নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীসহ সরকারের সব প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমানতালে পা মিলিয়ে চলার সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
আজ রোববার ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের উত্তরাধিকারগণকে সংবর্ধনা প্রদান এবং ২০২০-২০২১ সালের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্তদের পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীসহ সব প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন সরকার করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এইটুকু দাবি করতে পারি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সমানতালে পা মিলিয়ে চলতে পারে। সেই সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যা অর্জন করেছি, সেটা ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সেটা মাথায় রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার একটাই লক্ষ্য, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক যাঁরা, তাঁরা যদি শিক্ষা-দীক্ষা, প্রশিক্ষণে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন না হন, তাহলে বাংলাদেশের মর্যাদাও কখনো উন্নত হবে না। পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণ, যাদের জন্য জাতির পিতা সারা জীবন ত্যাগ শিকার করেছিলেন, তাদের ভাগ্য আমাদের পরিবর্তন করতে হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এই কর্মসূচিগুলো শহরকেন্দ্রিক নয়, একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত। তৃণমূলের মানুষ যাতে সুফল পায়, সেই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।’
স্বাধীনতার পরে দেশের উন্নয়নে জাতির পিতার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারে আসার পরে একটাই লক্ষ্য ছিল—দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাধ্যমে যে গৌরব পেয়েছিলাম, সেই গৌরব বাংলাদেশ হারিয়েছিল পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করে। সেই গৌরব ফিরিয়ে এনে জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়ন করব। আজকে আমরা সেই আদর্শ ধরে রেখে উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে আসতে পেরেছি।’
করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এক্ষেত্রে দেশের প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ প্রতিটি স্তরের মানুষ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ফলে একদিকে দুর্যোগ ও দুর্বিপাক যেটাই আসুক না কেন, আমরা তা মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করেছি।’
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা, তাঁদের ছেলেমেয়েদের চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটার ব্যবস্থা, ছেলেমেয়ে, পরিবার-পরিজন যেন চাকরিতে নিয়োগ পায়, সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি। পঁচাত্তরের পরে তাঁদের যে সম্মান হারিয়েছিল, তা আবার যেন ফিরে আসে আমরা তার ব্যবস্থা নিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে যেখানেই থাকুক, যে যে দলেরই থাকুক না কেন, মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধাই। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই তাঁরা সম্মান পাবেন। আমরা সেই পদক্ষেপটা নিয়েছি।’
এর আগে সকালে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীসহ সরকারের সব প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমানতালে পা মিলিয়ে চলার সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
আজ রোববার ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের উত্তরাধিকারগণকে সংবর্ধনা প্রদান এবং ২০২০-২০২১ সালের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্তদের পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীসহ সব প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন সরকার করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এইটুকু দাবি করতে পারি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সমানতালে পা মিলিয়ে চলতে পারে। সেই সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যা অর্জন করেছি, সেটা ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সেটা মাথায় রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার একটাই লক্ষ্য, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক যাঁরা, তাঁরা যদি শিক্ষা-দীক্ষা, প্রশিক্ষণে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন না হন, তাহলে বাংলাদেশের মর্যাদাও কখনো উন্নত হবে না। পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণ, যাদের জন্য জাতির পিতা সারা জীবন ত্যাগ শিকার করেছিলেন, তাদের ভাগ্য আমাদের পরিবর্তন করতে হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এই কর্মসূচিগুলো শহরকেন্দ্রিক নয়, একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত। তৃণমূলের মানুষ যাতে সুফল পায়, সেই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।’
স্বাধীনতার পরে দেশের উন্নয়নে জাতির পিতার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারে আসার পরে একটাই লক্ষ্য ছিল—দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাধ্যমে যে গৌরব পেয়েছিলাম, সেই গৌরব বাংলাদেশ হারিয়েছিল পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করে। সেই গৌরব ফিরিয়ে এনে জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়ন করব। আজকে আমরা সেই আদর্শ ধরে রেখে উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে আসতে পেরেছি।’
করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এক্ষেত্রে দেশের প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ প্রতিটি স্তরের মানুষ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ফলে একদিকে দুর্যোগ ও দুর্বিপাক যেটাই আসুক না কেন, আমরা তা মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করেছি।’
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা, তাঁদের ছেলেমেয়েদের চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটার ব্যবস্থা, ছেলেমেয়ে, পরিবার-পরিজন যেন চাকরিতে নিয়োগ পায়, সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি। পঁচাত্তরের পরে তাঁদের যে সম্মান হারিয়েছিল, তা আবার যেন ফিরে আসে আমরা তার ব্যবস্থা নিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে যেখানেই থাকুক, যে যে দলেরই থাকুক না কেন, মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধাই। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই তাঁরা সম্মান পাবেন। আমরা সেই পদক্ষেপটা নিয়েছি।’
এর আগে সকালে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫