছে।
সমীক্ষায় দেখা যায়, আত্মহত্যার ঘটনায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি। এদের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। ৬৭ দমশিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ছিল এই বয়সী। এদের মাঝে নারী শিক্ষার্থী ছিল ১৫৯ জন। অন্যদিকে পুরুষ শিক্ষার্থী ৮৪ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আত্মহত্যা প্রতিরোধে আঁচল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো টাস্কফোর্স গঠন; টোল ফ্রি জাতীয় হটলাইন নম্বর চালু; আবেগীয় অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও ধৈর্যশীলতার পাঠ শেখানো; স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে শেখানো; শিক্ষার্থীদের সহানুভূতি এবং বোঝার সঙ্গে সাড়া দেওয়া; আত্মহত্যা সতর্কতা চিহ্ন সম্পর্কে ধারণা বিস্তৃত করা; বিভিন্ন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা; মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ইনস্যুরেন্স বিমার আওতায় আনা; গণমাধ্যমে দায়িত্বপূর্ণ প্রতিবেদন লেখা ও প্রকাশ; মানসিক দূরত্ব কমাতে উদ্যোগ গ্রহণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শহীদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ৩৬১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষার্থী ১৪৭ জন এবং নারী শিক্ষার্থী ২১৪ জন। এর মধ্যে অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ৩১ দশমিক ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী।
দেশের ১০৫টি জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের আত্মহত্যার সংবাদ বিশ্লেষণ করে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন। আজ শনিবার সমীক্ষার ফল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়।
সমীক্ষার ফলাফল বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত, অর্থাৎ গত আট মাসে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলশিক্ষার্থী ১৬৯ জন, কলেজ শিক্ষার্থী ৯৬ জন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৬৬ জন ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ৩০ জন। ২০২২ সালে প্রথম আট মাসে আত্মহত্যা করেছিল ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী। আর বছর শেষে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৩২।
আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করে আঁচল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, আগের আত্মহত্যার ঘটনায় প্রেমঘটিত সম্পর্কের দায় বেশি ছিল। এবার আত্মহত্যার ঘটনায় মূল ভূমিকা রাখছে অভিমান। অভিমানের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক কতটুকু মজবুত তা নিয়ে চিন্তার উদ্রেক করে।
তিনি আরও বলেন, গত বছর আত্মহত্যার পেছনে করোনা একটা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিল। এ বছর করোনা না থাকলেও আত্মহত্যার সংখ্যায় খুব একটা হেরফের হয়নি।
সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যায়, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৩১ দমশিক ৩০ শতাংশ। আর খুলনা বিভাগে ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৪ দমশিক ১০ শতাংশ, রংপুরে ৮ দমশিক ৯০ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১০ শতাংশ, রাজশাহীতে ১১ দমশিক ৯০ শতাংশ, বরিশালে ৮ দমশিক ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া সিলেটে আত্মহত্যা করেছে ২ দমশিক ৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ঢাকা শহরে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠার সহায়ক পরিবেশ না থাকায় আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটছে।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়, নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। ৩৬১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ৫৯ দমশিক ৩০ শতাংশ এবং পুরুষ ৪০ দমশিক ৭০ শতাংশ। নারী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ দমশিক ৬০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী অভিমান, ১৮ দমশিক ৭০ প্রেমঘটিত, ৮ দমশিক ৪০ শতাংশ মানসিক ভারসাম্যহীনতা, ৯ দমশিক ৮০ পারিবারিক বিবাদ, ৫ দমশিক ১০ শতাংশ যৌন হয়রানি এবং ১২ দমশিক ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার চাপ ও ব্যর্থতার কারণে আত্মহত্যা করেছে।
সমীক্ষায় দেখা যায়, আত্মহত্যার ঘটনায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি। এদের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। ৬৭ দমশিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ছিল এই বয়সী। এদের মাঝে নারী শিক্ষার্থী ছিল ১৫৯ জন। অন্যদিকে পুরুষ শিক্ষার্থী ৮৪ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আত্মহত্যা প্রতিরোধে আঁচল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো টাস্কফোর্স গঠন; টোল ফ্রি জাতীয় হটলাইন নম্বর চালু; আবেগীয় অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও ধৈর্যশীলতার পাঠ শেখানো; স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে শেখানো; শিক্ষার্থীদের সহানুভূতি এবং বোঝার সঙ্গে সাড়া দেওয়া; আত্মহত্যা সতর্কতা চিহ্ন সম্পর্কে ধারণা বিস্তৃত করা; বিভিন্ন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা; মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ইনস্যুরেন্স বিমার আওতায় আনা; গণমাধ্যমে দায়িত্বপূর্ণ প্রতিবেদন লেখা ও প্রকাশ; মানসিক দূরত্ব কমাতে উদ্যোগ গ্রহণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শহীদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
২১ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২১ দিন আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২১ দিন আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২১ দিন আগে