রবিউল আলম, ঢাকা
শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দিয়েই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে বলে ইতিমধ্যে সরকার ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অগ্রাধিকার ২৭ শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে আবাসিক শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। কিন্তু অনেকে সুরক্ষা অ্যাপে টিকার নিবন্ধন করতে পারছেন না। আবার অনেক অনাবাসিক শিক্ষার্থী টিকা পাচ্ছেন। অগ্রাধিকারের তালিকায় না থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীও পেয়ে যাচ্ছেন টিকা। সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাদান কার্যক্রম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন সোহাগ বলেন, সুরক্ষা অ্যাপে টিকা তিনি পেতে নিবন্ধন করেছেন। তবে কখন টিকা দেওয়া হবে, সেই মেসেজ এখনো দেয়নি। তাঁর পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যেই টিকা নিয়েছেন। তবে সার্ভারে সমস্যা থাকায় তাঁর পরিচিত অনেকে আবার টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছেন, তাঁরা টিকা পাচ্ছেন।
আবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নূরুল ইসলাম নামের এক অনাবাসিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণ না করেও কোনো ঝামেলা ছাড়া সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে পেরেছেন।
টিকার নিবন্ধনসংক্রান্ত কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের পরিচালক মিজানুর রহমান দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীই কেবল টিকা নিতে পারছেন। অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা কীভাবে টিকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের কিছু করার নাই। বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে পাঠিয়েছে, সেভাবেই দেওয়া হচ্ছে।’
১ জুলাই ইউজিসি থেকে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় অনেক আবাসিক শিক্ষার্থী জন্ম সনদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় সুরক্ষা অ্যাপে তাঁরা নিবন্ধন করতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও টিকা পাচ্ছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাকের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহি রোদসী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নিবন্ধন করে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে তিনি টিকা পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর পরিচিত অনেক শিক্ষার্থীও টিকা পেয়েছেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক সেলিনা আক্তার বলেন, যেসব শিক্ষার্থী আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করেছেন, তাঁরা এখন সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে টিকা পাচ্ছেন।
সম্পূর্ণ অনাবাসিক হওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। জবির উপাচার্য মো. ইমদাদুল হক বলেন, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিগগিরই টিকা পাবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের একবার তালিকা নেওয়া হলেও আবার নতুন করে তালিকা চাওয়া হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সার্ভারে সমস্যা থাকায় অনেক আবাসিক শিক্ষার্থী তালিকায় নাম দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা কীভাবে টিকা পাচ্ছেন—এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. সামসুল হক বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের যেভাবে বলেছে, সেভাবে আমরা করেছি। তাঁরা কীভাবে টিকা নিচ্ছেন, আমরা জানি না।’
ইউজিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লাখের বেশি আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এদের টিকাদান শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হবে। সবশেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা টিকা পাবেন।
শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দিয়েই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে বলে ইতিমধ্যে সরকার ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অগ্রাধিকার ২৭ শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে আবাসিক শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। কিন্তু অনেকে সুরক্ষা অ্যাপে টিকার নিবন্ধন করতে পারছেন না। আবার অনেক অনাবাসিক শিক্ষার্থী টিকা পাচ্ছেন। অগ্রাধিকারের তালিকায় না থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীও পেয়ে যাচ্ছেন টিকা। সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাদান কার্যক্রম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন সোহাগ বলেন, সুরক্ষা অ্যাপে টিকা তিনি পেতে নিবন্ধন করেছেন। তবে কখন টিকা দেওয়া হবে, সেই মেসেজ এখনো দেয়নি। তাঁর পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যেই টিকা নিয়েছেন। তবে সার্ভারে সমস্যা থাকায় তাঁর পরিচিত অনেকে আবার টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছেন, তাঁরা টিকা পাচ্ছেন।
আবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নূরুল ইসলাম নামের এক অনাবাসিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণ না করেও কোনো ঝামেলা ছাড়া সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে পেরেছেন।
টিকার নিবন্ধনসংক্রান্ত কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের পরিচালক মিজানুর রহমান দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীই কেবল টিকা নিতে পারছেন। অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা কীভাবে টিকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের কিছু করার নাই। বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে পাঠিয়েছে, সেভাবেই দেওয়া হচ্ছে।’
১ জুলাই ইউজিসি থেকে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় অনেক আবাসিক শিক্ষার্থী জন্ম সনদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় সুরক্ষা অ্যাপে তাঁরা নিবন্ধন করতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও টিকা পাচ্ছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাকের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহি রোদসী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নিবন্ধন করে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে তিনি টিকা পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর পরিচিত অনেক শিক্ষার্থীও টিকা পেয়েছেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক সেলিনা আক্তার বলেন, যেসব শিক্ষার্থী আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করেছেন, তাঁরা এখন সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে টিকা পাচ্ছেন।
সম্পূর্ণ অনাবাসিক হওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। জবির উপাচার্য মো. ইমদাদুল হক বলেন, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিগগিরই টিকা পাবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের একবার তালিকা নেওয়া হলেও আবার নতুন করে তালিকা চাওয়া হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সার্ভারে সমস্যা থাকায় অনেক আবাসিক শিক্ষার্থী তালিকায় নাম দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা কীভাবে টিকা পাচ্ছেন—এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. সামসুল হক বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের যেভাবে বলেছে, সেভাবে আমরা করেছি। তাঁরা কীভাবে টিকা নিচ্ছেন, আমরা জানি না।’
ইউজিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লাখের বেশি আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এদের টিকাদান শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হবে। সবশেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা টিকা পাবেন।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫